চলেই গেলেন " বদি " অভিনেতা আবদুল কাদের।
Автор: UniHub
Загружено: 2020-12-26
Просмотров: 149
Описание:
মারা গেছেন অভিনেতা আবদুল কাদের
চলেই গেলেন অভিনেতা আবদুল কাদের। আজ শনিবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা আবদুল কাদের (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম। আবদুল কাদেরের বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। তিনি স্ত্রী এবং এক ছেলে ও মেয়েকে রেখে গেছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নেওয়া হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানকার হাসপাতালে পরীক্ষার পর ১৫ ডিসেম্বর তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন, ক্যানসার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে না। গত রোববার সন্ধ্যায় অভিনেতাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন ২১ ডিসেম্বর তাঁর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। গত বৃহস্পতিবার কিছুটা ভালো ছিলেন আবদুল কাদের। করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে পরিবারের কেউ হাসপাতালে ছিলেন না।
আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা জানান, রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁরা হাসপাতালেই ছিলেন। পরে চিকিৎসকদের কথামতো তাঁরা বাসায় ফিরে যান। এক ঘণ্টা পর হাসপাতাল থেকে জরুরি ফোন পেয়ে তাঁরা সেখানে পৌঁছান। চিকিৎসকেরা জানান, কাদেরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, নড়াচড়া করছেন না। মাঝেমধ্যে হালকা নিশ্বাস নিচ্ছেন। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা করোনা ইউনিট থেকে তাঁকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করেছেন। সেখানেই আজ সকালে না–ফেরার দেশে চলে যান।
‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যে বদি চরিত্রে অভিনয় করেন আবদুল কাদের
‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যে বদি চরিত্রে অভিনয় করেন আবদুল কাদেরসংগৃহীত
অভিনেতা আবদুল কাদের ১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আবদুল জলিল ও আনোয়ারা খাতুনের সন্তান তিনি।
আবদুল কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। কর্মজীবন শুরু হয় শিক্ষকতা দিয়ে। তিনি অর্থনীতিতে সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে শিক্ষকতা করেছিলেন। বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরির পর ১৯৭৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক কোম্পানি ‘বাটা’তে চাকরি করেন। সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অমল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর প্রথম নাটকে অভিনয়।
১৯৭২-৭৪, পরপর তিন বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মহসিন হল ছাত্র সংসদের নাট্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭২ সালে আন্তহল নাট্য প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মহসিন হলের নাটক সেলিম আল দীন রচিত ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ নির্দেশিত ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’-এ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছিলেন।
অভিনেতা আবদুল কাদের।
অভিনেতা আবদুল কাদের।ছবি:সংগৃহীত
বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রযোজিত বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ জ্ঞানের অনুষ্ঠান ‘বলুন দেখি’-তে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে পুরস্কার পাওয়া আবদুল কাদের ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসু নাট্যচক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সাল থেকে থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য এবং চার বছর যুগ্ম সম্পাদকের ও ছয় বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সাল থেকে টেলিভিশন ও ১৯৭৩ সাল থেকে রেডিও নাটকে অভিনয় শুরু হয় তাঁর।
আবদুল কাদের ও স্ত্রী খাইরুন নেসা
আবদুল কাদের ও স্ত্রী খাইরুন নেসাসংগৃহীত
টেলিভিশনে আবদুল কাদের অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এসো গল্পের দেশে’। আবদুল কাদের বাংলাদেশ টেলিভিশনের নাট্যশিল্পী ও নাট্যকারদের একমাত্র সংগঠন টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদের (টেনাশিনাস) সহসভাপতি ছিলেন। তিনি জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন।
থিয়েটারের প্রায় ৩০টি প্রযোজনার এক হাজারের বেশি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’। ১৯৮২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নাট্য উৎসবে বাংলাদেশের নাটক থিয়েটারের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’-এ অভিনয়। এ ছাড়া দেশের বাইরে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা, দিল্লি, দুবাই এবং দেশের প্রায় সব কটি জেলায় আমন্ত্রিত হয়ে অভিনয় করেছেন।
বেশ কিছুদিন ধরে আবদুল কাদের অসুস্থ ছিলেন।
বেশ কিছুদিন ধরে আবদুল কাদের অসুস্থ ছিলেন। ছবি:সংগৃহীত
টেলিভিশনে দুই হাজারের বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন কাদের। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘প্যাকেজ সংবাদ’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘নীতু তোমাকে ভালোবাসি’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘দুলাভাই’, ‘অজ্ঞান পার্টি’, ‘মোবারকের ঈদ’, ‘বহুরূপী’, ‘এই মেকআপ’, ‘ঢুলি বাড়ি’, ‘সাত গোয়েন্দা’, ‘এক জনমে’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘খান বাহাদুরের তিন ছেলে’ ইত্যাদি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কিছু বিজ্ঞাপনের কাজও করেছেন এ সফল অভিনেতা।
#বদি
#আব্দুুল_কাদের
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: