প্রাচীন বাংলার ইতিহাস |
Автор: Ai Rupkotha
Загружено: 2022-08-03
Просмотров: 233
Описание:
প্রাচীন বাংলার ইতিহাস | #history #ancient #bengal
বাংলা শব্দের প্রকৃত অর্থ জানা না গেলেও ধারণা করা হয় যে ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীয় ভাষা থেকে বঙ বা বঙ্গ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। বাংলার আদি অধিবাসী- কোল, ভেল, সাঁওতাল, মুণ্ডা
আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা- অস্ট্রিক/ভেড্ডী (অনার্য ভাষা)
বাঙালি জাতি গড়ে উঠেছে- অস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও আর্য জাতির সংমিশ্রণে
বাংলার ইতিহাস বলতে অধুনা বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের বরাক উপত্যকার বিগত চার সহস্রাব্দের ইতিহাসকে বোঝায়
মগধ সাম্রাজ্য
৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব
ভারতের ইতিহাসে বাংলা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন রোমান ও গ্রিকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই নামে পরিচিত ছিল। চার সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয়।
ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ, বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য গঠিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব দশম শতকে । মহাভারতে পৌন্ড্র রাজ বাসুদেব এর উল্লেখ পাওয়া যায় । মহাভারতে পাওয়া যায় বঙ্গরাজ সমুদ্রসেন ও চন্দ্রসেন ভীমের দিগ্বিজয় আটকে দিয়েছিল । এরা বঙ্গের অতি পরাক্রমশালী নৃপতি ছিলেন ।
খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার অধিকাংশ অঞ্চলই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল । মগধ ছিল একটি প্রাচীন ভারতীয়-আর্য রাজ্য । মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতে পাওয়া যায় ।
ভারতের প্রথম সম্রাজ্য হিসেবে নন্দ সাম্রাজ্য ধরা হয় ৩৪৫-৩২১
পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিমে পাঞ্জাব পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল
এর সম্পর্কে জানা যায় এখানে 2 লক্ষ সৈন্য ও 2000 হাতি ছিল
আলেকজান্ডার মধ্য ভারত থেকে বাংলা দিকে অগ্রসর হয় কিন্তু বাংলার নন্দ সাম্রাজ্যের বিপুল সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে পিছু হটে।
পরবর্তীতে আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস গ্রিক বিজিত রাজ্যগুলো জয় করে সিন্ধু অঞ্চলের রাজ্য স্থাপন করে।
৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয় । এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাকাছি বাংলার বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যায় । আলেকজান্ডার তখন ফিরে যন
মৌর্য সাম্রাজ্য
৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব
মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল ।
321 খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নন্দ সম্রাট কে পরাজিত করে মৌর্য সাম্রাজ্য স্থাপন করে।
মগধ হয় রাজধানী।
আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর অঞ্চলসমূহ সালুকা সেলুকাস শাসন করে সেলুকাস। পরবর্তীতে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কাকে পরাজিত করে ভারতবর্ষের হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পায়। পরবর্তীতে সেলুকাস চন্দ্রগুপ্তের সাথে বিয়ে দিয়ে সম্পর্ক ঠিক রাখে। প্রাচীন গ্রিসের পর্যটক মেগাস্থিলিসের বই থেকে সে যুগের বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। বড়ই বিচিত্র এই দেশ। বাংলার মানুষজন মাত্র 2 ঘন্টা কাজ করতো আমুদে ছিল খাওয়া-দাওয়া করতো, আনন্দ-ফুর্তিতে মেতেছিল আর ঘুমাতো। এদেশের মাটিতে বীজ পড়লেই গাছ হয়, নদীতে জাল ফেললেই ঝাকে ঝাকে মাছ পাওয়া যায়।
রাজধানী ছিল পাটালিপুত্র পুরো রাজধানী উচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল অবকাঠামো কাঠ দিয়ে তৈরি ছিল।
মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
রাজধানী- পাটলীপুত্র
প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য- মৌর্য সাম্রাজ্য
প্রথম সর্বভারতীয় রাষ্ট্র/ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম সাম্রাজ্য স্থাপন করেন- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
সম্রাট অশোক- মৌর্য সম্রাট
সম্রাট অশােকের রাজত্বকালে প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য মৌর্য সাম্রাজ্যের অর্ভুক্ত হয়
কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন।
মৌর্য যুগে বাংলা ছিল ঐশ্বর্যপূর্ণ। বাংলায় মসৃণ সূতিকাপড় তৈরি হতাে, এসব কাপড় পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হতাে
শুধু উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেই নয়, বরং চীন, তিব্বত,বার্মা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশের বৌদ্ধরা এখানে ধর্মজ্ঞান অর্জন করতে আসতেন
• গুপ্ত সাম্রাজ্য
২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ
প্রতিষ্ঠাতা- শ্রীগুপ্ত (উত্তরে শ্রীগুপ্ত না থাকলে চন্দ্রগুপ্ত বা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত উত্তর করতে হবে)
গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর রাজধানী- পাটলীপুত্র
সমুদ্রগুপ্তের মুদ্রা- অশ্বমেধ পরিক্রমা
ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের আমলে
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি- বিক্রমাদিত্য, সিংহবীর
কালিদাস- গুপ্ত যুগের কবি
কালিদাসের মহাকাব্য- মেঘদূত
গৌড় বংশ
গৌড় রাজ্য বাংলার ইতিহাসে বাঙালীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রথম স্বাধীন রাজ্য ছিল যার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন রাজা শশাঙ্ক। তিনি ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন; তবে কিছু ঐতিহাসিকের মতে তিনি ৫৯০ হতে ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্তই রাজত্ব করেছিলেন।
প্রথম ও শ্রেষ্ঠ রাজা- শশাঙ্ক
গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- শশাঙ্ক
শশাঙ্কের উপাধি- মহাসামন্ত, রাজাধিরাজ
শশাঙ্কের রাজধানী- কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ)
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন- রাজা। ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শশাঙ্ক-এর মৃত্যুর পর তার রাজ্যের পতন ঘটে। শশাঙ্কই প্রথম বাংলার রূপরেখা দিয়েছিলেন।
পাল সাম্রাজ্য
৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ
মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজাকে বাংলার রাজা রূপে গ্রহণ করেন ।গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ।পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল এবং দেবপাল। পাল বংশের স্থায়ীত্বকাল ছিল প্রায় ৪০০ বছর। তাঁর শাসনকালে শিল্প কলায় বাংলা শিখরে উঠে। কিন্তু এই সময় বহু ব্রাহ্মণ বৌদ্ধ অত্যাচারে বাংলা ত্যাগ করে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে চলে যায় ।
প্রতিষ্ঠাতা- গোপাল
শ্রেষ্ঠ রাজা- ধর্মপাল
পাল বংশের রাজারা রাজত্ব করেন- ৪০০ বছর
সোমপুর বিহার প্রতিষ্ঠা করেন- ধর্মপাল
সোমপুর বিহার- নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর
বাংলায় পাল বংশের শেষ রাজা- রামপাল
সেন বংশ
প্রতিষ্ঠাতা- হেমন্ত সেন
শেষ্ঠ রাজা/সম্রাট- বিজয়সেন
বিজয় সেনের উপাধি- গৌড়েশ্বর
বল্লাল সেনের রচনা- দানসাগর, অদ্ভূত সাগর
সেন বংশের শেষ রাজা- লক্ষণ সেন
বাংলার শেষ হিন্দু রাজা- লক্ষণ সেন
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: