রিজিকের মালিক কে?

Описание: রিজিক একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ জীবিকা, খাদ্য, ভরণপোষণ, জীবনোপকরণ, আয়-উপার্জন, ধন-সম্পদ ইত্যাদি। ইসলামি পরিভাষায় রিজিক বলতে বোঝায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে জীবজন্তুর জীবন ধারণের জন্য সব ধরনের উপকরণ, যা তিনি তাদের জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন।
রিজিকের ধারণা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রিজিক সম্পর্কে কিছু ধারণা তুলে ধরা হলো:
রিজিকের উৎস:
ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, রিজিকের একমাত্র উৎস হলেন আল্লাহ তায়ালা। তিনিই সব জীবজন্তুর রিজিক নির্ধারণ করেন এবং তা তাদের কাছে পৌঁছে দেন।
কোরআনে বলা হয়েছে, "পৃথিবীতে বিচরণশীল সব প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহরই।" (সূরা হুদ, আয়াত ৬)
রিজিকের প্রকারভেদ:
রিজিক শুধু খাদ্য বা অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। যেমন: সুস্থতা, জ্ঞান, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি মানসিক শান্তিও রিজিকের অংশ।
রিজিক ও প্রচেষ্টা:
ইসলামে রিজিকের জন্য প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে চেষ্টা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং বলেছেন, চেষ্টার মাধ্যমেই তিনি রিজিক দান করবেন।
তবে, মনে রাখতে হবে যে, প্রচেষ্টা শুধু একটি মাধ্যম, প্রকৃত রিজিকদাতা হলেন আল্লাহ তায়ালা।
রিজিক ও তাকদির:
ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতিটি মানুষের রিজিক তাকদির বা ভাগ্যে নির্ধারিত থাকে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই রিজিক পাবে।
চেষ্টার মাধ্যমে মানুষ তার নির্ধারিত রিজিক অর্জন করে।
রিজিক ও কৃতজ্ঞতা:
ইসলামে রিজিকের জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার দেওয়া রিজিকের জন্য সর্বদা তাঁর শুকরিয়া আদায় করা উচিত।
রিজিক সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য:
রিজিক হালাল উপায়ে উপার্জন করা উচিত। হারাম উপায়ে উপার্জিত রিজিক বরকতহীন এবং ক্ষতিকর।
রিজিকের জন্য দুশ্চিন্তা না করে আল্লাহর ওপর ভরসা করা উচিত। তিনি অবশ্যই তাঁর বান্দাদের রিজিকের ব্যবস্থা করবেন।
রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।
আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে।