শবে বরাতের ফজিলত ও আমল ।শবে বরাত। Virtues and practices of Shabbat।Śabē barātēra phajilata ō āmala
Автор: Trust Islamic Multimedia . 986k views .1 weeks ago
Загружено: 2023-03-05
Просмотров: 236
Описание:
শবে বরাত কী?
দুইটি শব্দ। একটি আরবি (লাইলাতুল বারাআত) অন্যটি ফার্সি (শবে বরাত)। আরবিতে ‘লাইলাতুল বারাআত’ শব্দ দুটির অর্থ হলো- মুক্তির রাত। আর ফার্সিতে ‘শবে বরাত’ শব্দ দুটির অর্থ দাড়ায়- ‘ভাগ্য রজনী’। কিন্তু হাদিসের পরিভাষায় এ রাতটি ব্যবহৃত হয়- ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত।
সুতরাং এ রাতটিকে শবে বরাত কিংবা লাইলাতুল বারাআত না বলে হাদিসে ব্যবহৃত ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বললে বা নামকরণ করলেই তা সুন্দর হয়। তাতে আদায় হবে পরিপূর্ণ সুন্নাত এবং সবার কাছেই হবে গ্রহণযোগ্য। তাছাড়া নামকরণে বিভেদ কিংবা মর্যাদায় অতিরঞ্জন ও ছাড়াছাড়ি না করে হাদিসের ওপর আমল করাই জরুরি বিষয়। এ রাত সম্পর্কে কী বলেছেন বিশ্বনবি?
হিজরি সালের অষ্টম মাস শাবানে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসের নির্দেশনা রয়েছে। এ মাসের ১৪ তারিখ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় কাঙ্ক্ষিত ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ বা শবে বরাত।
হাসান হাদিসের বর্ণনায় এটি বিশেষ ক্ষমার রাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতের রিজিক চাওয়ার ব্যাপারেও হাদিসের বর্ণনা এসেছে। তবে এ হাদিসকে অনেকে মাওজু বলেছেন। হাদিসের দুর্বল বর্ণনার পাশাপাশি বিশুদ্ধ বর্ণনায় ক্ষমা ও গোনাহ মাফের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-
৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, যখন শাবানের মধ্য দিবস আসবে, তখন তোমরা রাতে নফল ইবাদত করবে ও দিনে রোজা পালন করবে। (ইবনে মাজাহ)
৫.নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ১৪ শাবান দিবাগত রাত যখন আসে, তখন তোমরা এ রাত ইবাদত–বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলায় রোজা রাখো। কেননা, এদিন সূর্যাস্তের পর আল্লাহ তাআলা দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং আহ্বান করেন, ‘কোনো ক্ষমাপ্রার্থী আছো কি? আমি ক্ষমা করব; কোনো রিজিক প্রার্থী আছ কি? আমি রিজিক দেব; আছ কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি উদ্ধার করব।’ এভাবে ভোর পর্যন্ত আল্লাহ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে আহ্বান করতে থাকেন। (ইবনে মাজাহ ১৩৮৪)।
প্রিয় মুসল্লিগণ!
শবে বরাতের রাত ক্ষমা পাওয়ার রাত। এ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা নিষেধ নয়। মধ্য শাবানের রাতে একাকি আমল ইবাদত করা নিষেধ নয়। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কারণে মুসলিম সমাজ আজ দুইভাবে বিভক্ত। যা কোনো ভাবে কাম্য নয়।
বরং হাদিসের দিকে লক্ষ্য রেখে বেশি বেশি নফল রোজা রাখার মাস মধ্য শাবানের রাতের ইবাদত ও ক্ষমা পাওয়ার বিষয়ে অতিরঞ্জন ও বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম। নিজ নিজ ঘরে কিংবা একাকি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে নিজেদের গোনাহ মাফ করিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’।
তবে হ্যাঁ মধ্য শাবানে এসব বাড়াবাড়ি করা যাবে না। যে কারণে মধ্য শাবানের ইবাদত ও আমলের গুরুত্ব কমে যায়। ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ আসলেই সুন্নাহর বাইরে অনেক কাজ সম্মিলিতভাবে আয়োজন করা হয়। যার কোনোভাবেই বৈধ নয়। তাই সেসব বিষয় থেকে বিরত থাকা খুবই জরুরি। তাহলো-
১. ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’ উপলক্ষে পরিবারের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজনের মধ্যমে সারা বছর ভালো খাবার পাওয়ার বিশ্বাস ও আয়োজন থেকে বিরত থাকা।
২. ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’-এ আনন্দ বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে মারাত্মক শব্দ দুষণের হাতিয়ার ফটকা ও আতশবাজী ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
৩. ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’-এ গোনাহ মাফের নিয়তে সন্ধ্যা রাতে গোসল করা থেকে বিরত থাকা। ঘরে, আঙিনায়, কবরে মোমবাতি-আগরবাতি জ্বালানো ও গোলাপজল ছিটানো থেকে বিরত থাকা।
৪. ‘লাইলাতান নিসফে মিন শাবান’-এ বাড়ি ঘর আলোকসজ্জা, কবরস্থানে আলোকসজ্জা ইত্যাদিও পরিহার করা আবশ্যক। কারণ শবে বরাতের নামে ইসলামে এ সব মারাত্মক সীমালঙ্ঘন। তা কোনোভাবে বৈধ নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইখলাসের সঙ্গে সঠিক পন্থায় শবে বরাত পালন করার তাওফিক দিন এবং শবে বরাতে ক্ষমা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: