কুরআন তিলওয়াত কারীর মর্যাদা ও এর গুরুত্ব .The status and importance of the reciter of the Quran

Описание: কুরআন তিলওয়াত কারীর মর্যাদা ও এর গুরুত্ব .The status and importance of the reciter of the Quran

কুরআন তিলওয়াত কারীর মর্যাদা ও এর গুরুত্ব .The status and importance of the reciter of the Quran,
কুরআন তিলওয়াতের মর্যাদা
১. আল্লাহর নিকট মর্যাদাবান ব্যক্তি

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি, যে কুরআন শেখে এবং অন্যকে শেখায়।”
(সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫০২৭)

অর্থাৎ, কুরআন শেখা এবং তিলওয়াত করা ব্যক্তিই আল্লাহর নিকট সেরা মর্যাদা লাভ করে।

২. ক্বারীকে সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গ লাভ করানো

নবী করীম ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি কুরআন সুন্দরভাবে তিলাওয়াত করে, সে সম্মানিত ও অনুগত ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে।”
(সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

এতে বোঝা যায় যে, কুরআন তিলাওয়াতকারী দুনিয়া ও আখিরাতে ফেরেশতাদের মর্যাদা লাভ করে।

৩. কিয়ামতের দিন কুরআন হবে সুপারিশকারী

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
“কুরআন পড়, কারণ কুরআন কিয়ামতের দিন তার পাঠকের জন্য সুপারিশ করবে।”
(সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮০৪)

কুরআন তিলাওয়াতকারী ব্যক্তি কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর দয়া ও ক্ষমা লাভ করবে।

কুরআন তিলওয়াতের গুরুত্ব
১. অন্তরের প্রশান্তি লাভ

আল্লাহ বলেন:
“নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তর শান্তি পায়।”
(সূরা রা’দ: ২৮)

কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্তি পায়, দুশ্চিন্তা ও ভয় দূর হয়।

২. প্রতিটি অক্ষরে সওয়াব

রাসূল ﷺ বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব থেকে একটি অক্ষর তিলাওয়াত করবে, সে একটি নেকী পাবে। আর প্রতিটি নেকী দশগুণ হবে।”
(তিরমিজি, হাদিস: ২৯১০)

তাহলে এক অক্ষর পড়ার মধ্যেও বিশাল সওয়াব লুকিয়ে আছে।

৩. কুরআন ঘরের জন্য বরকত

যে ঘরে কুরআন তিলাওয়াত করা হয়, সেই ঘর ফেরেশতাদের উপস্থিতি, রহমত ও বরকতে ভরে যায়। আবার যে ঘরে কুরআন পাঠ করা হয় না, সেখানে অন্ধকার ও অপশক্তির আধিপত্য সৃষ্টি হয়।

কুরআন তিলওয়াতকারীর মর্যাদার প্রমাণ
ক. জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি

রাসূল ﷺ বলেছেন:
“কুরআনের সাথীকে বলা হবে: পড় এবং উঠতে থাক, যেমন তুমি দুনিয়াতে পড়তে। আর তোমার মর্যাদা নির্ধারিত হবে তোমার সর্বশেষ আয়াত পর্যন্ত।”
(আবু দাউদ, হাদিস: ১৪৬৪)

অর্থাৎ, যত বেশি কুরআন মুখস্থ ও তিলাওয়াত করবে, জান্নাতে তত উঁচু মর্যাদা পাবে।

খ. কুরআন হবে আখিরাতের আলো

আল্লাহর কিতাবের তিলাওয়াতকারীরা কিয়ামতের দিন আলো ও নূরের মালিক হবে। হাদিসে এসেছে:
“কুরআন তিলাওয়াত কর, কেননা কিয়ামতের দিন এটি তোমার জন্য নূর হয়ে আসবে।”

কুরআন তিলওয়াতের আদব

১. অজু অবস্থায় তিলাওয়াত করা
২. শুদ্ধ উচ্চারণে পড়া
৩. ধীরে ধীরে তাজবিদসহ পড়া
৪. আয়াতের অর্থ নিয়ে চিন্তা করা
৫. খুশু ও বিনয়ের সাথে পড়া

কুরআন তিলওয়াতকারীর জন্য অনুপ্রেরণা

কুরআন পড়া মানেই আল্লাহর সাথে কথা বলা।

সুন্দর কণ্ঠে তিলাওয়াত করা মানুষের অন্তরে নরম অনুভূতি জাগায়।

কুরআন তিলাওয়াতকারীর দোয়া দ্রুত কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আধুনিক যুগে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব

বর্তমান যুগে যখন মানুষের অন্তরে অশান্তি, হতাশা ও বিভ্রান্তি বাড়ছে, তখন কুরআন তিলাওয়াতই অন্তরে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। প্রযুক্তি যুগেও ক্বারীদের তিলাওয়াত লাখো মানুষের অন্তরে ঈমান জাগ্রত করছে।


কুরআন তিলাওয়াতকারীর মর্যাদা

কুরআন পড়ার গুরুত্ব

কুরআন শেখার ফজিলত

কুরআন মুখস্থ করার উপকারিতা

কুরআন পাঠের সওয়াব

ক্বারীর মর্যাদা

কুরআন পড়ার উপকারিতা

কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

আল-কুরআনের আলো

কুরআন পাঠের হিকমত