Little Doctor স্কুলের ক্ষুদে ডাক্তার
Автор: news feed bogura
Загружено: 2022-08-25
Просмотров: 349
Описание:
ওরা স্কুলের ক্ষুদে ডাক্তার-ওজন নিয়ে ব্লাড প্রেসার পালস দৃষ্টিশক্তি পরিমাপ করে ॥ রিপোর্ট জমা দেয় ॥
বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জান্নাতুল আলম ব্লাড প্রেসার (বিপি) মাপতে পারে। স্টেথো ও বিপি যন্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের হার্টবিট রক্তচাপ পরিমাপ ছাড়াও ওজন উচ্চতা দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে। এভাবে স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে সে। তার সঙ্গে আছে আসফিয়া মুনতাহা,সাফিয়া ইসলাম,নাফিজা তাসনিম,আদৃতা,তাহিয়া আয়েশা মেহজাবিন,শায়িরা আযম আস্থা সহ ১২ সদস্যের টিম। প্রত্যেকেই ডাক্তারদের মতো এ্যাপ্রোন পরে স্কুলের মাঠে কাজ করছে। এরা ক্ষুদে ডাক্তার। ওই স্কুলের দুই শিফটের ৩০ জন ক্ষুদে ডাক্তার ২০ থেকে ২৬ আগষ্ট পর্যন্ত ১ হাজার ৯শ’৫৮ জন শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। জান্নাতুল আলম বলল সে ডাক্তার হবে। সেই আগ্রহে ক্ষুদে ডাক্তার হয়েছে। সে জেনেছে এই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারী মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ছে। সেও তাদের মতো এমবিবিএস পড়বে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বললেন ওদের শিশুমনে ডাক্তার হওয়ার এই আকাক্সক্ষা আগামীতে অনেক দূর এগিয়ে নেবে। স্কুলের বায়োলজি ল্যাব থেকে ফার্স্ট এইড বক্স, স্টেথো, বিপি মেশিন, ওজন মাপার যন্ত্র থারমাল স্ক্যানার দেয়া হয়েছে।
লাইফস্টাইল হেলথ এডুকেশন এ্যান্ড প্রমোশন স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে দেশজুড়ে প্রতিটি স্কুলে সপ্তাহব্যাপি এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০ আগস্ট। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলার লক্ষ্যেই এই আয়োজন। এ জন্য প্রতিটি স্কুলে উচ্চতা ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে। দৃষ্টি শক্তি পরীক্ষা করা হয় নির্দিষ্ট দূরত্বে ইংরেজি ও বাংলা অক্ষরের বোর্ড রেখে পড়তে বলা হয়। ক্ষুদে ডাক্তাররা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কমবেশি হলে তা নোট করে রাখে। এই খাতা থাকে প্রধান শিক্ষকের কাছে। তিনি চিকিৎসকদের কাছে রিপোর্ট দেখান। চিকিৎসকের মতামত পেয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন। এই বিষয়ে ডাঃ সামির হোসেন মিশু জানান ক্ষুদে ডাক্তারদের দেয়া রিপোর্ট শতভাগ ঠিক।
এইভাবে প্রতিটি স্কুলের ক্ষুদে ডাক্তারগন বছরে একবার স্কুলের সকল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যের প্রাথমিক পরীক্ষা সেরে নিচ্ছে। এইসব ক্ষুদে ডাক্তারদের স্কুলে ডাক্তারি করার আগে প্রাথমিক পাঠ দেন জেলার চিকিৎসকগন। এই বিষয়ে বগুড়ার সিভিল সার্জন শফিউল আজম জানান, এই কর্মসূচী আগে ছিল শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় চতুথ ও পঞ্চম শ্রেনীর নির্বাচিত পাঁচজন করে ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম। পরে কমূসূচীটি প্রাথমিক স্কুলের সঙ্গে মাধ্যমিক স্কুলের ৬ষ্ঠ ৭ম ও নবম শ্রেনীর নির্বাচিত পাঁচজন করে ১৫ জন ক্ষুদে ডাক্তামের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়।
বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এই কর্মসূচীতে শিক্ষার্থীরা এতটাই আপ্লুত যে নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে অনেক শিক্ষার্থী ক্ষুদে ডাক্তার হয়েছে। অনেকে স্টেথো বিপি মেশিন সংগ্রহ করে আত্নীয় ও পরিচিত চিকিৎসকগনের কাছে থেকে। এই বিষয়ে বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ সামির হোসেন মিশু বলেন, ক্ষুদে ডাক্তারদের আগ্রহ এত বেশি যে স্কুলে ডাক্তারি করার সঙ্গে পাঠেও মনযোগী হয়েছে। এই এ্যাম্বিশনে ডাক্তারি পড়ার পথে অনেকদূর এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ডাক্তারি পাঠে অধিক আগ্রহী হয় কর্মসূচীর সঙ্গে সেই লক্ষ্য আছে।
সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানালেন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষুদে ডাক্তার হওয়ার এতটা আগ্রহ দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। ওদের একটাই কথা ক্ষুদে ডাক্তার হয়ে তারা আরও বেশি লেখাপড়া করবে। যাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়ে ডাক্তারী পরীক্ষায় টিকতে পারে। ক্ষুদে ডাক্তাররা এ্যাপ্রোন পরে হাতে বিপি মেশিন কাঁধে স্টেথো নিয়ে যখন মাঠে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবার পরীক্ষা করে মনে হবে সত্যিই কোন ডাক্তার স্কুলে এসেছে। তিনি জানালেন এই স্কুলে পাঠ নেয়া অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাক্তারি করছেন। অনেকে মেডিক্যাল কলেজে লেখাপড়া করছে। এদের দু’জন পৃথ্বা ও তন্দ্রা বর্তমানে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ক’জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। ওদের মতো এই ক্ষুদে ডাক্তাররা একদিন প্রকৃত ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের কল্যানে এগিয়ে যাবে। #
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: