মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের ফাঁসির আদেশ | Sheikh Hasina
Автор: Skf Tour Blog Bd
Загружено: 2025-11-17
Просмотров: 1
Описание:
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় হলো আজ। এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পাঠ শেষে সোমবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলায় দু’জনই পলাতক আসামি হিসেবে চিহ্নিত থাকলেও গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মাম। রাজসাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে তিনি শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় প্রসিকিউশন তার শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেয়, তবে হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করা হয়।
সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনে পুলিশ। ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সময় তিনি মাথা নিচু করে হাজতখানায় প্রবেশ করেন।
শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকাজুড়ে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবির পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনীও; তৎপর রাখা হয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনসাধারণের চলাচলও সীমিত করা হয়।
গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার। তার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা মামলার বিচারিক কার্যক্রমে ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি ৯ কার্যদিন ধরে চলে প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক ও পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য সময় নেওয়া হয়।
যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে প্রসিকিউশন জানায়, রাজসাক্ষী হওয়ায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন। যদিও তার আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ মামুনের খালাস দাবি করেন। রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনও বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে হাসিনা-কামাল খালাস পাবেন।
মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন— উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগের মোট পৃষ্ঠাসংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭; এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জনকে সাক্ষী করা হয়। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
আরও পড়ুন
জুলাই-আগস্ট
গণহত্যা
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল
মৃত্যুদণ্ড
...
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: