রমজান ও রোজার ফজিলত | শুধু আত্মশুদ্ধি নয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে রোজা!
Автор: Md Al Amin
Загружено: 2025-03-11
Просмотров: 13
Описание:
রমজান পুরো পৃথিবীবাসীর জন্য আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ রহমতের মাস। এই রমজান মাসে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের গুনাহ মাফ করার জন্য সকল পথ খুলে দেন এবং শয়তানকে বন্দি করে রেখেছেন। যেনো মানুষ পাপ কাজ থেকে ফিরে আসতে পারে সহজেই। চলুন আজকে এই বিষয়ে আলোচনা করি।
________________________________
এই মাসে মুসলমানরা রোজা রাখে, যা তাদের আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। রমজান মাস কুরআন নাজিলের মাস, তাই এর মাহাত্ম্য অসীম।
রমজান মাসে রোজা রাখলে সত্যিকারের আল্লাহ ভয় সৃষ্টি হয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।
(সূরা বাকারা: ১৮৩)
এই রমজান মাস, যার মধ্যে কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াত এবং সত্যপথ ও ন্যায়ের সুস্পষ্ট নিদর্শন। তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন রোজা রাখে।"
(সূরা বাকারা: ১৮৫)
এ থেকে বোঝা যায়, এই মাস শুধু রোজার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কুরআন নাজিলের কারণেও এক বিশেষ মর্যাদা লাভ করেছে। তাই বেশি বেশি কুরআন শরীফ পাঠ ও জিকির করা উচিত।
হাদিস শরিফে রমজান মাস সম্পর্কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন:
যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
(বুখারি ও মুসলিম)
এই মাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। রমজানের প্রথম দশক হলো রহমতের, মধ্য দশক হলো মাগফিরাতের, আর শেষ দশক হলো দোজখ থেকে মুক্তির।
তাই, এই মাসটি এক মহা কল্যাণ ও ক্ষমার মাস। তাছাড়া, কুরআনে ও হাদীসে গুরুত্বপূর্ণের সাথে বলা হয়েছে, উপবাসের নাম রোজা নয় বরং আল্লাহর আদেশ বা নিয়মনীতি অনুযায়ী পানাহার করা থেকে বিরত থাকা এবং বিরত থাকাকালীন সময়ে আল্লাহর নিয়মনীতি অনুসরণ করা ও পুনরায় আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী পানাহার করাই হলো রোজা।
এই মাসের অন্যতম রাত হলো ‘লাইলাতুল কদর’ বা শবে কদর। রমজানের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল কদর যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। এই রাতের ইবাদত মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা সৃষ্টি করে।
এই রমজান মাস হলো সর্বোচ্চ সদকা ও দান করার শ্রেষ্ঠ মাস। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রমজানে সর্বোচ্চ দানশীলতা দেখাতেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি বলেছেন:
রোজাদারদের জন্য জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা আছে, যার নাম 'রাইয়ান'। কেয়ামতের দিন শুধু রোজাদাররাই এই দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" (বুখারি, মুসলিম)
শুধু তাই নয় এই রমজান মাস নিয়ে চিন্তাভাবনা করলে খুঁজে পাওয়া যায় আল্লাহর পরিচয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়: ক্যান্সার নিঃসন্দেহে একটি মরণব্যাধি রোগ। এই রোগের ১০০% কার্যকর একক কোনো প্রতিষেধক পৃথিবীতে এখনো আবিষ্কার হয়নি। অথচ, রোজা রাখার মাধ্যমে এই রোগ এর জীবাণু ধ্বংস করা যায় বলে অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে।
রমজান মাসটি এটি আত্মশুদ্ধির একটি মাধ্যম। রোজা মানুষের অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করে এবং তাকওয়া অর্জনের পথ প্রশস্ত করে। তাই এই মাসকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো উচিত, যাতে সারা বছর আমরা আল্লাহভীরু হয়ে থাকতে পারি। আল্লাহ আমাদের রোজা কবুল করুন এবং সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। “আমীন”
#রমজান #রোজা #কুরআন #তাকওয়া #ইবাদত #শবে_কদর #সদকা #দান #ক্যান্সার #স্বাস্থ্য
#Ramadan #Fasting #Quran #Taqwa #Ibadah #Shab_e_Qadr #Charity #Donation #Cancer #Health #স্বাস্থ্য #রমজানের #ফজিলত #ইসলাম #মুসলিম #ইমান #হাদিস #নবীজি #ক্যান্সার #স্বাস্থ্য
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: