জুট মিল লাইফ।সোনালী আঁশের গল্প।জুট মিলের ভেতরের অজানা গল্প।জুট মিল শ্রমিকদের বাস্তব জীবন ও অভিজ্ঞতা।
Автор: Jute Mill Life
Загружено: 2025-09-29
Просмотров: 228
Описание:
জুট মিল লাইফ-এ আপনাকে স্বাগতম!
এই চ্যানেলটি বাংলাদেশের সোনালী আঁশ শিল্প তথা জুট মিলের জীবনধারা, পরিশ্রমী শ্রমিকদের গল্প এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ার বাস্তব চিত্র তুলে ধরতে নিবেদিত।
⏩ এখানে যা পাবেন:-
-জুট মিলের ভিতরের জীবনয।
-ন্ত্রপাতি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া।
-শ্রমিকদের গল্প ও সাক্ষাৎকার।
-ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও অনুষ্ঠান।
-জুট শিল্পের ইতিহাস।
🔔 সাবস্ক্রাইব করে আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং জানুন জুট মিল জীবনের অজানা কাহিনি।🔔
🏭 জুট মিলেরa জন্ম :-
🌏 পৃথিবীতে প্রথম জুট মিল :-
পাট হাজার বছর ধরে মানুষ ব্যবহার করছে, কিন্তু সেটা ছিল হাতে তৈরি দড়ি, কাপড় বা নৌকার পাল।
শিল্প বিপ্লবের সময় (১৮শ শতাব্দী) ইউরোপে যখন মেশিন আবিষ্কার হলো, তখনই চিন্তা করা হলো কিভাবে পাটকে যন্ত্রের সাহায্যে প্রক্রিয়াজাত করা যায়।
১৮৫৫ সালে স্কটল্যান্ডের ডান্ডি শহরে প্রথম জুট মিল চালু হয়। ডান্ডিকে বলা হতো “Juteopolis” (জুট নগরী), কারণ তখন পুরো ইউরোপের জুট শিল্প সেখানেই গড়ে উঠেছিল।
🇧🇩 বাংলাদেশে জুট মিলের জন্ম :-
স্বাধীনতার আগে (১৯৪৭ সালের বিভাজনের পর) প্রায় সব বড় মিল ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ (কলকাতা ও আশেপাশে)।
তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে (আজকের বাংলাদেশে) পাট উৎপাদন হতো প্রচুর, কিন্তু মিল ছিল না।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি খাতে মিল গড়ে ওঠে।
নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম, পাবনা, রাজশাহীতে ধীরে ধীরে অনেক জুট মিল তৈরি হয়।
১৯৫২ সালে “আদমজী জুট মিল” স্থাপিত হয় নারায়ণগঞ্জে, যা একসময় ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুট মিল।
🟩 জুট মিলের গুরুত্ব :-
জুট মিল বাংলাদেশের শিল্পায়নের প্রথম ধাপ।
একসময় রপ্তানি আয়ের ৭০% এর বেশি আসত পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে।
এজন্য পাটকে বলা হতো “সোনালী আঁশ” আর জুট মিলকে বলা হতো বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র।
✨ সংক্ষেপে :-
১৮৫৫ → স্কটল্যান্ডে প্রথম জুট মিল।
১৮৫৪ → ভারতের কলকাতার কাছে প্রথম জুট মিল।
১৯৫২ → বাংলাদেশে আদমজী জুট মিল (তখনকার বিশ্বের সবচেয়ে বড় মিল)।
🌿 পাটের জন্ম বা উৎপত্তি :-
🌿পাট কোথা থেকে এসেছে :-
পাট হলো একধরনের প্রাকৃতিক আঁশ, যাকে বলা হয় “Golden Fibre” বা সোনালী আঁশ।
এর বৈজ্ঞানিক নাম: Corchorus capsularis ও Corchorus olitorius।
ধারণা করা হয়, পাটের আদি জন্মভূমি হলো ভারতীয় উপমহাদেশ—বাংলাদেশ, ভারত ও আশপাশের অঞ্চল।
প্রায় ৫,০০০ বছর আগেও বাংলার মাটিতে পাট চাষ হতো এবং লোকেরা কাপড়, দড়ি, নৌকার পাল বানাতে ব্যবহার করত।
🇧🇩বাংলায় পাট :-
বাংলাদেশের জলবায়ু (বর্ষা, প্রচুর বৃষ্টি ও উর্বর মাটি) পাটের জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
তাই বাংলার কৃষকেরা যুগ যুগ ধরে পাট ফলিয়ে আসছে।
ব্রিটিশ আমল থেকেই পাট হয়ে ওঠে রপ্তানির প্রধান ফসল, আর তখন থেকেই বাংলাকে বলা হতো—“পাটের দেশ”।
🏭 জুট মিলের প্রধান মেশিন।
👉 জুট মিল বা পাটকলের উৎপাদন মুখী প্রতিটি মেশিনের আলাদা কাজ রয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটি মূলত পাটকে কাঁচা অবস্থা থেকে শুরু করে সুতা ও বস্তা তৈরির পর্যায়ে নিয়ে যায়। নিচে ধাপে ধাপে প্রতিটি মেশিনের কাজ দেওয়া হলো :-
১. Softener Machine (সফটেনার মেশিন) :-
কাঁচা পাটকে রোল আকারে মেশিনে ঢুকানো হয়।
তেলে মাখানো হয় এবং পাটকে নরম ও নমনীয় করে।
পাটের শক্ত ভাব দূর হয়।
২. Breaker Carding Machine (ব্রেকার কার্ডিং):-
সফটেনার থেকে আসা পাটকে সমানভাবে খোলা হয়।
আঁশগুলোকে আলাদা করে সরল রেখায় আনা হয়।
ফিতার মতো আকারে রূপান্তর করে।
৩. Finisher Carding Machine (ফিনিশার কার্ডিং):-
ব্রেকার কার্ডিং থেকে আসা ফিতাকে আরও পরিশোধিত করে।
সমানভাবে পরিষ্কার করে সূক্ষ্ম ও মসৃণ করা হয়।
পরবর্তী ধাপের জন্য ভালো মানের ফিতা প্রস্তুত হয়।
৪. Drawing Frame Machine (ড্রয়িং ফ্রেম):-
কার্ডিং থেকে আসা ফিতাগুলো একত্রিত করে।
আঁশগুলোকে আরও সমান্তরাল করে।
মোটা-পাতলা ফিতাকে সমান পুরুত্বে আনা হয়।
সাধারণত একাধিক ড্রয়িং ধাপ থাকে (1st Drawing, 2nd Drawing, 3rd Drawing)।
৫. Spinning Frame (স্পিনিং মেশিন):-
ড্রয়িং থেকে আসা ফিতাকে সুতোয় রূপান্তর করে।
মুচড়িয়ে টান দিয়ে শক্ত সুতো তৈরি করা হয়।
Cone বা Bobbin আকারে সুতো রিল করা হয়।
৬. Winding Machine (ওয়াইন্ডিং মেশিন):-
স্পিনিং থেকে আসা সুতোকে বড় প্যাকেজ আকারে গোটানো হয়।
সমানভাবে সুতার লম্বা লম্বা প্যাক তৈরি হয়।
৭. Beaming Machine (বিমিং মেশিন):-
ওয়াইন্ডিং করা সুতোকে Beam আকারে সাজানো হয়।
লম্বালম্বি সুতো Warp তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়।
৮. Weaving Loom (উইভিং লুম / তাঁত মেশিন):-
Warp ও Weft সুতো ব্যবহার করে কাপড় বা Hessian Cloth তৈরি করে।
এখানে পাটের বস্তা, কার্পেট ব্যাকিং, ক্যানভাস ইত্যাদি তৈরি হয়।
🧑🤝🧑 জুট মিলের শ্রমিক ও দায়িত্ব 👫
জুট মিলের শ্রমিক বা ওয়ার্কাররা মূলত পাটের কাঁচা অবস্থা থেকে শুরু করে বস্তা বা সুতো তৈরি হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকেন। তাদের কাজ ধাপে ধাপে আলাদা হয়। নিচে প্রধান শ্রমিক ও তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো—
১. Softener Operator :
পাটকে সফটেনার মেশিনে ঢোকানো ও তেল মেখে নরম করা।
মেশিনের সঠিক গতি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
২. Carding Worker :
ব্রেকার ও ফিনিশার কার্ডিং মেশিনের তত্ত্বাবধান।
আঁশ সমানভাবে ফিতা আকারে বের হচ্ছে কিনা তা দেখাশোনা।
৩. Drawing Frame Worker :
ড্রয়িং ফ্রেমে ফিতার পুরুত্ব ও সমান্তরালতা নিয়ন্ত্রণ।
যেকোনো ঝাপটা বা ছিদ্র থাকলে তা ঠিক করা।
৪. Spinning Worker :
ফিতা থেকে সুতো তৈরি।
সুতো টান, পুরুত্ব ও শক্তি ঠিক আছে কিনা দেখাশোনা।
৫. Winding Worker :
সুতো প্যাকেজে (Cone/Bobbin) গোটানো।
প্যাকেজে কোনো ত্রুটি থাকলে ঠিক করা।
৬. Beaming & Loom Worker :
বীমিং মেশিনে সুতো ঠিকভাবে সাজানো।
লুমে কাপড় বোনা ও মেশিন ঠিকভাবে চলার তত্ত্বাবধান।
৭. Finishing & Bailing Worker :
কাপড় বা বস্তা কাটা, পালিশ ও প্যাক করা।
Bale তৈরি ও ওজন মাপা।
৮. Helper / General Worker :
বিভিন্ন মেশিনে যেকোনো সহায়ক কাজ।
মেশিনে খোলানো, বাঁধা পাট সরানো, ক্লিনিং ইত্যাদি।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: