যজ্ঞ, বৈদিক সনাতনের ধর্মের এক অভিন্ন অঙ্গ। মঙ্গল ও শুদ্ধতার প্রতিক স্বরূপ।
Автор: শ্রীকৃষ্ণের বাণী 33
Загружено: 2025-06-13
Просмотров: 161
Описание:
যজ্ঞ, বৈদিক সনাতনের ধর্মের এক অভিন্ন অঙ্গ। মঙ্গল ও শুদ্ধতার প্রতিক স্বরূপ। প্রথমত আমরা বেদাদী শাস্ত্র অনুযায়ী যজ্ঞ সম্পর্কে শাস্ত্রীয় মত দেখে নিব।
“যজ্ঞ” শব্দটি ব্যাপক। ঋগ্বেদে এই শব্দ ৫৮০ বার, যজুবেদে ২৪৩ বার, সামবেদে ৬৩ বার এবং অর্থব বেদে ২৯৮ বার অর্থাৎ চার বেদে যজ্ঞ শব্দ মোট ১১৮৪ বার এসেছে।
যজ্ঞ শব্দ ‘যজ্’ ধাতু দিয়ে তৈরি। ‘যজ্’ ধাতুর তিনটি অর্থ-‘যজ্ দেবপূজা সঙ্গতিকরণ দানেষু' অর্থাৎ ১। দেবপূজা ২। সঙ্গতিকরণ ও ৩। দান। সুতরাং যজ্ঞের বিভিন্ন প্রকার এইরূপ-দেবযজ্ঞ (অগ্নিহোত্র বা হবন), ব্রহ্মযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, বলিবৈশ্যদেবযজ্ঞ, অতিথিযজ্ঞ, অশ্বমেধযজ্ঞ ইত্যাদিতে যজ্ঞের প্রায় সমস্ত অর্থ নিহিত আছে ··।
♦ পঞ্চযজ্ঞ বলতে কী বোঝায় এবং কি কি ?
বৈদিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যজ্ঞ ৫ প্রকার।
তথা :
১: ব্রহ্ম যজ্ঞ।
২: অতিথি যজ্ঞ।
৩: পিতৃযজ্ঞ।
৪: ভূত যজ্ঞ।
৫: দেবযজ্ঞ।
এসব যজ্ঞাদি নিয়ে শাস্ত্রে তথা বেদে কী বলা হয়েছে তা এখন আমরা দেখে নিব।
#ব্রহ্মযজ্ঞ
যুঞ্জপ্তি ব্রধ্মরুষং চরন্তং পরিতস্থুষঃ রোচন্তে রোচনা দিবি ॥
পদার্থ :- (যুত্যন্তি) যুক্ত করেন (ব্রধনম্) মহান্ (অরুষম্) অহিংসক (চরন্তম্) সর্ব্বজ্ঞ (পরি) সর্ব্বত্র (তচ্ছূষঃ) স্থিত (রোচন্তে) জ্যোতির্ম্ময় হন (রোচনা) অবিদ্যান্ধকার হইতে মুক্ত হইয়া (দিবি) পরমাত্মার জ্যোতিতে।
( ঋগ্বেদ - ১/৬/১।)
#অতিথি_যজ্ঞ
ইষ্টং চ বা এষ পূর্তং চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহ তিথেরশাতি ॥ পয়শ্চ বা এষ রসং চ গৃহাণামশ্মাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ ঊর্জাং চ বা এষ স্ফাতিং চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশাতি প্রজাং চ বা এষ পশুংশ্চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি 1 কীৰ্ত্তিং চ বা এষ যশশ্চ গৃহাণামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ শ্রিয়ং চ বা এষ সংবিদং চ গৃহামশাতি যঃ পূর্বোহতিথেরশ্নাতি ॥ এষ বা অতিথির্যচ্ছোত্রিয়স্তস্মাৎ পূৰ্ব্বো নাশ্মীয়াৎ ॥
অশিতাবতিথাবশ্লীয়াদ যজ্ঞস্য সাত্মতায় যজ্ঞস্যবিচ্ছেদায় তদ্ ব্ৰতম্॥
পদার্থ :- (যঃ) যে (অতিথেঃ পূর্বঃ) অতিথির পূর্ব্বে (অশাতি) ভোজন করে (এষঃ) সে (গৃহাণাম্) গৃহের (ইষ্টম্) ইষ্টসুখ (চ) এবং (পূর্তম্) পূর্ণতা (উর্জায়) পরাক্রম্ (অশাতি) ভোজন করে (পয়ঃ) দুগ্ধ (চ) এবং (রসম্) রস (চ) এবং (এষঃ) সে (স্ফাতিম্) বৃদ্ধি (প্রজাম্) প্রজা (পশুন) পশু (কীৰ্ত্তিম্) কীৰ্ত্তিম, (যশঃ) যশ (খ্রিয়ম্) শ্রী (সংবিদম্) জ্ঞান (যৎ শ্রোত্রিয়ঃ) যিনি বেদজ্ঞানী (এষ বৈ অতিথিঃ) তিনিই অতিথি (তস্মাৎ) এজন্য (পূর্বঃ ন অশ্লীয়াৎ) পূৰ্ব্বে ভোজন করিবে না (অশিতৌ অতিথৌ) অতিথি ভোজন করিলে পরে (অশ্লীয়াৎ ) ভোজন করিবে (যজ্ঞস্য) যজ্ঞের (সাত্মত্মায়) জীবনের জন্য ( অবিচ্ছেদায়) নিরন্তর চলিবার জন্য (তত্ত্বতম্) ইহাই নিয়ম।
(অথৰ্ব্ববেদ ৯/৬/৩/১-৮।)
#পিতৃযজ্ঞ
উর্জং বহম্ভীরমৃতং ঘৃতং পয়ঃ কীলালং পরিশ্রুতম্ । স্বধাস্থ তৰ্পয়ত মে পিতৃন্ ॥
(মে) আমার পিতৃন্) বিদ্বান, জীবিত মাতাপিতা ও গুরুজনকে (উর্জম্) উত্তম রস (বহন্তীঃ) সুস্বাদু জল (অমৃতম্) সুমিষ্ট রোগনাশক পদার্থ (পয়ঃ) দুগ্ধ (ঘৃতম্) ঘৃত (কীলালম্) সুরন্ধিত অন্ন (পরিশ্রুতম্) সুপক্ক রসাল ফল দ্বারা (তপয়ত)তৃপ্ত কর (স্বধাঃ) নিজের ধনে (স্থ) থাক।
( যজুর্ব্বেদ ২/৩৪। )
#ভূতযজ্ঞ
প্রজাভ্যঃ পুষ্টিং বিভজন্ত আসতে রয়িমিব পৃষ্ঠং প্রভবতমায়তে। অসিম্বন্দংষ্ট্রৈঃ পিতুরত্তি ভোজনং যস্তাকৃণোঃ প্রথমং সাস্যুক্থ্যঃ ।
পদার্থঃ- (পুষ্টিম্) পোশক ধনকে (প্রজাভ্যঃ) প্রজাদের মধ্যে (বিভজন্তঃ) বিভাগ করিয়া (আসতে) শান্তিতে বাস করে (আয়তে) গৃহাগত সৎ পুরুষকে (পৃষ্ঠম্) ধারক ধাতা (প্রভবস্তম্) পোষক (রয়িমিব) ধনকে যেমন বিভাগ করিয়া দেওয়া হয় (অসিম্বন) প্রত্যেক কৰ্ম্মশীল পুত্র (পিতৃঃ) পিতৃগৃহে (দংষ্ট্ৰঃ) দন্তদ্বারা (ভোজনং অত্তি) ভোজন করে (যঃ) যে (তা) সেই কৰ্ম্মের (অকৃণোঃ) বিধান করিয়াছেন (সঃ) সেই তুমি (প্রথমতঃ ) প্রথম (উক্থ্যঃ অসি) পূজ্য হও।
( ঋগ্বেদ ২/১৩/৪। )
#দেবযজ্ঞ:
সমিধাগ্নিং দুবস্যত ঘৃতৈর্বোধয়াতিথিম্ ।
অস্মিন্ হব্যা জুহোতন ॥
পদার্থঃ- (ঘৃতৈঃ) ঘৃতাদি শুদ্ধ দ্রব্রের সহিত (সমিধা) কাষ্ঠ দ্বারা (অতিথিম্) অগ্নিকে (বোধয়ত) প্রজ্জ্বলিত কর। এই অগ্নিতে পুষ্টি, মধুর, সুগন্ধি, রোগনাশক পদার্থের বিশেষভাবে আহুতি প্রদান কর। এই দেবযজ্ঞ বা অগ্নিহোত্র পালন কর।
☞ এখানে মূলত পঞ্চযজ্ঞ ( দেবযজ্ঞ, ভূতযজ্ঞ,অতিথিযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ, ব্রহ্মযজ্ঞ) এদের তাদের নিজেদের কিছু সংঙ্গা আছে। তা আমরা পবিত্র বেদ থেকেই দেখে নিলান।
অতিথিদের সেবা করা, পিতৃ বা মাতা পিতার সেবা করা, অতিথি এর সেবা করা, ব্রহ্ম অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞানী দের সেবা করাও একটি যজ্ঞের মধ্যেই পড়ে। তার সাথে অগ্নিহোত্র করে ঈশ্বরের সম্মান প্রদর্শন করাও যজ্ঞ যা দেবযজ্ঞ নামে পরিচিতি।
♂ বেদে যজ্ঞ এর মহিমা নিয়ে ঈশ্বর এর বর্ণনা
এখন আমরা দেখে নিব পবিত্র বেদে ও বৈদিক শাস্ত্রে যজ্ঞ এর সম্পর্কে কী বলা হয়েছে।
: ‘“যজ্ঞ ইন্দ্ৰমবর্ধয়দ্”
যজ্ঞ করায় ঐশ্বর্য ও সুখের বৃদ্ধি হয় ।
(অর্থববেদ ২০/১৭/৫)
যজ্ঞ দ্বারা প্রাণের শুদ্ধি হয়। এইজন্য যজ্ঞকে অমৃত বলা হয়েছে।
(যজুর্বেদে (৯/১২)
যজ্ঞের দ্বারা নির্মল বায়ু সেবন করলে প্রাণী বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত নীরোগও সুখী জীবনযাপন করতে পারে।
(অথর্ববেদে (২/১১/৬)
যজ্ঞ চিকিৎসার বর্ণনায় বলা হয়েছে যে, যজ্ঞ দ্বারা যক্ষ্মারমত ভয়ংকর রোগও নিরাময় হয়।
(অথর্ববেদে (১৯/৩৮/১
অন্নাদ্ভবস্তি ভূতানি পর্জন্যাদন্নসম্ভবঃ। যাদ্ভবতি পর্জন্যো যজ্ঞ কর্মসমুদ্ভৰঃ৷৷১৪৷৷
গীতা-৩/১৪
অর্থ: অন্ন গ্রহণ করে প্রাণীরা জীবন ধারণ করে, বৃষ্টি হওয়ার ফলে অন্ন উৎপাদন হয়, যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার ফলে বৃষ্টি হয়।
যজ্ঞদানতপঃকর্ম ন ত্যাজং কার্যমেব তৎ ।
যজ্ঞো দানং তপশ্চৈব পাবনানি মনীষিণাম্ ॥৫॥
গীতা-১৮/৫
অর্থ: যজ্ঞ, দান, তপস্যা কখনো ত্যাগ করা ইচিত নয়। যজ্ঞ, দান এবং তপস্যা মনীষীদের পর্য্যন্ত পবিত্র করে।
#বেদান্তসার
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: