আপনার ইন্তেকালের পরে 40 দিন সময় লাগবে না এঁদের আপনাকে ভুলে যেতে, হযরত আবু তোহা মোহাম্মদ আদনান
Автор: ABU HANIF B1
Загружено: 2024-02-25
Просмотров: 29
Описание:

‘ইসলামী সংগীত’ : পরিভাষাটা কতটা সঠিক?
আগস্ট ২৩, ২০১৯

মনযূরুল হক
‘ইসলামি সঙ্গীত’ বলে সঙ্গীতশাস্ত্রে কোনও ধারা নেই এবং ইসলামেও ‘ইসলামি সঙ্গীত’ নামে কোনও পরিভাষা নেই।

‘ইসলামি সঙ্গীত’ হলো একটা ধারণা। সমকালীন বিশ্বে বিপুল পরিমাণ ইসলামপন্থী গায়ক ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুর করে গায় এবং এটাকেই তারা ইসলামি সঙ্গীত বলে। কিন্তু দুঃখের কথা হলো, তারা নিজেরাই একে অন্যের গানকে বিভিন্ন অজুহাতে না-জায়েজ বলে। যা না-জায়েজ, তা তো ইসলামি হতে পারে না। আবার ইসলামি সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ মুত্তাকি মুফতির দেখাও আমরা পাই না, যিনি প্রতিটি অনুষঙ্গ ধরে ধরে, ইনস্ট্রুমেন্ট বুঝে বুঝে কোনটা বৈধ বা কোনটা বৈধ নয়, তা চিহ্নিত করে দেবেন। কোনও সেন্সরবোর্ড বা অথরিটিরও দেখা পাইনি আমরা।
বিষয়টা হলো, একটা সঙ্গীতে তিনটি প্রধান অনুষঙ্গ থাকে—কথা, সুর ও বাদ্য। তো এই তিনটার বিচারেই জায়েজ নাকি নাজায়েজ তা নির্ধারণ করা হয়। যারা অন্যের সঙ্গীতকে নাজায়েজ বলেন, তারাও এই তিনটার কোনও একটার গলতি ধরে নাজায়েজ বলেন। হয়তো বলেন ‘তার সুর গানের মতো’, কিংবা বলেন ‘তার কথা শিরকি’, কিংবা বলেন ‘তার সঙ্গীতে বাজনা আছে, বাজনা জায়েজ নেই’ ইত্যাদি। এইভাবে সবার কথা বিবেচনায় নিলে একটি সঙ্গীতও ‘ইসলামি’ বলে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো—সুর, সঙ্গীত ও বাজনাকে ইসলামের মৌলিক বিচার থেকে বিবেচনা করলে প্রচলতি ধারার অনেক গানও সুর ও কথার বিচারে জায়েজ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাহলে সেইসব গানকে কি আপনি ‘ইসলামি সঙ্গীত’ বলতে পারবেন কিংবা বলছেন?
কেউ কেউ আবার ‘ইসলামি সঙ্গীত’ বলে গজল বোঝাতে চায়, কিংবা ‘গজল’কে ‘ইসলামি সঙ্গীত’ হিসেবে আখ্যা দেয়। কেউ আবার আরবিতে ‘নাশিদ’ বলে। এগুলো সবই হলো সঙ্গীত সম্পর্কে নিতান্ত অজ্ঞতার ফসল। ‘নাশিদ’ কোনও ইসলামি সঙ্গীত শাস্ত্রীয় পরিভাষা নয়। আরবি ভাষায় ‘আন-নাশিদুল ওয়াতানি’ (النشيد الوطني) মানে হলো ‘জাতীয় সঙ্গীত’। যেমন জর্ডানের জাতীয় সঙ্গীতকে বলা হয় ‘নাশিদু উরদুন আল-ওয়াতানি’। তো ইসলামি সঙ্গীত দ্বারা আপনি কি কোনও দেশের জাতীয় সঙ্গীতকে বোঝেন?
আর ‘গজল’ হলো সঙ্গীতশাস্ত্রের একটি বিশেষ ধারা। আমরা ভাওয়াইয়া বা ভাটিয়ালি বলতে যেমন গানের বিশেষ ধারাকে বুঝি, তেমন—বরং আরও বিস্তৃত। এভাবে নৃত্যেরও অনেক ধারা আছে। তো গজল হলো একজাতীয় প্রেমসঙ্গীত। সেই প্রেম পার্থিব কিংবা অপার্থিব হতে পারে। উর্দু ও ফার্সি ভাষায় এই গীতধারার সৃষ্টি হয়েছে এবং চর্চাও হয়েছে এইদুটি ভাষাতেই সবচে’ বেশি। বাংলায়ও কিছু হয়েছে নজরুলের হাত ধরে। রুমি, আত্তার ও হাকিম শানাঈ হলেন ফার্সি ভাষায় গজলের প্রধান রচয়িতা। উর্দুতে আমির খসরু গজলের জন্য খ্যাতি কুড়িয়েছেন; গালিব, তকি মীর ও ইকবালও লিখেছেন। গজল ভালো গাইতে হলে ভালো ভাষা-জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এর দুটি পক্ষ আছে : সাহিত্য পক্ষ ও সঙ্গীত পক্ষ। সাহিত্য পক্ষে কাব্য মূল ভূমিকা পালন করে। কাব্য আবার দুভাগে বিভক্ত : তগজ্জুল ও তসব্বুফ। আবার প্রতিটিতে দুটি পর্ব আছে : রাগ পর্ব ও তাল পর্ব। রাগ পর্বে শৃঙ্গার রসের সহায়ক রাগগুলো গজল গানে ব্যবহৃত হয়। টপ্পা ও ঠুমরির মতো গজল প্রধানত কাফি, পিলু, ঝিঝিট, খাম্বাজ, বারোয়া, ভৈরবী রাগে গাওয়া হয়। এসব নিয়ে সংক্ষেপে আলাপ করাও মুশকিল।
গজলকে এক কথায় সুফিগান বলা যায়। হিন্দু ও মুসলিম উভয় জাতের গায়করা গজল চর্চা করেন, করেছেন। ভারতের খ্যাতিমান শিল্পী জগজিৎ সিংকে বলা হয় গজল সম্রাট। লতামঙ্গেশকরের সাথে তার বিখ্যাত অ্যালবাম ‘সাজদা’ হলো উপমারহিত গজলের সঙ্কলন। স্বামী বিবেকানন্দও গজল শিখেছিলেন। একসময় ধ্রুপদি সঙ্গীত হিসেবে অভিজাত পরিবারে গজল শেখার প্রচলন ছিল।
প্রসঙ্গত বলতে হয়, গজল শব্দটি আরবি এবং আরবি কবিতার একটা ধারাকেও ‘গজল’ বলে। ‘আফিফ’ (العفيف) ও ‘সরি
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: