সূর্যমুখী ফুল কেন চাষ করবেন!!!জানুন বিস্তারিত
Автор: মাটির কৃষি
Загружено: 2023-04-07
Просмотров: 372
Описание:
সূর্যমুখী ফুলের চাষের সময়
সূর্যমুখী সারা বছর চাষ করা যায়। তবে অগ্রহায়ন মাসে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। দেশের উত্তর ও পশ্চিম অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৫ সেন্টিগ্রেড এর নিচে হলে ১০-১২ দিন পরে বীজ বপন করা উচিত। খরিফ-১ মৌসুমে জৈষ্ঠ্য (মধ্য এপ্রিল থেকে মধ্য মে) মাসেও এর চাষ করা যায়।
দেখতে সূর্যের মতো হলুদ বর্ণের সুন্দর একটি ফুল হলো সূর্যমুখী ফুল। দেখতে দারুণ এই ফুলটি অনেক ক্ষেত্রে আমাদের জন্য উপকারী। আজকের এই আর্টিকেলে সূর্যমুখী ফুল চাষ এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানবো।
আমরা আমাদের খাদ্য তালিকায় সয়াবিন অথবা সরিষার তেল বহুল ব্যবহার করে থাকি। অথচ এসব তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সূর্যমুখী ফুল থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি ও ই; যা শরীরের জন্য দরকারী।
তাছাড়া সয়াবিন উৎপাদন হতে যেখানে ১৩০ দিনের মতো লাগে; সূর্যমুখী ফুল এর তেল উৎপাদন হতে লাগে ১০০ দিনের মতো। এর পাশাপাশি সূর্যমুখী ফুল এর বীজ হাঁস-মুরগির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে সূর্যমুখী ফুল চাষ হচ্ছে। যশোর, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, দিনাজপুর সহ অনেক জেলাতে সূর্যমুখী ফুল উৎপাদিত হচ্ছে। এই লাভজনক শস্যটির চাষপদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক ব্যাপারে চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
সূর্যমুখী ফুল চাষের পদ্ধতি
সূর্যমুখী ফুল চাষ করা জন্য ধারাবাহিকভাবে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। সেগুলো নীচে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলোঃ
সূর্যমুখী ফুল চাষের উপযুক্ত সময় এবং জমি
সূর্যমুখী ফুল হলো ৬ মাসি একটি ফসল। এটি বপনের উপযুক্ত সময় হলো কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাস। তবে জৈষ্ঠ্য মাসেও এই শস্য চাষ করা যায়। সূর্যমুখী ফুল চাষের জন্য পানি জমে থাকে না – এমন যে কোন জমি উপযুক্ত। তবে দোআঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়।
সূর্যমুখী ফুলের জাত
১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশে সূর্যমুখী ফুল চাষ হয়ে আসছে। এ পর্যন্ত সূর্যমুখীর ৩টি জাত উদ্ভাবন হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – কিরণী (ডিএস – ১)। ১৯৯২ সালে জাতটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এই জাতটির কান্ডের ব্যাস হলো দেড় থেকে দুই সেন্টিমিটার। পরিপক্ক পুষ্পমঞ্জুরি বা শাখার ব্যাস হলো ১২ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার। প্রতি মাথায় বীজের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৬০০ এর মতো। এই জাতের বীজগুলো কালো বর্ণের হয়ে থাকে।
প্রতি ১০০০টি বীজের ওজন গড়ে ৬৮-৭২ গ্রামের মতো। এই জাতের বীজ থেকে প্রায় ৪৪ শতাংশের মতো তেল পাওয়া যায়। এর জীবনকাল ৩ মাস থেকে প্রায় ৪ মাসের কাছাকাছি পর্যন্ত হয়ে থাকে। হেক্টর প্রতি গড় ফলনের পরিমাণ ১.৫ থেকে ১.৮ টন এর মত।
চাষের জন্য মাটি তৈরি
সূর্যমুখী ফুলের চাষের জন্য জমিকে গভীরভাবে আড়াআড়ি পদ্ধতিতে চাষ দিয়ে নিতে হবে। ৫-৬ বার চাষ দেয়ার পর মই দিয়ে মাটিকে ঝুরঝুরে করতে হবে। এছাড়াও কোনরূপ চাষ ছাড়াই ডিবলিং পদ্ধতিতেও সূর্যমুখী ফুল চাষ করা যায়।
কিভাবে বীজ বপন করবেন?
আপনি যদি বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে চান, তাহলে তাহলে সারি পদ্ধতিতে চাষ করতে পারেন। এক বিঘা জমির জন্য মাত্র এক কেজি বীজই যথেষ্ট। সারাবছরই বীজ বপন করা যায় তবে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় বপন করলে বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।
সারি সারি করে বীজ বপন করার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে দুইটি করে বীজ বুনবেন। দুইটি করে বীজ বপনের কারণ হলো – একটি বীজ যদি নষ্টও হয়ে যায়, তাহলে যেন অন্য বীজটা থাকে। কারণ, বীজশূণ্য হয়ে গেলে সারি ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।
যদি দুইটি বীজেই ফলন হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল চারাটি ফেলে দিয়ে সবল চারাটি রাখতে হবে।
সার প্রয়োগ
এক বিঘা বা ৩৩ শতাংশ জমিতে নির্দিষ্ট হারে ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট, বোরিক অ্যাসিড, জিপসাম ও জিংক সালফেট প্রয়োগ করতে হবে।
খেয়াল রাখবেন যে, সূর্যমুখী ফুল চাষে অধিক মাত্রায় রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা যাবে না; বরং জৈব সার বেশি এবং রাসায়নিক সার কম পরিমাণে প্রয়োগ করতে হবে। সাধারাণত, সার ২টি সময়ে প্রয়োগ করতে হয়। একবার চারা জন্মানোর ২০ দিন পর এবং আরেকবার তার ৪০ দিন পর।
সেচ দেয়া
সূর্যমুখী ফুলের বাগানে মাত্র এক অথবা দুই সেচেই ফলন পাওয়া সম্ভব। তবে আপনি যদি বেশি ফলন প্রত্যাশা করে থাকেন, তাহলে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কয়েকটা সেচ দিতে হবে।
প্রথমবার সেচ দিতে হবে বীজ বপন করার ৪ সপ্তাহ পর ফুল ফোঁটার আগে। এরপর দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে বীজ বপনের ৮ সপ্তাহ পর ফুল বা পুষ্পস্তবক গঠনের সময়। আর তৃতীয় সেচ দিতে হবে বীজ বপনের ১০ সপ্তাহ পর বীজ হৃষ্টপুষ্ট হবার পূর্বে। সেচের পানি যেন জমিতে জমে না থাকে সেটা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
নিড়ানি দেয়া ও আগাছা দমন
চারা গজানোর ৩ সপ্তাহ পর প্রথমবার এবং চারা গজানোর ৭ সপ্তাহ পর দ্বিতীয়বার সূর্যমুখীর গাছ গুলোকে নিড়ানি দিতে হবে এবং আগাছা কেটে পরিষ্কার করতে হবে।
একই জায়গায় যদি অনেকগুলো গাছ জন্মে গোছা হয়ে যায়; তাহলে একটি পুষ্ট গাছ রেখে বাকি গাছগুলো কেটে ফেলতে হবে। এভাবে সারি সারি করে বাগান সাজাতে হবে।
#সূর্যমুখী_তেল
#সূর্যমুখী_ফুলের_বাগান
#কৃষকের_সূর্যমুখী
#কৃষি_অর্থনীতি
#কৃষক
#ফুল
#ফুলের_তেল
#অর্থকারী_ফসল
#বাগান
#দেশীয়_কৃষি
#সূর্যমুখী_ফুল
সূর্যমুখী ফুল গাছের বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার
সূর্যমুখী ফুল গাছের বিভিন্ন ধরণের রোগবালাই রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – শিকড় পঁচা এবং পাতা ঝলসানো রোগ। এছাড়া বিছাপোকার আক্রমণের কারণেও সমস্যা হয়ে থাকে। এসব রোগ ও সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ ক
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: