হরিদ্বার রামঠাকুর আশ্রমে মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য | Haridwar Ramthakur Ashram

Описание: হরিদ্বার শ্রীশ্রী রামঠাকুর আশ্রমে প্রথমবারের মতো শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য মহাশয়
.......

প্রথমবারের মতো সপ্তপুরী হরিদ্বার শ্রীশ্রী রামঠাকুর আশ্রমে শুভ পদার্পণ করেন শ্রীশ্রী কৈবল্যনাথের পরম পূজ্যপাদ মোহন্ত মহারাজ শ্রীমৎ কালীপদ ভট্টাচার্য্য মহাশয়। পূজ্যপাদ মোহন্ত মহারাজকে পেয়ে শ্রীমন্দিরের ভক্তগণ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেন। মন্দিরের কার্য্যকরী কমিটির সভাপতি নিজেই হারমোনিয়াম বাঁজিয়ে এবং কমিটির অন্যান্য সভ্যগণ মূহুর্মূহু হরিনাম সংকীর্তনের মাধ্যমে মোহন্ত মহারাজকে বরণ করে নেন। যতটুকু সময় পূজ্যপাদ মোহন্ত মহারাজ সেখানে ছিলেন সবার মাঝে যেন আনন্দের বন্যা বইয়ে গেছে। তিনি ঠাকুরকে প্রণাম করে উপস্থিত নামকৃপাপ্রার্থী ভক্তদের মাঝে শ্রীনাম বিতরণ করেন এবং উপস্থিত ভক্তগণের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এরপর সকলের প্রসাদ গ্রহণ করা শেষ হলে তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত সফরের ইতি টেনে পুনরায় দিল্লীর পথে রওয়ানা হন।

হরিদ্বার সম্পর্কে:-
হরিদ্বার বা হরদ্বারকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে সপ্তপুরী নামে পরিচিত সাতটি পবিত্রতম স্থানের একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সমুদ্রমন্থন অনুসারে, উজ্জয়িনী, নাশিক এবং প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ)-সহ হরিদ্বার এমন চারটি স্থানের মধ্যে একটি যেখানে অমৃতের বিন্দু, (যা অমরত্ব প্রদান করে) পড়েছিল। মহাজাগতিক পাখি গরুড় অমৃতের কলস বহন করার সময় দুর্ঘটনাক্রমে অমৃত ছড়িয়ে পড়েছিল। এটি কুম্ভমেলায় অভিব্যক্ত হয়েছে, যা প্রতি ১২ বছরে একবার হরিদ্বারে পালিত হয়। হরিদ্বার কুম্ভ মেলা চলাকালীন, লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী, ভক্ত এবং পর্যটকরা মোক্ষ অর্জনের জন্য এবং তাদের স্খালন করার জন্য গঙ্গা নদীর তীরে ধর্মীয় স্নান করতে হরিদ্বারে জমায়েত হয়। ব্রহ্ম কুণ্ড হচ্ছে সেই জায়গা, যেখানে অমৃত পড়েছিল। এটি হর কি পৌরিতে অবস্থিত (আক্ষরিক অর্থে, "প্রভুর পদবিন্যাস") এবং হরিদ্বারের সবচেয়ে পবিত্র ঘাট হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি কাঁওয়ার তীর্থযাত্রার প্রাথমিক কেন্দ্রও, যেখান থেকে লক্ষ লক্ষ অংশগ্রহণকারী গঙ্গা থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে এবং শত শত মাইল বয়ে নিয়ে গিয়ে, শিব মন্দিরগুলিতে নৈবেদ্য হিসাবে দেয়।