দেবকুণ্ড ,কালা ড্যাম নীলগিরি রাজবাড়ী ও জগন্নাথ মন্দির ভ্রমণ @ WANDER THIRST
Автор: Travel with TUSHAR DEB
Загружено: 2025-05-22
Просмотров: 54
Описание:
ডেবকুণ্ড...দেবকুণ্ড (Debakunda) ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ (Mayurbhanj) জেলার নীলগিরি পাহাড় ও সিমলিপাল বনভূমির এক প্রাকৃতিক ও পৌরাণিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান। এটি একটি সুন্দর জলপ্রপাত এবং পবিত্র কুণ্ড, যা বহু পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে। নিচে দেবকুণ্ডু সংক্রান্ত কিছু পৌরাণিক কাহিনী উল্লেখ করা হলো:
পৌরাণিক কাহিনী:
1. দেবতাদের স্নানস্থল: পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবতা ও দেবীরা এই কুণ্ডে স্নান করতেন বলে এর নাম “দেবকুণ্ড” (অর্থাৎ দেবতাদের কুণ্ড)। এটি এক পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।
2. মাতা অম্বিকা বা অম্বিকা দেবী মন্দির: দেবকুণ্ডের নিকটেই অম্বিকা দেবীর একটি মন্দির আছে। লোককথা অনুযায়ী, দেবী পার্বতী এখানে তপস্যা করেছিলেন এবং এই স্থান দেবীশক্তির এক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, দেবীর কৃপায় এখানে রোগ-ব্যাধি ও কষ্ট থেকে মুক্তি মেলে।
3. পাণ্ডবদের সাথে সংযুক্তি: কিছু লোকজ কাহিনীতে বলা হয়, মহাভারতের পাণ্ডবরা বনবাস কালে এই অঞ্চলে এসেছিলেন এবং এই কুণ্ডে স্নান ও ধ্যান করেছিলেন। সিমলিপালের গভীর অরণ্য তাদের আশ্রয়স্থল ছিল।
..………..........................
...................................
ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক দিক:
দেবকুণ্ডু সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভের অংশ, যেখানে হরিণ, বাঘ, হাতি ও নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
এটি একটি পিকনিক ও ট্রেকিং স্পট হিসেবেও পরিচিত।
এখানে মাথাপিছু ৭০ টাকা করে টিকিট মূল্য।
ব্যাটারি চালিত গাড়ি করে যেতে হয়।
কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক থাকে না এখানে।
বর্ষাকাল হল এই দেবকুন্ডো ভ্রমণের আদর্শ সময়।
…..................
.................
কালা ড্যাম ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার কাপ্তিপদা ব্লকে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাধার, যা কালা নদীর উপর নির্মিত। এটি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৯৮২ সালে সম্পূর্ণ হয়। প্রায় ২,৪৫৮ মিটার দীর্ঘ ও প্রায় ২৪ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন এই ড্যামটি মাটি ও পাথরের মিশ্রণে নির্মিত একটি গ্র্যাভিটি টাইপ ড্যাম। জলাধারের ধারণক্ষমতা প্রায় ২৯.৭০ মিলিয়ন ঘনমিটার, যা মূলত কৃষিকাজ ও স্থানীয় জনগণের চাহিদা পূরণে ব্যবহৃত হয়।
ড্যামটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো সেচ সুবিধা প্রদান। এর মাধ্যমে আশেপাশের বহু কৃষিজমি সেচসুবিধা পায় এবং স্থানীয় চাষিরা ধান, তিল, গম প্রভৃতি চাষে উপকৃত হন। এছাড়াও জলাধারে মাছ চাষ হয়, যা স্থানীয় জেলেদের জীবিকায় সহায়তা করে। ড্যামটি আজ স্থানীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পর্যটনের দিক থেকে কালা ড্যাম একটি আকর্ষণীয় স্থান। চারপাশে পাহাড়, বন এবং সবুজ প্রকৃতি একে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরিণত করেছে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এখানে দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম। জলাধারের পাশে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। স্থানীয় লোকজন এখানে পিকনিক করতে আসে, বিশেষ করে শীতকালে।
ড্যামের আশেপাশে প্রতি শনিবার একটি স্থানীয় হাট বসে, যেখানে তাজা শাকসবজি, মাছ, মিষ্টি ও হস্তশিল্প দ্রব্য কেনাবেচা হয়। স্থানীয় সংস্কৃতি ও গ্রামীণ জীবনের একটি বাস্তব রূপ এখানে উপলব্ধি করা যায়।
উদালা কালা ড্যামের সবচেয়ে কাছের শহর (প্রায় ১৮ কিমি দূরে)। বারিপদা থেকে প্রায় ৫৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই স্থানটিতে গাড়ি, অটো বা স্থানীয় বাসে পৌঁছানো যায়। কলকাতা থেকে সড়কপথে দূরত্ব প্রায় ২৮০ কিমি।
থাকার জন্য কাছাকাছি কিছু গেস্ট হাউস ও লজ রয়েছে উদালা ও বারিপদা অঞ্চলে। ওড়িশা ট্যুরিজম কর্তৃক পরিচালিত অতিথিশালায় আগে থেকে বুকিং করলে থাকা যায়।
যদিও এটি প্রাকৃতিক ও শান্ত পরিবেশের অধিকারী, তবে বর্ষাকালে জলধারা খুবই প্রবল হয় এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হয়। ড্যামের পাশে সাঁতার কাটা বা স্নান করার অনুমতি নেই, কারণ এটি গভীর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
সব মিলিয়ে, কালা ড্যাম একটি বহুমুখী গুরুত্বসম্পন্ন স্থান—যেখানে কৃষি, জীবিকা, প্রকৃতি ও পর্যটন একসাথে মিলেমিশে গেছে। এটি শুধু জল সংরক্ষণের কেন্দ্র নয়, বরং স্থানীয় জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি জীবনরেখা।
...........
...........
নীলগিরি রাজবাড়ী
নীলগিরি রাজ্য ১১২৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি ব্রিটিশ ভারতের একটি দেশীয় রাজ্য ছিল। রাজ্যটির রাজধানী ছিল নীলগিরি শহরে, এবং এটি পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এজেন্সির অন্তর্গত ছিল। ১৯৪৯ সালে নীলগিরি রাজ্য ভারতীয় অধিরাজ্যে যোগদান করে এবং বালেশ্বর জেলার সঙ্গে একত্রিত হয়।
নীলগিরি রাজবাড়ী, রাজ্যের শাসকদের বাসস্থান, একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা যা আজও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে। রাজবাড়ীর স্থাপত্যশৈলী এবং ইতিহাস স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
---
🛕 নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির
নীলগিরি শহরে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দিরটি স্থানীয় জনগণের ধর্মীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন্দিরে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার পূজা হয়। প্রতি বছর রথযাত্রা উপলক্ষে মন্দিরে বিশেষ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যা বহু ভক্ত ও পর্যটককে আকর্ষণ করে।
মন্দিরের স্থাপত্য ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ওড়িশার বৈষ্ণব ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতিফলন। স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, মন্দিরটি প্রাচীনকালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি স্থানীয় জনগণের আস্থা ও ভক্তির কেন্দ্রস্থল।
---
নীলগিরি রাজবাড়ী ও জগন্নাথ মন্দিরের দর্শন ওড়িশার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই স্থানগুলি ইতিহাসপ্রেমী ও ভক্তদের জন্য একটি অনন্য গন্তব্য।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: