গণতন্ত্র-ওয়েবসভা : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কঃ রাষ্ট্র বনাম জনগণ
Автор: গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক
Загружено: 2025-01-18
Просмотров: 300
Описание:
গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ও ভারতে পলায়নের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভয়ানক অবনতি ঘটেছে। দুই রাষ্ট্রের মাঝে বৈরিতা বেড়েই চলেছে, ভারতীয় মিডিয়া ক্রমাগত বাংলাদেশ সম্পর্কে অপতথ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে দুই দেশের জনগণের মাঝেও বিদ্বেষ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে ও বাংলাদেশে যথাক্রমে বাংলাদেশ বিদ্বেষ ও ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে, যা দুইদেশের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে হৃষ্টপুষ্ট করছে। বিশেষ করে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি'র বাংলাদেশ বিদ্বেষের রাজনীতির সাথে তাল মেলাতে গিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসস এর মত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বও ভোটের রাজনীতিতে বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য প্রদান করছেন। বর্তমান এই প্রেক্ষাপটে এসে দুই দেশের কুটনীতিক সম্পর্কে এবং দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক কখনোই সমস্যামুক্ত ছিল না। পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত থেকেছে, ফলে সমস্ত জলাধারগুলো শুকিয়ে মরেছে, আর বর্ষায় পানির ঢলে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়েছে। সীমান্তে ভারত কাটাতার দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, দুদিন পরপর সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী গুলি করে বাংলাদেশের নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষকে মেরেছে। বাংলাদেশের ভারতের সাথে বাণিজ্য ঘাটতিও বিশাল। আদানি-আম্বানি গ্রুপের বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী বিনিয়োগ চুক্তি থেকে শুরু করে ট্রানজিটের নামে এদেশের ভেতর দিয়ে দেয়া করিডোর সুবিধা। সবমিলেই দুই দেশের সম্পর্ক অসম, বা ভারতের আধিপত্যে বাংলাদেশের অবস্থা সঙ্গীন। তার ওপরে, ভারত আমাদের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে, এবং ভারতের সমর্থন পেয়েই আওয়ামী লীগ এরকম ফ্যাসিস্ট দানবে পরিণত হতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভীষণ বন্ধুত্বপূর্ণ মনে হলেও বস্তুত সেটি ছিল দাসখতের সম্পর্ক বা প্রভু-দাসের সম্পর্ক। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ সেই দাসখতের সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসার জন্যে চেষ্টা করছে। ফলে, রাষ্ট্র পর্যায়ে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতকে আগে পদক্ষেপ নিতে হবে, সবার আগে বর্তমান বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে পুনর্বাসনের দিবাস্বপ্ন বন্ধ করতে হবে, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতাকে প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে। সমতা ও সমমর্যাদার ভিত্তিতেই কেবল এই সুসম্পর্ক গড়ে ওঠা সম্ভব।
অন্যদিকে, দুইদেশের জনগণের মধ্যে যে বৈরিতা ও বিদ্বেষ তৈরি হচ্ছে, সেটা সবসময়ে একইরকম ছিল না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশি মানুষকে ভারতীয় জনগণ আশ্রয় দিয়েছিলো, তাদের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলো। গত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়কালেও ভারতের জনগণ বাংলাদেশের ছাত্র জনতার সমর্থনে রাজপথে নেমে এসেছিলো। সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে যেমন ভারতীয় জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েছিলো, তেমনি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর উপরে বাঁধ, ড্যাম স্থাপনের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ও ভারতের পরিবেশবাদীরাও আন্দোলন করেছে। ফলে, দুই দেশের মাঝে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প বাড়লেও, দুই দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ও সংগ্রামী মানুষের মাঝে সংযোগ গড়ে ওঠার ইতিহাসও আমাদের সামনে রয়েছে। এবারেও ভারতীয় মিডিয়ার ক্রমাগত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সেখানকার অনেকেই সোচ্চার-সরব হয়েছেন।
এরকম প্রেক্ষাপটেই আমরা এই ওয়েবসভা আয়োজন করতে যাচ্ছি, যেখানে বাংলাদেশ ও ভারত- দুই দেশ থেকেই অংশগ্রহণ থাকবে। আমাদের ওয়েবসভার শিরোনাম: "বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কঃ রাষ্ট্র বনাম জনগণ"
প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন
তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অর্ক ভাদুড়ি, সাংবাদিক
আলোচক
নূরুল কবীর, সম্পাদক, নিউ এজ
কবীর সুমন, সঙ্গীতকার
বীথি ঘোষ, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক
স্নিগ্ধেন্দু ভট্টাচার্য, লেখক ও সাংবাদিক
সঞ্চালক
ফাহমিদুল হক, লেখক ও গবেষক
১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
শনিবার রাত ৮ টা (বাংলাদেশ সময়)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: