MLA বনাম MP | কার ক্ষমতা বেশি | সুবিধা | কর্তব্য | Comparison Between MLA and MP

Описание: MLA বনাম MP । কার ক্ষমতা বেশি । সুবিধা । কর্তব্য । Comparison Between MLA and MP

MLA মানে বিধানসভার সদস্য । একজন বিধায়ক হলেন একজন প্রতিনিধি, একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী জেলার ভোটারদের দ্বারা যথাযথভাবে নির্বাচিত যাকে একটি নির্বাচনী এলাকা হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এমএলএরা রাজ্য আইনসভায় নির্বাচিত হন যারা ভারতে রাজ্য সরকার গঠন করে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে ভোটাররা একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন, যিনি সেই আসনের বিধায়ক হন।

জনগণ যখন কেন্দ্রে সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচন করে, তখন তারা এমন একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করে, যার নির্বাচনী এলাকা বড়। প্রতিটি এমপি কেন্দ্রে সাধারণত সাত থেকে নয়টি এমএলএ নির্বাচনী এলাকা থাকে।

আইনসভা
বিধায়করা হলেন আইন পরিষদ বা বিধানসভার সদস্য যেখানে একটি রাজ্যে দুটি ঘর রয়েছে। কাউন্সিলকে উচ্চকক্ষ বলা হয় এবং বিধানসভাকে রাষ্ট্রীয় আইনসভার নিম্নকক্ষ বলা হয়।

আইনসভার সর্বোচ্চ 500 জন সদস্য থাকতে পারে এবং 60 জনের কম নয়। যে রাজ্যের উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিধায়ক রয়েছে। এর 404 জন সদস্য রয়েছে। কারণ এটি দেশের সর্বোচ্চ জনসংখ্যা রয়েছে।

যখন একটি রাজ্যের জনসংখ্যা কম হয়, তখন আইনসভার জন্য বিধায়কের সংখ্যাও হ্রাস পায়। আইনসভার অনুমোদিত সদস্য সংখ্যা রাজ্যের জনসংখ্যার উপর নির্ভর করে। আইনসভার সকল সদস্য প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। রাজ্যের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন করে সদস্য নির্বাচিত হন।

মজার বিষয় হল, রাজ্যের গভর্নররা অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের একজন সদস্যকে বিধানসভায় মনোনীত করার ক্ষমতা রাখেন যদি তারা মনে করেন যে তারা রাজ্যে পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব করছেন না। এই ব্যবস্থা 2020 সালের জানুয়ারি থেকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। সংবিধানের 104তম সংশোধনীর মাধ্যমে এটি করা হয়েছে।

একজন বিধায়কের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
ভারতের যে কোনো জায়গায় বিধায়ক হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত মানদণ্ড পূরণ করতে হবে:

উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যক্তিকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে।
বিধানসভার সদস্য হওয়ার জন্য ব্যক্তির বয়স 25 বছরের কম এবং পরিষদের সদস্য হওয়ার জন্য 30 বছরের কম হওয়া উচিত নয়।
রাজ্যের যে কোনও নির্বাচনী এলাকায় বিধায়ক হওয়ার জন্য, ব্যক্তিকে অবশ্যই সেই রাজ্যের যে কোনও নির্বাচনী এলাকার ভোটার হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে যদি কোনও সদস্য সেই রাজ্য থেকে এমপি হতে না পারেন তবে তিনি বিধায়কও হতে পারবেন না।
ব্যক্তিকে অবশ্যই অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা উচিত নয় এবং তাকে অবশ্যই 2 বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা উচিত নয়

ভারতীয় সংসদ" কে ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত অনুচ্ছেদের সংশোধন করার জন্য আইন প্রণয়ন থেকে প্রচুর ক্ষমতা দেওয়া হয়। সংসদের সাথে সম্পর্কিত "রাজ্যসভা" এবং "লোকসভা" উভয় কক্ষই সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ সংশোধনের ক্ষেত্রে সমান পরিমাণে ক্ষমতা ভোগ করতে দেখা গেছে।

সূচি তালিকা
ভারতীয় সংসদের কাঠামো
ভারতীয় সংসদের কাছে ন্যস্ত ক্ষমতা
সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা প্রদত্ত
ভারতের নাগরিকদের জন্য আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভারতের পার্লামেন্ট একটি শীর্ষ সংস্থা হিসেবে পাওয়া যায়। ভারতীয় সংবিধানের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সংশোধনী সংসদ সদস্যদের সমর্থন ও ভোটে করা যেতে পারে। সমস্ত অবশিষ্ট ক্ষমতাও ভারতের সংসদের কাছে ন্যস্ত। সংসদ অধিবেশনে থাকা বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপে সব ধরনের আইন পাস হয়। এই প্রতিবেদনে সংসদ ও এর সদস্যদের বিভিন্ন ক্ষমতা এবং এর কাঠামো তুলে ধরা হয়েছে।

ভারতীয় সংসদের কাঠামো
ভারতের সংসদ দুটি কক্ষ এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি নিয়ে গঠিত। সংসদের দুটি কক্ষ হল "রাজ্যসভা" এবং "লোকসভা"। "রাজ্যসভা" উচ্চকক্ষ হিসাবেও পরিচিত যেখানে "লোকসভা" সংসদের নিম্নকক্ষ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। রাজ্যসভার 250 সদস্যের ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এখন, ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভা 245 জন সদস্য নিয়ে গঠিত। 245 জনের মধ্যে, "বিধান সভা" বা "রাজ্য বিধানসভা" সদস্যরা 233 জন সদস্যকে নির্বাচন করে এবং 12 জনকে ভারতের রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেন। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত 12 জনের নাম সমাজসেবা, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শিল্পের পটভূমি থেকে। "রাজ্যসভা" এর এমপিরা "ইলেক্টোরাল কলেজ" দ্বারা নির্বাচিত হন। এটি "ভারতীয় সংসদ" এর কাঠামোর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে যে "রাজ্যসভা" একটি স্থায়ী সংস্থা যা সাংবিধানিক অনুচ্ছেদেও বর্ণিত হয়েছে। তবে এটি লক্ষ্য করা যায় যে লোকসভা একটি স্থায়ী সংস্থা নয় যা প্রতি 5 বছর পর ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্বারা বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বিপরীতে, "রাজ্যসভা" সংসদের স্থায়ী সংস্থা হওয়ায় এটি ভেঙ্গে দেওয়া যায় না তবে "রাজ্যসভা" এর ⅔তম সদস্যরা প্রতি 2 বছর পর অবসর গ্রহণ করেন। তাই বলা যেতে পারে যে কোনও "রাজ্যসভা" সদস্যের মেয়াদ প্রায় 6 বছর। রাষ্ট্রপতি কর্তৃক লোকসভা ভেঙে দেওয়ার পর প্রতি 5 বছর পর "লোকসভার" সদস্যরা অবসর গ্রহণ করেন। "লোকসভা" এর প্রায় 552 সদস্য রয়েছে। তবে বর্তমানে ভারতীয় সংসদের লোকসভায় ৫৪৩ জন সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। লোকসভার সদস্যকে "সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার" এর ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিক দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হতে দেখা যায়। বিপরীতে, "রাজ্যসভা" এর সদস্যরা ভারতীয় জনগণের দ্বারা সরাসরি নির্বাচিত হয় না কারণ সদস্যরা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়। ভারতীয় নাগরিকদের দ্বারা নির্বাচিত এমপিরা সংসদে যান এবং "রাজ্যসভা" সদস্যরা নির্বাচিত এমপিদের দ্বারা নির্বাচিত হন। তাই এটা লক্ষ্য করা যায় যে "উচ্চ কক্ষের" সদস্যরা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন।

#mla #memberofparliment #mp #india #mpvsmla #narendramodi #mamatabanerjee