JAGANNATH TEMPLE KOLKATA ।। কলকাতার প্রথম জগন্নাথ মন্দির।। 2nd PURI in Kolkata।। কিভাবে ও কখন যাবেন
Автор: Bhromon Premi Bangali
Загружено: 2023-07-05
Просмотров: 2465
Описание:
জগন্নাথ মন্দির খিদিরপুর কলকাতা
মন প্রশমিত, শান্ত এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, জগন্নাথ মন্দিরটি স্থানীয়দের এবং পর্যটকদের জন্যও একটি দর্শনীয় স্থান। এই স্থানটি একটি আশ্চর্যজনক আভা এবং ভগবান জগন্নাথের প্রতি মানুষের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। লোকেরা অন্যান্য প্রভু যেমন দেবী বাটা মঙ্গলা, হনুমান, শিব এবং লক্ষ্মী মাতাকেও পূজা করে, যা একই প্রাঙ্গনে উপস্থিত রয়েছে।
এই মন্দিরের বিশ্বমানের স্থাপত্যে ভগবান বিষ্ণুর দশাবতার চিত্রিত হয়েছে। জগন্নাথ মন্দির হল আপনার পরিবারের সাথে দীর্ঘ, ক্লান্তিকর সপ্তাহান্তে বিশ্রাম এবং রিফ্রেশ করার উপযুক্ত জায়গা। এই সুপরিকল্পিত এবং সম্পাদিত মন্দিরটি সপ্তাহের সমস্ত দিন ভক্তদের জন্য খোলা থাকে। আর সময় হল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা।
কলকাতার জগন্নাথ মন্দির কলকাতার খিদিরপুরের বন্দরের উপকণ্ঠে কলকাতা পৌরসংস্থার ১০৮ নং ওয়ার্ডে ২০০২ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। অবশ্য ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দ হতে বন্দর এলাকার ভক্ত শ্রমিকেরা জগন্নাথ দেবের পূজার সূত্রপাত করেন। শ্রীক্ষেত্রের আদলে কলকাতায় এই মন্দির নির্মিত হয় বহু মানুষের বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং আর্থিক সহায়তায়। মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ, শ্রী বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রা এবং সুদর্শন চক্র এই মন্দিরে ঐতিহ্য মেনেই পূজিত হন। [১] সেই সঙ্গে মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশপথের পাশে নির্মিত বট মঙ্গলাদেবীর মন্দিরে মা মঙ্গলার পূজা করা হয়।
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার খিদিরপুর বন্দরে ১০৮ নং ওয়ার্ড এলাকার শ্রীজগন্নাথদেবের ভক্ত শ্রমিকরা একটি টিনের ঘেরা মন্দির তৈরি করে জগন্নাথদেবের কাগজের ছবিতেই পূজা-অর্চনা শুরু করেন। মনের ক্লান্তি দূর করতে জগন্নাথের স্তোত্র গাইতেন। পারুত্তম দাস নামে এক ব্রাহ্মণ নিত্য পূজা করতেন। ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দের এক স্বপ্নাদেশে এখানে বসবাসকারী ওড়িয়া জনগণ একটি মন্দির নির্মাণের কথা ভাবেন। সেইমত ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারী লক্ষ্য স্থির করে 'শ্রীজগন্নাথ সেবা সমিতি' নামে এক সংগঠন গড়েন এবং সমিতির সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহ করেন। কলকাতা বন্দরের তৎকালীন এক কর্মকর্তা জনাব এস. রহমানও মন্দির নির্মাণের জন্য ২০০০ টাকা দান করেন। সংগৃহীত অর্থে জানুয়ারী, ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ২০ ফুট উচ্চতার একটি মন্দিরের নির্মাণ সম্পন্ন হয়। একসময় প্রসন্নকুমার দাস নামক এক আয়কর কমিশনার তার পিতাকে নিয়ে জগন্নাথ দর্শনে আসেন। মন্দিরের প্রবেশদ্বার সংকীর্ণ হওয়ায় তার পিতা মন্দিরের উন্নতিকল্পে সাহায্য করতে বলেন। এটিই ছিল মন্দির পুনর্নির্মাণের প্রথম প্রচেষ্টা। পরবর্তীতে বহু ওড়িয়া ও বাঙালি জনসাধারণ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে পূজারীর দল এসেছিলেন। তারা শিলান্যাসের পাশাপাশি মহাযজ্ঞে অংশ নেন মঙ্গল কামনায়। [২] অবিকল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে মন্দিরটি। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনুকরণে এই মন্দিরেরও সিংহ দরজায় রয়েছে অরুণাস্তম্ভ। অরুণা স্তম্ভ থেকে ১৮টি সিঁড়ি উপরে স্থাপিত হয়েছে গেরুদা স্তম্ভ। গেরুদা স্তম্ভের পরই মন্দিরের মূল দরজা। সেকারণে স্থানটিকে কলকাতার শ্রীক্ষেত্র বা জগন্নাথ ধাম নামে আখ্যায়িত করা হয়। সাদা ও বেলেপাথরে বিশ্বমানের স্থাপত্যে ভগবান বিষ্ণুর দশাবতার চিত্রিত হয়েছে।[৩] মন্দিরে চতুর্ধা মূর্তি তৈরি করেছিলেন খুরদার পাথরের রাজমিস্ত্রি হাদু মহারানা। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে মূল মন্দিরের রত্নবেদিতে স্থাপন করা হয় মহাপ্রভু শ্রীজগন্নাথ, শ্রীবলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার বিগ্রহ।
সুপরিকল্পিত এবং সম্পাদিত মন্দিরটি সপ্তাহের সমস্ত দিনই ভক্তদের জন্য খোলা থাকে। তবে দর্শনের সময় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা। প্রতিদিন সূর্যাস্তের সময় সন্ধারতি হয়। ভোগ নিবেদন করা হয় প্রতিদিন দুবার—বেলা সাড়ে বারোটায় একবার এবং রাত সাড়ে আটটায় আর একবার। [১] সমিতির পূজা কমিটি অষ্টম প্রহরী, রথযাত্রা, নেত্রোৎসব, জন্মাষ্টমী, শিবরাত্রি, সরস্বতী পূজা, গণেশ পূজা, দোকানের, ভাগবত সপ্তাহ ইত্যাদির আয়োজন করে থাকে।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: