Sree Sree Chinishpur Kali Mandir Narsingdi 2k24
Автор: Avishek Roy Shresta
Загружено: 2024-06-14
Просмотров: 73
Описание:
ইতিহাসঃ
বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি অন্যতম তীর্থস্থান নরসিংদী জেলায় অবস্থিত শ্রী শ্রী চিনিশপুর কালীবাড়ি। আনুমানিক ১৭৬০ সালে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হাড়িয়াধোয়ার দক্ষিণ তীরে নরসিংদী সদরের চিনিশপুর নামক গ্রামে অবস্থিত। ছায়াঘেরা, নির্মল, শান্ত পরিবেশে এই মন্দিরটি গড়ে উঠেছে। এই মন্দিরের মূল আকর্ষন একটি বিশাল বটগাছ। প্রায় এক একর জমির আয়তন নিয়ে বেড়ে ওঠা প্রাচীন এই বটগাছ নিয়ে নানা অলৌকিক কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এ মন্দিরের উত্তর দিকে বয়ে চলেছে হাড়িয়াধোয়া নদী। এককালে মন্দিরের অদূরেই ছিল ইংরেজদের নীলকুঠী, যদিও কালের আবর্তনে সেটা হারিয়ে গেছে। দ্বিজরাম প্রসাদ নামে একজন সাধক এই চিনিশপুর কালীবাড়ি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
"ঢাকার ইতিহাস" নামে যতীন্দ্রমোহন রায়ের এক গ্রন্থ থেকে জানা গেছে যে, একজন বীর সাধক ছিলেন দ্বিজরাম প্রসাদ। তিনি 'চীনক্রম' নামে এক সাধন প্রণালী দ্বারা সাধনা করতেন। পরবর্তীতে এই চিনক্রমের নামানুসারেই চিনিশপুর গ্রামের নামকরণ করা হয়। নাটোরের মহারাজা রামকৃষ্ণ রায়ের জৈষ্ঠ্য ভ্রাতা ছিলেন দ্বিজরাম প্রসাদ। দত্তক পুত্র হয়েও রামকৃষ্ণ রায় জমিদারির বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়ে যান। আর নিজের সন্তান হয়েও দ্বিজরামকে থাকতে হয়েছে রামকৃষ্ণের কৃপাভিখারি হয়ে। আর এই কারনেই তার মনে জন্ম নেয় সংসার ত্যাগ ও বৈরাগ্যের। এরপর তিনি মা কালীর অনুগ্রহ লাভ করে এবং তার আদেশে চিনিশপুরের গভীর জংগলে এসে আশ্রয় গ্রহন করেন। অতঃপর সাধক দ্বিজরাম প্রসাদ সেই বটবৃক্ষটির নিচে পঞ্চমুন্ডীর আসন বানিয়ে সেখানে বসে ভগবানের কৃপা লাভের জন্য সাধন ভজন শুরু করেন। অবশেষে বৈশাখ মাসে মঙ্গলবার দিন অমাবস্যা তিথিতে তার সিদ্ধি লাভ হয়। সাধকের সিদ্ধি লাভের পর থেকে তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বটবৃক্ষের নিচে সাধু দর্শন করতে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ ভিড় করতে থাকেন। ফলে দ্বিজরাম প্রসাদ তার ইষ্ট দেবুর্তার নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তার মধ্যে দক্ষিণা কালী মূর্তি স্থাপন করেন। তখন থেকেই সারা ভারতবর্ষে এই মন্দির চিনিশপুর কালীবাড়ি হিসেবে পরিচিতি পায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই মন্দিরের বয়স ২৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সে অনুসারে বটগাছটির বয়স প্রায় ৩০০ বছর।জনশ্রুতি আছে, বর্তমানে যে কালী মন্দিরটি আছে সেটি নির্মান করেন নীলকর জেমস ওয়াইজের দেওয়ান রামকৃষ্ণ রায়। চিনিশপুর কালীবাড়িকে কেন্দ্র করে অনেক অলৌকিক ঘটনা লোকমুখে প্রচলিত আছে। প্রবাদ আছে, একবার মা কালি পুকুরের মাঝখানে জলের মধ্য থেকে হাত বের করে তার ভক্তকে দেখিয়ে বলেছিলেন "দেখ, তোর দেয়া শাঁখা আমি হাতে পরেছি।" এরকম আরো অনেক ঘটনা লোকমুখে শোনা যায়। এছাড়া এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে ঔপনিবেশিক আমলে মহারাজ ত্রৈলক্যচন্দ্র চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বৃটিশ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালিত হত। প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় পূজার্চনা ও ভোগের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও প্রতিবছর বৈশাখ ও জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম অমাবস্যা তিথিতে কালি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সে উপলক্ষে এক বা দুইদিনব্যাপি বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: