এই প্রথম "নদীর জন্য চাইছি ভোট" জলঙ্গী নদী সমাজ মনোনীত নির্দল প্রার্থী তারক ঘোষ।

Описание: Video from Koushik & Sourav
প্রেস রিলিজ
বিষয় :- নদী কেন্দ্রিক জীবন জীবিকার দাবী কে সামনে রেখে নির্বাচনী লড়াই।

সরাসরি ভোট রাজনীতি তে অংশগ্রহণ করে ক্ষমতাসীন হওয়ার জন্য এই লড়াই নয়। উন্নয়নের ভাবনায় ভাবিত ও পুঁজির জোরে চালিত গোটা দেশের ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইতিহাস আমাদের কাছে স্পষ্ট "প্রকৃতি বিরোধী"। এই সমস্ত রাজনৈতিক দলকে জলঙ্গী পাড়ের গ্রামের নির্বাচনী লড়াই থেকে একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।

নদী তথা প্রকৃতির সম্বল কে যারা এতদিন সম্পদ ভেবে মুনাফার লোভে লুটেছেন, তারা যদি এখনও এই বিপন্ন সময়েও মানসিকতার বদল না ঘটান তাহলে আগামী দিনে রাস্তার লড়াইয়ের পাশাপাশি সংগঠিত ভাবে নদী ও পরিবেশের জন্য নির্বাচনী লড়াইতেও অংশগ্রহণ নেওয়া হবে।
আমরা কোনো ভোট কেন্দ্রিক রাজনৈতিক দল নই। আমরা নদী তথা প্রকৃতির সঙ্গে জীবন-জীবীকা-জীববৈচিত্র্যর অধিকারের লড়াই করা রাজনৈতিক গণ সংগঠন।

প্রার্থী পরিচিতি ও নির্বাচনী কেন্দ্র
নদীয়া জেলার জলঙ্গী নদী পাড়ে বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মায়াকোল গ্রামের মানুষ তারক ঘোষ। পেশায় কৃষিজীবী, কৃষি অবস্থা খারাপ হওয়ার দরুণ বর্তমানে রঙের মিস্ত্রি। জলঙ্গী নদীতে বাঁধাল বিরোধী আন্দোলন ও নদীর ধারে পাঠশালার অংশগ্রহনকারী হিসেবেও তিনি পরিচিত।
জলঙ্গী নদী সমাজ মনোনীত ZP 24 কৃষ্ণনগর -1 জিলা পরিষদ এর নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করবেন।

নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশ্য
১ টি জিলা পরিষদ এ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করা মনে ১০০ টি গ্রামে জল-জঙ্গল-জমিন ও জীবন-জীবিকা-সংস্কৃতি এর কথা প্রচারের সুযোগ।

পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি সমূহ
দীর্ঘ ৪ বছর ধরে যে দাবী গুলো নিয়ে জলঙ্গী নদী সমাজ কাজ করে চলেছে। সেই দাবীগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করা হবে। নদীকে সম্পূর্ন বাঁধাল মুক্ত করার আন্দোলনে পূর্বেই আমাদের সফলতা মিলেছে। নদী এখন বাঁধাল মুক্ত।
১) নদীকে কোমর ও কচুরী পানা মুক্ত করা এবং এর সঙ্গে খেয়াল রাখা হবে দীর্ঘদিন ধরে এদেশে কচুরিপানা থাকার দরুণ যে জীব বৈচিত্র্য গড়ে উঠেছে তাকে অক্ষুন্ন রাখা।
২) মৎস্যজীবীদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে তাদের স্বাথ্য সুরক্ষা এবং তাদের জীবিকার জন্য সমবায় সমিতি গুলিকে পুনর্জ্জিবিত করা। নিয়মিত মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা করা।
৩) জল দূষণের কারণে বহু গ্রামে মানুষ সহ জীবকূলের নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই নদীর জল নিয়মিত পরীক্ষা করা, অবৈধ্য ইঁট ভাঁটা, মাটি কাটা, নদীর উপর অবৈধ নির্মাণের ও বিরোধিতা করা হবে। ব্রিজ ও বাঁধ তৈরীর নামে অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক ভাবে নদীর গতিপথ অবরুদ্ধ করার বিরোধিতাও করা হবে।
৪) শহর ও গ্রামের অপরিশোধিত বর্জ্য কে STP-র মাধ্যমে দূষণমুক্ত করে তবেই নদীতে ফেলা।

জলঙ্গী নদী সমাজ
১৫ জুন, ২০২৩
#vote #ভোট #পঞ্চায়েত #নদী #environment
#জলঙ্গীনদী #কৃষ্ণনগর