কবিতার গান। Poetic Melodes । ছবির ফ্রেম । শুক্লা রায়
Автор: কবিতার গান । আবৃত্তি । Poetic Melodies
Загружено: 2025-06-29
Просмотров: 80
Описание:
কবিতার গান। ছবির ফ্রেম । শুক্লা রায়
কবিতার গান :
সাধারণত সঙ্গীত পরিবেশনার আগে কবিতার পঙক্তি আবৃত্তি করার চল থাকলেও, জনপ্রিয় আবৃত্তির কবিতাকে গানে রূপান্তর করার প্রচেষ্টা সচরাচর দেখা যায় না। সেই ধারণা থেকেই আমাদের এই নতুন প্রয়াস—বহুশ্রুত ও জনপ্রিয় কবিতাগুলোকে গানের সুরে বেঁধে ফেলা।
আমাদের এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য হলো, চিরাচরিত আবৃত্তির কবিতাগুলো যখন গানের রূপ নেবে, তখন তা শ্রোতাদের শৈল্পিক মননে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে কি না, তা খুঁজে দেখা। তবে আমাদের এই নিরীক্ষা কেবল এটুকুই নয়।
এই সংগীতগুলো তৈরিতে আমরা অত্যাধুনিক এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। তাই এই প্রয়াসটি একটি গভীর প্রশ্নেরও জন্ম দেয়—প্রযুক্তি কি মানুষের হৃদয়কে ছুঁতে পারবে ? যন্ত্রের সুর কি মানুষের আবেগ জাগাতে পারবে, নাকি মানুষকে সংগীত-বিমুখ করে তুলবে? আমাদের এই উদ্যোগ তাই কেবল কবিতা ও গানের মেলবন্ধন নয়, বরং শিল্পে মানুষ ও প্রযুক্তির সম্পর্কের ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানেরও একটি আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং এই নিরীক্ষার মাধ্যমে আমরা দর্শকের জন্য এক স্বতন্ত্র ও আনন্দময় মনোজগৎ তৈরি করতে চাই।
শুক্লা রায়ঃ
শুক্লা রায় একজন আবৃত্তি শিল্পী ও মঞ্চ অভিনেত্রী। সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তিনি অতি প্রিয় একটি নাম। একেবারে স্কুল পর্যায় থেকেই তার সাংস্কৃতিক জগতে হাতিখড়ি। এখনো যা চলছে নিবীড়ভাবে।
মানিকগঞ্জ জেলার কালিগঙ্গা নদীর পাড়ের ছিমছাম সুন্দর শহরটিতে তার জন্ম। মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। আবৃত্তির প্রতি তার অনুরাগ অনেক আগে থেকেই। আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠশীলনে’র সদস্য ছিলেন। শিক্ষা জীবনে যুক্ত ছিলেন খেলাঘর এবং উদীচীর সঙ্গে। সেই সঙ্গে যুক্ত হন প্রগতিশীল রাজনীতিতেও। বিভিন্ন সময়ে অর্জন করেছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননা।
একসময় শুক্লা রায় স্থায়ী হন আমেরিকায়।
মঞ্চনাটক তার কাজের প্রিয় একটি ক্ষেত্র। নিউইয়র্কে প্রথম তিনি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন ২০১৬ সালে। উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে জামালউদ্দিন হোসেনের নির্দেশনায় “রাজা রাণী’‘, তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ ,শীরিন বকুল নির্দেশনায় “বৃষ্টির ছায়াছবি” এবং জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকির আহমেদ নির্দেশনায় ‘তীর্থযাত্রী’।
তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।নিউইয়র্কের টেলিভিশনে অসংখ্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। অভিনয় করেছেন বিজ্ঞাপনচিত্রেও। তিনি তার মেধা, আন্তরিকতা আর পরিশ্রম দিয়ে হয়ে উঠেছেন সবার প্রিয়।
ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনে কাজ করেন স্কুলের সহকারি শিক্ষক হিসেবে। একই সঙ্গে তিনি একজন অ্যাপ্লায়েড বিহেভিয়ার এনালিস্ট বা এবিএ থেরা পিস্ট।
ছবির ফ্রেম
-শুক্লা রায়
একটা ভাঙ্গা সাদা কালো ছবির ফ্রেম
অনেকদিন ধরে পরে আছে সিঁড়ির কোনাটায়।
কোন ছবি নেই ফ্রেমটিতে।
অনেকবার মনে করার চেষ্টা করলাম
না, ফ্রেমটি দেয়ালে কখনো টানানো ছিল বলে মনে হয় না।
তাহলে কোথা থেকে আসলো
এই সাদা কালো ফ্রেমটি?
মা কেনইবা কিনেছিলো;
আর কেনইবা কোন ছবি না পুরে
এমনভাবে অবহেলায় ফেলে রাখলো।
হয়তো কোন সুন্দর স্মৃতি ধরে রাখতে চেয়েছিল
হয়তো সময়ের অভাবে আর হয়ে উঠেনি।
হয়তোবা সেই সুন্দর স্মৃতিটা
মা’র কাছে আর ফ্রেমে ধরে রাখার মতো মনে হয়নি।
অদ্ভুত তাই না!
সময় সবকিছু অন্যরকম করে দেখতে শিখায়
মূল্যকে মূল্যহীন করে দেয়
দূরকে করে দেয় হাতের মুঠোয়।
এই বাড়িটার সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই সম্পর্কটা
কম করার চেষ্টা করেছি,পারিনি।
মা’র সঙ্গে যেমন নাড়ীর একটা টান থাকে
এই বাড়িটার সঙ্গে তেমনি।
না না, এখানে আমার জন্ম হয়নি
আমার বয়স যখন তের,
মার অনেক কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে
এই বাড়িটা বানানো হয় ।
এর এক একটা ইট
আমার মায়ের না পাওয়ার নি:শ্বাস
আর অমাদের একটু ভালোরাখার সপ্ন।
এই বাড়ির দেয়ালগুলোর কাছে গেলেই
মা’র নি:শ্বাসগুলোকে আমার দীঘর্শ্বাস মনে হতে থাকে।
মেঝেগুলেকে আমার মায়ের কষ্টের নদী মনে হয়
আর ওই বিশাল দরজা জানালাগুলো?
সারাক্ষণ আগলে রাখে মায়ের কষ্ট আর দীঘর্শ্বাস
খোলা জানালা আর দরজা দিয়েও
ওরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে।
এতটা দেবার পরও আমার মা কোনদিন
এ বাড়ির মালিক হতে পারেনি
মা শুধু দিয়ে গেছেন
আমরা কেউ তাকে কিছুই দিতে পারিনি
এমনকি এই আমিও না।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: