আরাকান রাজ্যের ইতিহাস
Автор: Know Your Deen
Загружено: 2017-02-18
Просмотров: 83103
Описание:
১.
লোকটার বয়স চল্লিশের কম হবে না। মুখে বেশ কয়েক দিনের না কামানো দাড়ি। মাথায় চুল খুব বেশি নেই, তবে যা আছে তা ভিজে লেপ্টে আছে খুলির সাথে। দুই হাতের তালু এক সাথে লাগিয়ে মুখের সামনে তুলের ধরা। বুড়ো আঙ্গুল দুটো থুতনির নিচে। চোখ দুটো শক্ত করে বন্ধ করা। মুখ, কপাল কুঁচকে আছে কান্নার তীব্রতায়। গায়ে লাল গেঞ্জি। লোকটা দাঁড়িয়ে আছে একটা নৌকার উপর। তার পেছনে ভাঙাচোরা ছাতা আর তেরপল নিয়ে বসে আছে ১০-১২ জন নারী ও শিশু। তাদের পেছনে নৌকার গলুই দেখা যাচ্ছে, আর তার পেছনে খোলা সমুদ্র।
.
জান নিয়ে পালিয়ে আসা লোকগুলোকে খোলা সমুদ্রে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সভ্যতার ভাষায় একে বলা হয় পুশব্যাক। লোকটা করজোড়ে ভিক্ষা চাচ্ছে যেন তাদেরকে একটু জায়গা দেওয়া হয়।
.
.
২.
.
নৌকা ভর্তি মানুষ। সবাই বলা যায় স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। এর মাঝে পাশাপাশি চারজন লোক দাঁড়িয়ে আছে। চোখ কোটরে বসে যাওয়া, গলার হাড়, চোয়ালের হাড়, পাঁজরের হাড় বের হয়ে আসা। উষ্কখুষ্ক চুল। অসুস্থ চাহনি। লোকগুলোর মুখ বাঁকা হয়ে আছে কান্নায়। দুর্বলতার কারনে শরীরগুলোও বাঁকা হয়ে আছে। সরু হাতগুলো পেট ধরে আছে। পেটের দিকে ইঙ্গিত করছে। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। আমরা খুব সহজে যে বিষয়টার কথা চিন্তা না করার বিলাসিতা করতে পারি, মানুষগুলো সেই খাবারের কথা বলছে।
.
ক্ষুধার জ্বালায় তারা নৌকার দড়ি খাবারও চেস্টা করেছে। তাদের মধ্যে দুর্বল ও শিশুরা এরই মধ্যে অনাহারে মারা গেছে। বাকিরা দিন গুনছে। হয় অনহার অথবা সমুদ্র। মৃত্যু ওৎ পেতে আছে। অসহায়ত্ব ও বিপর্যয়ের এক পর্যায়ে গিয়ে মানুষ নিজের আত্মসম্মানের কথাও চিন্তা করার সুযোগ পায় না। এই মানুষগুলো বেশ আগেই সেই পর্যায়টা পার হয়ে এসেছে। তারা ভিক্ষা চাচ্ছে। যদি কোন মানুষের দয়া হয়...
.
.
আরাকান...নামটা শনার পর মানসপটে প্রথম কোন দৃশ্যটা ভেসে ওঠে? ভাইরাল হয়ে যাওয়া আরাকানের রোহিঙ্গাদের এই দুটো ছবির কথা মনে আসার সম্ভাবনা আছে। তবে এই ছবিগুলো আমরা যখন দেখি তখন এক অর্থে ছবির মানুষগুলোর পরিচয়কে আমরা তাদের বিপর্যয় ও তাদের দুর্দশার মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা এখানেই আমাদের চিন্তা বন্ধ করে দেই। আরাকান, রোহিঙ্গা এই নামগুলো কিছু কংকালসার, নির্যাতিত মানুষের সমার্থক হয়ে দাড়ায় যারা সময়ে সময়ে আমাদের কাছে সাহায্য চায়। যাদের নিয়ে সময়ে সময়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়তে পারলে ভালো। না পারলেই দোষ নেই। আমাদের পড়াশোনা, বিএফ-জিএফ, বছর ভর্তি ভ্যালেন্টাইনের চিন্তা, বিয়ের চিন্তা, চাকরি-ব্যবসা, এসবের মধ্যে এই আনগ্ল্যামারাস আনকুল ইস্যুটা নিয়ে কিছু না বললে সেটা দোষের কিছু না। কুকুর অধিকার কিংবা রাস্তাঘাট পরিস্কার কিংবা পরিবেশ আন্দোলন, কিংবা সাইক্লিং জাতীয় ইস্যু নিয়ে ইন্টারেস্ট থাকলেও সভ্যতার রিপোর্ট কার্ডে পাশ মার্ক ওঠানো যায়।
.
তারপরও কথা হয়। সমস্যা হল কথায় আসর হয় না। কথার প্রভাব পরে না। দিনশেষে কোন কোথায় অতোটুকই গুরুত্বপূর্ণ যতোটুক গুরুত্ব আমরা সেই কথাকে দেই। আরাকান অভিয়াসলি আমাদের প্রায়োরিটি লিস্টে তেমন উপরের দিকে নেই। তবুও কিছু কথা বলা প্রয়োজন। কারন দায়িত্ব কখনো এড়ানো যায় না। আমরা যতোই নিজেদের সাথে প্রতারনা করি না কেন। দুনিয়াতে যে দায়িত্ব ফাঁকি দেওয়া যায় সেটার জন্যও আখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে।
.
এই ভিডিওটা সেই দায়িত্ববোধ থেকে। খুব একটা আশার জায়গা থেকে না। পাথরের বুক চিরে গাছ মাথা চাড়া দেবার কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু প্রস্থরীভূত অন্তরের ব্যাপারে খুব একটা আশা করা যায় না। আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলাই হলেন অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী।
.
আরাকানের ট্র্যাজিক ইতিহাস নিয়ে ছোট্ট একটি বক্তব্য -
.
আরাকান রাজ্যের ইতিহাস
.
#KnowYourUmmah
#KnowYourDeen
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: