class 4 নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রশ্ন উত্তর narahari das question answer
Автор: Touch & Pass
Загружено: 2022-12-13
Просмотров: 20385
                Описание:
                    class 4 নরহরি দাস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী প্রশ্ন উত্তর narahari das question answer 
এখানে প্রশ্নের উত্তরগুলো দেয়া রয়েছে।
১২.১
এই গল্পে আমার ছাগলছানাটিকে বুদ্ধিমান বলে মনে হয়েছে। ছাগলছানাটি সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় গর্তে লুকিয়ে পড়ে,শিয়ালকে দেখে সে ভয় পেলেও তা বুঝতে না দিয়ে নিজেকে সিংহের মামা নরহরি দাস বলে পরিচয় দেয় এবং আরও বলে যে তার এক গ্রাসে পঞ্চাশটি বাঘ লাগে। এরপর যখন সে দেখে শিয়াল বাঘকে নিয়ে আসছে তখন সে বুদ্ধি করে বাঘকে শুনিয়ে বলে যে শিয়ালকে দশটি বাঘ আনতে কড়ি দিয়েছে আর শিয়াল কিনা লেজে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি বাঘ নিয়ে এল। এই শুনেই বাঘ ভয়ে ছুটে পালায়। অবস্থা বুঝে সাহস না হারিয়ে ছাগলছানাটি উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে।
১২.২
একবার চারটি ভাই নানারকম বিদ্যা শিখে রাজার কাছে চলেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো ভাইটি তেমন কিছু লেখাপড়া জানত না বলে বড়ো তিন ভাই তাকে একেবারে গ্রাহ্য করত না। তারা একসাথে বনের পথে চলেছে এমন সময় তারা পথের মাঝে দেখল অনেক হাড়গোড় পড়ে আছে। তা দেখে তিন ভাই বলল এসো ভাই আমরা আমাদের বিদ্যা পরখ করে দেখি। বড়ো ভাইটি হাড়গুলির ওপর জল ছিটিয়ে মন্ত্র পড়ল এবং সঙ্গে সঙ্গে হাড়গুলি জোড়া লেগে একটি প্রাণীর কঙ্কাল হয়ে গেল। এরপর মেজো ভাইটি তাতে মন্ত্র পড়ে জল ছেটানোয় কঙ্কালটির গায়ে রক্ত, মাংস ও চামড়া গজাল। দেখা গেল, সেই প্রাণীটি একটি বাঘ। এরপরে সেজো ভাইটি মন্ত্র পড়ে যখন বাঘটির প্রাণ বাঁচাতে যাবে তখন সবচেয়ে ছোটো ভাইটি বলে উঠল 'করো কী দাদারা?এটি যে একটি বাঘ, একে বাঁচালে বিপদ হবে।' এই শুনে সেজো ভাইটি রেগে গিয়ে বলল, 'ভারী মজা না! দু-দাদা তাদের মন্ত্রের জোর দেখাল আর আমার বেলায় যত দোষ।' তখন ছোটো ভাই চুপচাপ একটি গাছে উঠে পড়ল। সেজো ভাই মন্ত্র পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাঘটি বেঁচে উঠল এবং তিন ভাইকেই মেরে ফেলল। আর ছোটো ভাইটি বুদ্ধির জোরে গাছে উঠে পড়ায় সে বেঁচে গেল।
২০
১ম গল্প: একবার এক কুমিরের খুব ইচ্ছা হল তার ছানাদের লেখাপড়া শেখাবার। ভাই সে নিজের সাতটা ছানাকে নিয়ে শিয়ালের বাড়িতে উপস্থিত হল। কুমিরকে দেখে শিয়াল বলল কী ভাই কী মনে করে? কুমির বলল, ভাই তুমি যদি আমার এই মূর্খ ছেলেগুলিকে একটু লেখাপড়া শিখিয়ে দাও তাহলে খুব ভালো হয়। শিয়াল বলল, সে আর বলতে? আমি সাতদিনে সাত জনকে পড়িয়ে পণ্ডিত করে দেব। সাতদিন ধরে শিয়াল কুমিরের ছানাগুলিকে একটা করে খেয়ে ফেলল। সাতদিন পরে কুমির এসে দেখল শিয়াল পণ্ডিত নেই। গর্তের ভিতর খালি ছানাদের হাড়গুলো পড়ে আছে। তার খুব রাগ হল, আর সে চারধারে ছুটোছুটি করে শিয়ালকে খুঁজতে লাগল খুঁজতে খুঁজতে একদিন নদীর ধারে গিয়ে দেখল শিয়াল আর শিয়ালিনি সাঁতরে নদী পার হচ্ছে। অমনি 'দাঁড়া হতভাগা। বলে কুমির জলে ঝাঁপ দিয়ে শিয়ালের পিছনের একটা পা কামড়ে ধরল। বুদ্ধিমান শিয়াল তা বুঝতে পেরেই শিয়ালিনিকে ডেকে বললে,‘দেখতো শিয়ালিনি, আমার লাঠিটাকে ধরে কে টানাটানি করছে। একথা শুনে কুমির ভাবলে ‘তাইতো পা ধরতে গিয়ে লাঠি ধরে ফেলেছি!শিগগির লাঠি ছেড়ে পা ধরি, এই ভেবে যেই সে শিয়ালের পা ছেড়েছে অমনি শিয়াল একলাফে ডাঙায় উঠে বোঁ করে দে ছুট, তারপর বনের ভিতর তাকে কে আর ধরে।
২১
ছাগল: এদের বাড়িতে পালন করা হয়। এরা ঘাস, গাছের পাতা খায়। এরা খুব নিরীহ ও ভীতু স্বভাবের প্রাণী। 
ষাঁড়: ষাঁড় ঘাস, লতাপাতা, খড় খায়। এরা বনে জঙ্গলে থাকে। অনেক গ্রামে এমনকি রাস্তাঘাটেও এদের ঘুরতে দেখা যায়। এরা সাধারণত নিরীহ প্রাণী কিন্তু রেগে গেলে শিং দিয়ে গুঁতিয়ে দেয়। 
শিয়াল:শিয়াল মাংসাশী প্রাণী। এরা বনে জঙ্গলে, গর্তে ও ঝোপেঝাড়ে বাস করে। এরা খুব চালাক প্রাণী। ছোটো খাটো পশুপাখি শিকার করে খায়, হুক্কা হুয়া শব্দ করে এরা ডাকে।
বাঘ :বাঘ মাংসাশী প্রাণী, এরা শিকার ধরে খায়, বনে জঙ্গলে এরা বাস করে। বাঘ হিংস্র প্রাণী। শিকারের সময় এরা নিঃশব্দে চলাফেরা করে। বাঘ তীব্র শব্দে গর্জন করে।
২২.১
মাঠের পাশে বনের ধারে এক মস্ত পাহাড়ের একটি গর্তের ভিতর একটি ছাগলছানা তার মায়ের সঙ্গে থাকত। ছাগলছানাটা গর্তের বাইরে যেতে চাইলে তার মা তাকে বলত,‘যাসনে!ভালুকে ধরবে, বাঘে নিয়ে যাবে, সিংহে খেয়ে ফেলবে।' এই সব কথা বলে সাবধান করত। ছাগলছানাটা যখন একটু বড়ো হল তখন তার ভয়ও কমে গেল। 
২২.২
ষাঁড়ের কথা শুনে ছাগলছানাটি ষাঁড়ের সঙ্গে বনের ভিতর ঘাস খেতে গিয়েছিল। সেখানে খুব চমৎকার ঘাস  ছাগলছানাটি পেটে ভরে খেল। সন্ধে হয়ে এলে ষাঁড় তাকে বাড়ি ফিরতে বলল, কিন্তু ঘাস খেয়ে ছাগলছানার পেট এমন ভারী হয়েছিল যে সে আর চলতেই পারছিল না। তখন সে একটি গর্ত দেখতে পেয়ে তার ভিতর ঢুকে রইল।
২২.৩
বনের ভিতর ঘাস খেতে গিয়ে সন্ধে হয়ে যাওয়ায় ছাগলছানাটি যে গর্তে ঢুকেছিল সে গর্তটি ছিল এক শিয়ালের। অনেক রাতে শিয়ালটি তার মামা বাঘের বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে ফিরে দেখল তার গর্তের ভিতর কালো মতন কী একটা জন্তু ঢুকে রয়েছে। সে ভাবলে বোধহয় কোনো রাক্ষস, তাই সে জিজ্ঞাসা করল গর্তে কে ও? ছাগলছানাটি জবাব দিল সিংহের মামা আমি নরহরি দাস, পঞ্চাশটা বাঘে আমার এক গ্রাস। এই শুনে শিয়াল প্রচন্ড ভয় পেয়েছিল।
২২.৪
বাঘ ও শিয়াল যখন নরহরি দাসকে দেখতে এল, তখন দূর থেকে তাদের দেখতে পেয়ে ছাগলছানাটি বুদ্ধি করে বলল, তোকে দশ বাঘের কড়ি দিলুম আর তুই লেজে দড়ি বেঁধে একটা বাঘ নিয়ে এলি। এই শুনে ভয়ে বাঘের প্রাণ উড়ে গেল এবং বাঘ শিয়ালকে লেজে বেঁধে পঁচিশ হাত লম্বা এক লাফ দিয়ে ভয়ে ছুটতে আরম্ভ করল, তখন শিয়ালের মাটিতে আছাড় খেয়ে, কাঁটার আঁচড় লেগে ও মাটিতে ঠোক্কর খেয়ে প্রাণ যাওয়ার অবস্থা হল। শিয়াল চেঁচিয়ে মামা আল আছে বলে বোঝাতে চেষ্টা করলে বাঘ ভাবতে নরহরি দাস পিছনে আসছে, তাই বাঘ আরও ছুটতে লাগল। ছুটোছুটিতে শিয়ালের খুব শাস্তি হয়েছিল, সেই থেকে বাঘের ওপর তার ভীষণ রাগ হল।                
                
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
- 
                                
Информация по загрузке: