ইরান ও ইসরায়েল || একসময়ের বন্ধু দেশ এখন কেন শত্রু || Why are once friendly countries now enemies ||
Автор: খণ্ডাংশচিত্র-khondangshochitra
Загружено: 2025-06-19
Просмотров: 46
Описание:
জীবনের নানা দিকের খণ্ডাংশ তুলে ধরি।আমাদের চোখে দেখুন সমাজ,সংস্কৃতি এবং দৈনন্দিন জীবনের টুকরো গল্প।
প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং ফেসবুকে ফলো করুন।
FACEBOOK:-https://www.facebook.com/share/1HAubRB4Fu/...
ইরান-ইসরায়েল পরস্পরের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল।
১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল৷
যেমন, ১৯৪৮ সালে যখন ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন দেশটিকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল ইরান৷ প্রতিষ্ঠার ওই সময়ে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে বৈরিতায় টিকে থাকতে ইরানকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে ইসরায়েল৷ একইভাবে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলকে সাথে নিয়ে বৈরিতা মোকাবিলা করতে চায় ইরান৷
মজার বিষয় হলো, সেই সময় বর্তমানে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুইদেশের সেসময়ের সম্পর্ক ছিল বেশ ঘনিষ্ঠ৷ যেমন ইরানে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করতো ইসরায়েল৷ তাছাড়া ইরানের আর্মড ফোর্স গঠনে প্রযুক্তিগত জ্ঞানের প্রসারেও সহায়তা করতো ইসরাযেল৷ এর বিনিময়ে নতুন জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রটিকে জ্বালানি সহায়তা দেয় ইরান৷
শুধু তাই নয়, ইসরায়েলের বাইরে ইরানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ইহুদি বসবাস করতেন৷ তবে ইসলামিক বিপ্লবের পর ইহুদিদের একটি বড় অংশ ইরান ত্যাগ করে৷ বর্তমানে ইরানে বসবাসরত ইহুদিদের সংখ্যা ২০ হাজারের মত৷
সম্পর্কের পরিবর্তন
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে আয়াতউল্লাহ রুহোল্লা খোমেনি ক্ষমতায় আসার পর ইসরায়েলের সঙ্গে আগের সব চুক্তি বাতিল করে ইরান৷ ক্ষমতায় এসে ‘ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখলের' জন্য ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেন খোমেনি৷
এরপর ধীরে ধীরে ইসরায়েলের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে থাকে ইরান৷ ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিনকে নিজেদের দখলে নেওয়া এবং ফিলিস্তিন কে একেবারে নিশ্বেস করা। যা মুসলিম দেশ হিসেবে ইরান কখনো মেনে নিতে পারে নি কারণ ইরানের রয়েছে মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সামরিক শক্তি এবং মুসলিম বিশ্বের পূর্ণ সাপোর্ট।
১৯৮২ সালে ইসরায়েল যখন লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে চলমান গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে, ইরানের খোমেনি সরকার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শিয়া মিলিশিয়াদের সমর্থনে ইরানিয়ান রেভোলিউশনারি গার্ড সদস্যদের প্রেরণ করে৷ এই সমর্থনের মাধ্যমে তৈরি হয় হিজবুল্লাহ৷ ইরানের বর্তমান নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি পূর্বসূরীদের মতোই ইসরায়েলবিরোধী৷ উল্লেখ্য, খামেনি এবং ইরান সরকারের পুরো নেতৃত্ব জার্মানিতে হওয়া হলোকাস্টকে অস্বীকার করে এমন অভিযোগ রয়েছে৷
ইসরায়েল ও ইরানের শত্রুতার কারণ
এই সরকারের অন্যতম মূল নীতি হলো তারা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না এবং তাদের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না। এমনকি ইসরায়েলের নামও উচ্চারণ করে না তারা। এর বদলে ইসরায়েলকে ‘ইহুদিবাদী সরকার’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। ইরান মূলত ইহদিবাদ সম্প্রসারণ আটকাতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন’ চায়। এছাড়া ইরান মনে করে ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি একবার বলেছিলেন, ইসরায়েল হলো একটি ‘ক্যান্সারাক্রন্ত টিউমার’। যেটি নিশ্চিতভাবে উপড়ে ফেলা এবং ধ্বংস করা হবে।
অপরদিকে ইসরায়েল ইরানকে তাদের অস্তিত্বের হুমকি মনে করে। যার প্রমাণও আছে। ইরান লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা ও অর্থায়ন করে থাকে। যারা সবসময় ইসরায়েলকে ধ্বংস চায়।
এছাড়া ইসরায়েল অভিযোগ করে থাকে ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান এই দাবি অস্বীকার করে।
গত বছর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল-ইরানের শত্রুতা নতুন পর্যায়ে পৌঁছায়। এই সময়ের মধ্যে ইরান প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সরাসরি হামলা চালায়। জবাবে ইসরায়েলও ইরানে হামলা চালায়।
এই যুদ্ধের আগে ইরান ও ইসরায়েল উভয়ই উভয়ের স্বার্থ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু সেগুলো তারা স্বীকার করত না। কিন্তু এখন প্রকাশে হামলা পাল্টা হামলা চলছে।
ইসরায়েলের শক্তির উতস
ইসরায়েল কে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ।যেখানে ইসরায়েল জয় হতেও পারলে মধ্য প্রাচ্যে পশ্চিমা শাসন ব্যবস্থা চালু করা সহজ হবে।
গাজা থেকে শুরু করে ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া এবং এখন ইরান পর্যন্ত—সব জায়গায় ইসরায়েল আক্রমণ করছে । এটা ক্রমেই বিস্তৃত হবে। নেতানিয়াহু যখন ইরানে হামলা চালান, তখন তিনি অনেকটাই সর্বস্ব বাজি রেখে দেন। তাঁর লক্ষ্য একদিকে ইসরায়েলের জন্য একচেটিয়া দায়মুক্তির দাবি প্রতিষ্ঠা করা। মানে, যা ইচ্ছা করা যাবে, জবাবদিহির দরকার নেই।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: