ইমানের পূর্ণতা লাভের জন্য রাসূল (সা.)-কে নিজের জান, মাল, পিতা-মাতা ও.. সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা
Автор: Torikul Islam Model Madrasah Official
Загружено: 2025-11-17
Просмотров: 31
Описание:
মুহাম্মদ (সা.)-এর ইজ্জত ও মর্যাদা (কুরআন ও হাদিসের আলোকে)
মুহাম্মদ (সা.)-এর মর্যাদা আল্লাহ তা'আলা স্বয়ং কুরআন মাজিদে ঘোষণা করেছেন।
১. শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা ও রিসালাতের সমাপ্তি
মুহাম্মদ (সা.) হলেন শেষ নবী এবং সকল নবীর সর্দার।
খাতামুন নাবিয়্যীন (নবুওয়াতের সমাপ্তি):
"মুহাম্মদ তোমাদের পুরুষদের মধ্যে কারোর পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আর আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বজ্ঞ।" (সূরা আহযাব, ৩৩:৪০)
সর্বকালের জন্য রহমত (দয়ার প্রতীক):
"আর আমরা তো তোমাকে কেবল জগৎসমূহের জন্য রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।" (সূরা আম্বিয়া, ২১:১০৭)
২. আল্লাহর পক্ষ থেকে উচ্চ মর্যাদা প্রদান
আল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূলের মর্যাদা দুনিয়া ও আখিরাতে অনেক উঁচুতে স্থাপন করেছেন।
উচ্চ মর্যাদা দান:
"আর আমরা তোমার জন্য তোমার খ্যাতিকে উঁচু করে দিয়েছি।" (সূরা আল-ইনশিরাহ, ৯৪:৪) – এর অর্থ হলো, তাঁর আলোচনা সর্বদা উচ্চকিত থাকবে (যেমন আযান, ইকামাহ, কালেমাসহ প্রতিটি ইবাদতে)।
সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী:
"আর নিশ্চয়ই তুমি মহান চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত।" (সূরা আল-কালাম, ৬৮:৪)
৩. তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আনুগত্য
রাসূল (সা.)-এর আদেশ-নিষেধ মানা সরাসরি আল্লাহর আদেশ মানার শামিল।
আনুগত্যের অপরিহার্যতা:
"যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে মূলত আল্লাহরই আনুগত্য করল।" (সূরা নিসা, ৪:৮০)
শরীয়তের উৎস:
"রাসূল তোমাদের যা দেন, তা তোমরা গ্রহণ করো; আর যা থেকে তোমাদের নিষেধ করেন, তা থেকে তোমরা বিরত থাকো।" (সূরা হাশর, ৫৯:৭)
🤲 আমাদের করণীয় ও দায়িত্ব
মুহাম্মদ (সা.)-এর এত মর্যাদা জানার পর একজন মুসলিম হিসেবে তাঁর প্রতি আমাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও করণীয় রয়েছে:
১. ইমান আনা ও সত্যয়ন করা
তাঁর রিসালাতকে সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করা ইমানের প্রথম শর্ত।
কালিমার সাক্ষ্য: আমরা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ' (আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল) এই সাক্ষ্য দেওয়ার মাধ্যমেই ইসলামে প্রবেশ করি।
২. পরিপূর্ণ অনুসরণ ও আনুগত্য করা
মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনধারা (সুন্নাহ) অনুসরণ করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
অনুসরণের আদেশ:
"(হে মুহাম্মদ!) বলুন, 'তোমরা যদি আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার অনুসরণ করো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।'" (সূরা আলে ইমরান, ৩:৩১)
বিরোধিতা থেকে সতর্ক থাকা:
"অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরোধিতা করে, তারা যেন সতর্ক হয় যে, কোনো বিপর্যয় তাদেরকে গ্রাস করবে অথবা কোনো কঠোর শাস্তি তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে।" (সূরা নূর, ২৪:৬৩)
৩. তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা
রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তাঁর ওপর দরূদ ও সালাম প্রেরণ করা।
আল্লাহর নির্দেশ:
"নিশ্চয়ই আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি সালাত (রহমত) প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত (দরূদ) ও সালাম প্রেরণ করো।" (সূরা আহযাব, ৩৩:৫৬)
হাদিস: রাসূল (সা.) বলেছেন, "যে আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করেন।" (সহীহ মুসলিম)
৪. তাঁকে ভালোবাসা (নিজেদের জীবন ও সম্পদ থেকেও বেশি)
ইমানের পূর্ণতা লাভের জন্য রাসূল (সা.)-কে নিজের জান, মাল, পিতা-মাতা ও দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা অত্যাবশ্যক।
হাদিস: রাসূল (সা.) বলেছেন, "তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা, তার সন্তান এবং অন্য সকল মানুষ অপেক্ষা অধিক প্রিয় হই।" (সহীহ বুখারী)
৫. তাঁর সুন্নাহকে রক্ষা ও প্রচার করা
তাঁর আদর্শ যেন বিকৃত না হয় এবং তাঁর শিক্ষা যেন নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য কাজ করা।
শিক্ষাদান: রাসূল (সা.) বলেছেন, "আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও পৌঁছে দাও।" (সহীহ বুখারী)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: