যশোরে রাতভর বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি,জনদুর্ভোগ কোন পর্যায়ে....................!
Автор: abcbangla71. com
Загружено: 2024-08-26
Просмотров: 64
Описание:
ভারী বৃষ্টিতে যশোর শহর ও শহরতলীর নিচু অঞ্চলে নজিরবিহীন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়েছে পানি। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে মুসলধোরে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর বর্ষণে রাস্তাঘাট-বাড়িঘরে পানি জমে। সেই সাথে মেঘের গর্জন ও বিদ্যুৎ চমকানিতে জনমনে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। বজ্রসহ এই বৃষ্টিপাত চলে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে- ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) চাঁচড়ার গ্রিড ফেলের সঙ্গে চাঁচড়া উপকেন্দ্রে পানি ওঠায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। ফলে সোমবার ভোর ৪টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল শহরের ৫৫ হাজার গ্রাহক।
যশোর বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার রাত ৯টা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ১০টার পর থেকে সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।
এরআগে গত ৬ জুলাই ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সেই রেকর্ড ভেঙে গত ১৫ ঘণ্টায় চলতি মৌসুমে ২২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতায় এক প্রকার শহরে বন্যার রূপ নিয়েছে। টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশির ভাগ এলাকা।
শহরের তুলনামূলক নিচু এলাকায় রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ক্রমাগত বাড়ছে পানির পরিমাণ। অধিকাংশ স্থানে হাঁটু পানি আবার কোথাও কোমর সমান পানি। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষের। শহরের রাস্তা ও গ্রামের মাঠঘাট পানি থৈ থৈ করছে। খবর পাওয়া গেছে এরমধ্যে ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। শহরের অন্তত ৪৭ টির বেশি সড়কে পানি জমেছে।
অসংখ্য লেন–বাই লেনে রয়েছে পানি।
খড়কি এলাকার শাহ্ আবদুল করিম সড়ক, স্টেডিয়াম পাড়া, শহরের পিটিআই, নাজির শংকরপুর, ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে পাইপ পট্টি, বেজপাড়া চিরুনিকল, আশ্রম রোড, শংকরপুর, রেল রোড, মিশনপাড়া, রেলস্টেশন, চোপদারপাড়া, বেজপাড়া তালতলা, টিবি ক্লিনিক মোড়, পুরোনো কসবা, পুলিশ লাইন টালিখোলা, বিমানবন্দর রোড ও ষষ্ঠীতলা পাড়ার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া শহরের ছোট ছোট সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব সড়কের দুই পাশের ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত নোংরা পানি উপচে পড়েছে সড়কে। সড়ক থেকে সেই পানি ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে আছেন পৌরসভার ৫,৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। বাকি ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন স্থানে জমেছে পানি।
শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা সুমন নামে এক ব্যক্তি জানান, ‘কয়েক’শ বাড়িতে পানি উঠেছে। আমাদের বাড়ির নিচতলায় হাঁটুপানি জমেছে। টিউবওয়েলের কিছু অংশ পানিতে ডুবে আছে। এরফলে বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছি আমরা।’ একই এলাকার নিয়ামত আলী জানান, ‘বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা যায়। থাকে দুই তিন দিন, কিন্তু রাত থেকে যে ভারী বৃষ্টি হয়েছে, এতে ভোগান্তি চরমে উঠেছে।’
শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের ভেতর দিয়ে ভৈরব ও মুক্তেশ্বরী নামে দুটি নদ-নদী বয়ে গেছে। এর মধ্যে ভৈরব নদ দিয়ে শহরের উত্তরাংশ ও মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে দক্ষিণাংশের পানি নিষ্কাশিত হয়। কিন্তু গত দেড় দশকে শহরের দক্ষিণাংশের পানি মুক্তেশ্বরী নদী দিয়ে নামতে পারছে না। পয়োনিষ্কাশন নালার মাধ্যমে শহরের পানি হরিণার বিল দিয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে যেত।
কিন্তু ২০১০ সালে হরিণার বিলে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়। এরপর আশপাশে আরও অনেক স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এতে বিল দিয়ে পানি আগের মতো নিষ্কাশিত হতে পারছে না। ওই পানি বের করার জন্য খালের মাধ্যমে মুক্তেশ্বরী নদীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। কিন্তু পৌরসভা গত দেড় দশকেও সেই উদ্যোগ নিতে পারেনি।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান বলেন, ‘শহরবাসীর অসচেতনতার কারণেও নালার পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ও নালা সংস্কার ও নির্মাণের জন্য এমজিএসপি প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রতিবছর পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করা হয়। এ বছরও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পানি সরাতে কাজ করা হয়েছে।’
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) যশোরের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘চাঁচড়া উপকেন্দ্রে গ্রিড ফেলের সঙ্গে পানি ওঠায় বন্ধ করা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। সংযোগ চালু করা হলেও পুরোপুরি বিদ্যুৎ সেবা স্বাভাবিক হয়নি। দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে।’
তবে দুপুর সাড়ে ৯টা থেকে দুপুরের ভেতরে অধিকাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ পেয়েছেন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: