বাচ্চার ডায়রিয়া হলে করণীয়। Diarrhoea (Loose Motions) in Babies
Автор: MediTalk Digital
Загружено: 2022-12-02
Просмотров: 907
Описание:
মেডিলাইভের ২০৭৯ তম পর্ব - মেরিল বেবি ডক্টর’স আওয়ার’-এর সপ্তম পর্বের বিষয় ''শিশুর ডায়রিয়া', সাথে থাকছেন জেড. এইচ. শিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং শিশু পুষ্টি ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ ডা. সাদিকা কাদির' / Media Partner - MediTalk Digital
শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়
বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে ডায়রিয়া রোগের ভয়াবহ রূপ নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডায়রিয়া সংক্রমণ দেশজুড়ে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে খাবার পানির সঙ্গে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সকল এলাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সম্প্রতি বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতেও বেড়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ।
ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও নারীরা। সময়মতো চিকিৎসা না দিতে পারলে এটি মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের ডায়রিয়া প্রতিরোধে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। শিশুদের শরীরে কোষের বাইরের পানি বা এক্সটা সেলুলার ফ্লুইড বেশী থাকে। ফলে ডায়রিয়া হলে সহজেই তাদের শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানিশূন্যতা তীব্র হলে শিশু অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। আবার কখনো কিডনি বিকলও হয়ে যেতে পারে।
আইসিডিডিআরবি’র সূত্রমতে, মাত্র ১২ দিনে ১৩ হাজার ৪৮৩ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশী।
গরমকালে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। ঠিকভাবে পানি ও লবণ পূরণ করা হলে, এটি কখনো গুরুতর আকার ধারণ করে না। বেশীর ভাগ ডায়রিয়া এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন খাওয়া, এমনকি এর চিকিৎসা নিয়ে এখনো রয়ে গেছে কিছু ভুল ধারণা।
বিশেষজ্ঞদের মতে উচ্চ রক্তচাপ আছে, এমন রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ওরস্যালাইন খেতে বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কেননা, স্যালাইনে লবণ আছে, তাদের আশঙ্কা ওরস্যালাইন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এটি ভুল ধারণা। প্রতিবার পাতলা পায়খানার সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়। তা যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে, রোগীর পানিশূন্যতা, লবনশূন্যতা এমনকি রক্তচাপ কমে গিয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে মৃত্যুও হতে পারে।
ওরস্যালাইনে চিনি বা গ্লুকোজ থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে ভয় পান। অনেকে মনে করেন, ওরস্যালাইন খাওয়ার পরে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ওরস্যালাইনে যে সামান্য চিনি বা গ্লুকোজ আছে, তা অন্ত্রে লবণ শোষণের কাজে ব্যয়িত হয়। সুতরাং ডায়রিয়ার সময় ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে ওরস্যালাইন খেতে পারবেন।
স্যালাইন কতটুকু খেতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার পাতলা পায়খানা হচ্ছে বা কতটুকু পানি হারাচ্ছেন তার ওপর। ডায়রিয়ার কারণে একজন মানুষ মাত্র কয়েক ঘণ্টায় এক থেকে দেড় লিটারের বেশি পানি হারাতে পারেন।
সহজ কথা হলো, প্রতিবার পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া এবং অল্প করে সারাদিন বারবার খাওয়া। এর বাইরে সারাদিন পানি ও তরল খাবার যেমন-স্যুপ, ডাবের পানি ইত্যাদি খেতে হবে। অনেক সময় ফুড পয়জনিংয়ের কারণে বমি বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। মানুষ স্বভাবতই ফার্মেসি থেকে বমি বা পাতলা পায়খানা দ্রুত বন্ধের জন্য ওষুধ খান, যা একেবারেই ঠিক নয়।
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাওয়া ঠিক না, কারণ পয়জনিংয়ের ক্ষেত্রে বরং কিছু সময় বমি ও পাতলা পায়খানার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ পয়জন বের হয়ে যায়। সব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া জরুরি নয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজন দেহের লবণ ও পানিশূন্যতা পূরণ করা। দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বারবার পাতলা পায়খানা করার ফলে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এর ফলে রোগী পানিশূন্য হয়ে পড়ে। সে কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া শুরু হলে আধা সের/লিটার বিশুদ্ধ পানিতে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ভালোভাবে মিশিয়ে রোগীকে খাওয়াতে হবে। বয়স দুই বছরের নিচে হলে তাদের প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০ থেকে ২০ চা চামচ, দুই বছরের বেশী বয়সীদের ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৪০ চা চামচ করে যতবার পাতলা পায়খানা হবে ততবারই খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। যে কোনো ওষুধ এবং পানের দোকানেও খাবার স্যালাইনের প্যাকেট পাওয়া যায়।
বানানো খাবার স্যালাইন ৬ (ছয়) ঘণ্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়। এরপর প্রয়োজন হলে আবার নতুন করে খাবার স্যালাইন বানাতে হবে। শিশুর ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি মায়ের বুকের দুধ বেশী করে খাওয়াতে হবে। এছাড়া বড়দের স্বাভাবিক সবধরনের খাবার খাওয়াতে হবে। তবে তরল জাতীয় খাবার বেশী করে খাওয়াতে হবে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ভাতের মাড়, ডাবের পানি, চিড়ার পানি, লবন-গুড়ের শরবত, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ খাবার পানি খাওয়াতে হবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে রোগীদের বিশেষভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বন্যা ও বর্ষণজনিত রোগ সংক্রান্তদের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বর্তমান মৌসুমে আমাদের দেশে সাধারণত ৩ (তিন) মাস থেকে ১২ (বার) বছরের শিশুরা ডায়রিয়া, কলেরা, জ্বর, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড, আমাশয় ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন, অন্যদিকে অপ্রত্যাশিত বন্যা ও বর্ষণ। নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকদের মধ্যে এ রোগ বেশী হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতার কারণে গরিব মা-বাবা শিশুদের প্রতি দায়িত্বশীল হতে পারেন না। সঠিক সময় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন না। ফলে অকালেই মারা যায় অনেক শিশু।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: