শ্রী জগন্নাথ দেব কিভাবে এই পৃথিবীতে আসলেন ❓ | Baidik Bani Prachar
Автор: বৈদিক বাণী প্রচার
Загружено: 2025-06-18
Просмотров: 13
Описание:
শ্রী জগন্নাথ দেব কিভাবে এই পৃথিবীতে আসলেন ❓ | @baidikbaniprachar
শ্রী জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব সম্পর্কে একটি অতি প্রাচীন, পবিত্র ও লৌকিক কাহিনী রয়েছে, যা পুরাণ, ইতিহাস ও ভক্তিমূলক সাহিত্যতে বিস্তৃতভাবে বর্ণিত হয়েছে। তাঁর আবির্ভাব মূলত জগন্নাথ দেব, বলভদ্র ও সুভদ্রার মূর্তির আকারে পুরীধামে সংঘটিত হয়েছিল। নিচে সেই কাহিনীর সারাংশ তুলে ধরা হলো:
🌸 জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব কাহিনী 🌸
১. ইন্দ্রদ্যুম্ন মহারাজের স্বপ্ন
সতযুগে মালব দেশের অধিপতি ছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন। তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ বিষ্ণুভক্ত। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, সমুদ্র তীরে নীলাচল নামক স্থানে শ্রীহরি একটি বিশেষ রূপে বিরাজমান আছেন। রাজা দৃঢ় সংকল্প করেন সেই দেবমূর্তি স্থাপন করে এক বিশাল মন্দির নির্মাণ করবেন।
২. নীলমাধবের সন্ধান
রাজা তাঁর এক পুরোহিত বিদ্যাপতি-কে পাঠান নীলমাধবের সন্ধানে। বিদ্যাপতি যান শবররাজ বিশ্ববসুর গৃহে, যিনি গোপনে নীলমাধবের পূজা করতেন। একদিন বিদ্যাপতি গোপনে নীলমাধব দর্শন করেন। পরে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন নিজে সেখানে গেলে দেখতে পান—দেবতা অদৃশ্য হয়ে গেছেন।
৩. দেবতার আবির্ভাব – কাঠের দেহে
রাজা তখন তপস্যা শুরু করেন। তখন আকাশবাণী হয়—“তুমি সমুদ্রতীরে চন্দন কাঠের গুঁড়ি ভেসে আসতে দেখবে। তা দিয়ে আমি নতুন রূপে আবির্ভূত হব।” সেই গুঁড়ি থেকেই নির্মিত হয় জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি।
৪. বিশ্বকর্মার অদ্ভুত রূপ
বিশ্বকর্মা কারিগর রূপে এসে বলেন, “আমি দরজা বন্ধ করে মূর্তি তৈরি করব। কেউ যদি মাঝে বাধা দেয়, আমি চলে যাব।” কিছুদিন পর রাজা উদ্বিগ্ন হয়ে দরজা খুলে ফেলেন। তখন দেখা যায়—মূর্তিগুলোর হাত-পা সম্পূর্ণ নয়। কিন্তু সেই রূপেই দেবতা স্থায়ী হন।
এই অনন্য রূপই আজকের জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা মূর্তির বৈশিষ্ট্য।
🛕 পুরীধামের গুরুত্ব
পুরীর মন্দিরে আজও সেই মূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে এবং প্রতি বছর রথযাত্রার সময় লক্ষ লক্ষ ভক্ত তাঁদের দর্শন করতে আসেন।
📖 সংক্ষেপে বলা যায়:
জগন্নাথ দেব হলেন ভগবান বিষ্ণু/কৃষ্ণের এক বিশেষ রূপ।
তিনি চন্দন কাঠের মাধ্যমে মূর্তিতে আবির্ভূত হন।
তাঁর রূপ ভক্তি, করুণা ও সর্বজনগ্রাহ্যতার প্রতীক।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: