পদ্মা সেতু। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা-ই আমাদের অহংকার। Bangladesh. Sheikh Hasina

Описание: পদ্মা সেতু তৈরির ইতিহাস (প্রায় ৫০০ শব্দে):

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর একটি। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের রাজধানী ঢাকাসহ উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগ সহজ করেছে। সেতুটি নির্মাণের ইতিহাস নানা চ্যালেঞ্জ, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং জাতীয় গর্বের সঙ্গে যুক্ত।

পদ্মা নদী বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এই নদীটির উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের স্বপ্ন বহুদিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু ছিল বহু আকাঙ্ক্ষিত। ১৯৯৮ সালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়। ২০০১ সালে একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয় এবং তখন থেকেই প্রকল্পটি ধাপে ধাপে এগোতে থাকে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রকল্পটির ব্যয় ছিল বিপুল এবং তাই শুরুতে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), জাইকা (JICA) সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা চাওয়া হয়। তবে ২০১২ সালে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক তাদের অর্থায়ন বাতিল করে দেয়। যদিও পরে কানাডার আদালতে এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তা খারিজ হয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসিক সিদ্ধান্ত নেয়। এটি ছিল এক অভূতপূর্ব পদক্ষেপ, যা জাতীয় আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতার প্রতীক হয়ে ওঠে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মূল সেতুর নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। মূল সেতুর নির্মাণে দায়িত্ব পায় চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (MBEC)।

পদ্মা সেতুটি একটি বহুমুখী সেতু – অর্থাৎ এটি সড়ক এবং রেল উভয় পথেই যোগাযোগ স্থাপন করে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। এর উপরিভাগে রয়েছে চার লেনবিশিষ্ট সড়ক এবং নিচে রয়েছে একক রেললাইন। পদ্মা সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি এবং এটি স্টিল ট্রাস ও কংক্রিটের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। নির্মাণকাজের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশের ও বিদেশের অনেক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী কাজ করেন।

সেতুটি নির্মাণে নানা প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে, বিশেষ করে নদীর প্রবাহ ও ভাঙনের বিষয়টি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব চ্যালেঞ্জ দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে অবশেষে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। পরদিন, ২৬ জুন থেকে এটি সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতি, পর্যটন, কৃষি ও শিল্প খাতে ব্যাপক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

পদ্মা সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি বাংলাদেশের স্বপ্ন, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও সক্ষমতার জ্বলন্ত প্রমাণ। এই সেতু দেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছে।

#পদ্মা_সেতুর_ভিডিও #পদ্মা_সেতুর_মাওয়া_প্রান্ত #পদ্মা_সেতুর_সর্বশেষ #পদ্মাব্রিজ #শেখ_হাসিনা #শেখহাসিনার #বাংলাদেশ
Stokes twins, Mrbeast, Fede, mark rober, Airrack, Ryan Trahan, Dhar mann, Royalty family, Jordan matter, Unspeakable, Preston, Ben azelart, Brent Rivera, Jeremy Hutchins, Lexi Rivera, Amp