শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত লোকের পার্থক্য

Описание: শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত লোকের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। তবে, "শিক্ষিত" এবং "অশিক্ষিত" শব্দ দুটি কেবলমাত্র শিক্ষা লাভের পরিপ্রেক্ষিতেই নির্ধারিত হয় না, বরং ব্যক্তি তার চিন্তাভাবনা, আচরণ, সামাজিক মূল্যবোধ এবং জীবনযাত্রার দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও নির্ভর করে।

শিক্ষিত লোকের কিছু বৈশিষ্ট্য:

জ্ঞান ও দক্ষতা: শিক্ষিত মানুষ সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তৃত জ্ঞান অর্জন করে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তা করতে পারে এবং সমস্যার সমাধানে চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে।

সামাজিক দৃষ্টি: শিক্ষিত ব্যক্তি সমাজের প্রতি সচেতন থাকে। তারা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় আগ্রহী এবং সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করে।

শিষ্টাচার ও ব্যবহার: শিক্ষিত ব্যক্তি সাধারণত শিষ্টাচার অনুসরণ করে, তারা কথাবার্তায় ভদ্র এবং নম্র হয়। তারা অন্যদের প্রতি সম্মান দেখায়।

সামাজিক মূল্যবোধ: শিক্ষিত লোকেরা সাধারণত মানবাধিকার, পরিবেশ, সমতা এবং ন্যায্যতা সম্পর্কে সচেতন থাকে।

অশিক্ষিত লোকের কিছু বৈশিষ্ট্য:

সীমিত জ্ঞান: অশিক্ষিত ব্যক্তির জ্ঞান সীমিত হতে পারে, কারণ তারা সঠিকভাবে শিক্ষা লাভ করেনি বা তাদের সুযোগ সীমিত ছিল।

অজ্ঞতা বা সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি: তারা অনেক সময় বিভিন্ন বিষয় বা মতামত সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে এবং একটি সংকীর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করে।

কঠিন জীবনযাপন: অশিক্ষিত ব্যক্তি সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে কম দক্ষ এবং তাদের জীবনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, যা তাদের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

প্রথাগত মনোভাব: অনেক অশিক্ষিত লোক সমাজের পুরনো প্রথা ও বিশ্বাসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে পারে, যা তাদের অগ্রগতিতে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে।

তবে, এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—শিক্ষিত হওয়ার মানে শুধু পুঁথিগত শিক্ষাই নয়, জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা এবং নিজস্ব উপলব্ধি শক্তি দ্বারা আমরা যেভাবে সমাজে ভূমিকা রাখি, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। "অশিক্ষিত" হওয়া মানে যে কোনো মানুষ নৈতিক বা সামাজিকভাবে উন্নত হতে পারে না, এমন নয়।