আগুন নিভে গেলেও প্রশ্ন থেকে যায়, বার বার কেন কড়াইল জ্বলে?
Автор: Naya Diganta
Загружено: 2025-11-28
Просмотров: 850
Описание:
আগুন নিভে গেলেও প্রশ্ন থেকে যায়, বার বার কেন কড়াইল জ্বলে
ঢাকার পাশে গুলশান–বনানীর সীমানা ঘেঁষে মাত্র ৯০ একর জমি। এই সামান্য জায়গাটিতেই ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন। হিসাব বলছে— জায়গা ভাগ করলে প্রতি ৪৯ বর্গফুটে একজন মানুষ। যেখানে জাতিসংঘ বলছে, একজন মানুষের মৌলিক জীবনযাপনের জন্য দরকার ৯৭ বর্গফুট। তাহলে প্রশ্ন আসে— মানবিক মানদণ্ডের অর্ধেক জায়গায় কি জীবন টিকে থাকে, নাকি কেবল বেঁচে থাকার সংগ্রাম চলে?
২৫ নভেম্বর বিকেলের আগুনে যখন কড়াইলের বড় অংশ ছাই হয়ে গেল। চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ওই বস্তিতে লাগা আগুনে পুড়ে যায় অন্তত ডজনখানেক ঘর। গত বছরের ২৪ মার্চ ও ১৮ ডিসেম্বরেও আগুনে পোড়ে কড়াইল বস্তি।
আবারও সামনে এলো একই প্রশ্ন: কেন বারবার কড়াইলে আগুন লাগে? আরো বড় প্রশ্ন— কেন সেই আগুনের চক্র থামানো যায় না? ফায়ার সার্ভিস বলছে— গত এক দশকে ১৫ বারের বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এখানে। কিন্তু তদন্তে পাওয়া যায় না নিশ্চিত প্রমাণ। কারণ? আগুনে সব পুড়ে খাক। তাহলে কি সমস্যাটা কেবলই শর্ট সার্কিট আর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ? নাকি এর চেয়ে গভীর কিছু আছে?
প্রথম কারণ— অস্থায়ী, ঘন, দাহ্য ঘরবাড়ি। সরু গলি, মানুষের কাঁধের সমান পথ, দেয়াল লেগে থাকা দেয়াল। আগুন লাগলে বাতাস যেন শিখাকে ডানা মেলে উড়তে সাহায্য করে। প্রশ্ন— এমন এলাকায় আগুন কি স্বাভাবিকভাবেই দৌড়াবে না? দ্বিতীয় কারণ— অবৈধ, ঝুলে থাকা বিদ্যুৎ লাইন। যেখানে লোড বেশি, তার পুরোনো— সেখানে শর্ট সার্কিট কি অবশ্যম্ভাবী নয়? তৃতীয় কারণ— ৭০% ঘরেই গ্যাস সিলিন্ডার। রেগুলেটর লিক, মানহীন সিলিন্ডার— তাহলে কি বিস্ফোরণ কেবল সময়ের অপেক্ষা নয়? চতুর্থ কারণ— পানির অভাব। ফায়ার সার্ভিস এলে পানি পায় না, গাড়ি ঢোকার পথ পায় না। আবার প্রশ্ন— যদি পানি না থাকে, পথ না থাকে, তাহলে আগুন নেভাবে কীভাবে? পঞ্চম কারণ— সেবা ব্যবস্থার অনুপস্থিতি। নেই সাবস্টেশন, নেই ড্রেনেজ পরিকল্পনা, নেই ফায়ার হাইড্রেন্ট। যেখানে ১০ হাজার ঘর, সেখানে একটা জরুরি পানির পয়েন্টও নেই? এটা কি দুর্ঘটনা, নাকি দীর্ঘদিনের অবহেলা?
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: