Class 8 History Model Activity Task Part 6 September || ক্লাস VIII ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ||
Автор: Dadar Pathshala
Загружено: 2021-09-23
Просмотров: 1722
Описание:
২/ সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো:
২.১/ ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে নর্থব্রক জারি করেন ন্যাটাভিয়ন নিয়ন্ত্রণ আইন।
উত্তর:- সত্য।
কারণ:-গ্রাম বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে অনুষ্ঠিত নাটক গুলিতে ভারতবাসীর দারিদ্র, ব্রিটিশদের আর্থিক শোষণ, অত্যাচার ও নিপীড়নের কাহিনী তুলে ধরা হলে জনসমাজের তীব্র ব্রিটিশবিরোধী প্রতিক্রিয়া হয়। সাধারণ ভারতবাসীর ওপর নাটক গুলির প্রভাব দেখে ব্রিটিশ সরকার শঙ্কিত হয়ে পরে। বড়লাট নর্থ ব্রুক নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন (১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ই মার্চ) পাসের মাধ্যমে নাটক প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
২.২/ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই অক্টোবর বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হয়।
উত্তর:- সত্য।
কারণ:- ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে প্রথম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়। বাংলা বিভক্ত করে ফেলার ধারনাটি অবশ্য কার্জন থেকে শুরু হয়নি। ১৭৬৫ সালের পর থেকেই বিহার ও উড়িষ্যা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ফলে সরকারী প্রশাসনিক এলাকা হিসেবে বাংলা অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় এবং ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে এটির সুষ্ঠু শাসনক্রিয়া দুরূহ হয়ে পড়ে। বঙ্গভঙ্গের সূত্রপাত এখান থেকেই।
২.৩/ পাঞ্জাবে লালা লাজপত রাই- এর নেতৃত্বে শিবাজী উৎসব চালু হয়।
উত্তর:- মিথ্যা।
কারণ:- ১৯০২ সালে কলকাতায় বালগঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে শিবাজী উৎসব চালু হয়।
৩/ সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি বাক্যে):
৩.১/ অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ কি ?
উত্তর:- ভারতের জাতীয়তাবাদের উন্মেষ তথা বিকাশের অনেকগুলি ক্ষেত্র ছিল। সামাজিক অসন্তোষ, রাজনৈতিক বঞ্চনা এগুলো ছাড়াও সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল অর্থনৈতিক শোষণ। এই শোষনের বিরুদ্ধে ভারতীয় জাতীয়তাবাদীরা গড়ে তুলেছিল এক প্রবল প্রতিবাদ, যে ভারতের ইতিহাসে "অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ" নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত এই আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন দাদাভাই নওরোজি, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, রমেশচন্দ্র দত্ত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।
অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের মূল বক্তব্য হলো নিম্নরুপ:-
ক) উপনিবেশিক ভারতের আর্থিক দুরবস্থা জন্য নরমপন্থীরা ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করেন। তারা বলেন, ভারতীয় ধীরে বৃটেনের কৃষিজ কাঁচামাল যোগানের ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
খ) ভারতের কৃষি নির্ভর অর্থনীতি শুধুমাত্র বৃটেনের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্যই ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিনাম হিসেবে ভারতের কৃষি ও শিল্পের ধ্বংসসাধন হচ্ছে।
গ) উচ্চ হারে ভূমি রাজস্ব দিতে বাধ্য হওয়ায় ভারতীয়রা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
ঘ) ব্রিটিশ পণ্যের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় ভারতীয় পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
৩.২/ ইলবার্ট বিলকে নিয়ে কেন বিতর্কের সূচনা হয়েছিল ?
উত্তর:- সূচনা:- কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতৃবৃন্দের আবেদন-নিবেদন নীতির অন্যতম সাফল্যের একটি উদাহরণ হল ইলবার্ট বিল আন্দোলন।
লক্ষ:- ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে ফৌজদারি আইন বিধি অনুসারে ইউরোপীয়দের বিচার করার ক্ষমতা ভারতীয় বিচারকদের ছিল না, অথচ ইউরোপীয় বিচারকগণের এই ক্ষমতার অধিকারী ছিল। এই বিলের লক্ষ্য ছিল বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে এই অসাম্য দূর করা।
বিরোধিতা:- ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে শেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা আন্দোলন শুরু করলে এই বিল প্রত্যাহার করা হয়। অপরদিকে এই বিল প্রত্যাহার করা হলে ভারতীয়রা পাল্টা আন্দোলন শুরু করেন। উভয়পক্ষের আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন ইলবার্ট বিল বিতর্ক নামে পরিচিত। ভারতসভার আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় বিচারকরা শর্তসাপেক্ষে ইউরোপীয় বিচারকদের বিচারের অধিকার পায়।
এই আন্দোলনের ফলে ভারতবাসীরা অনুভব করেছিল--- @ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে জাতিগত বিভেদ সৃষ্টি ছিল ব্রিটিশ শাসনের মূল উদ্দেশ্য।
@ স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ভারতের জাতীয় মর্যাদা লাভ করা সম্ভব নয়।
৪/ নিজের ভাষায় লেখ (১২০-১৬০ টি শব্দ)
বিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন গুপ্ত সমিতির পরিচয় দাও।
উত্তর:- বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময় বাংলায় গুপ্ত সমিতি গড়ে উঠেছিল। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে যখন স্বদেশী আন্দোলন গুলি দুর্বল হয়ে পড়ে তখন বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ প্রবল হয়ে ওঠে।বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল - অনুশীলন সমিতি, ঢাকা অনুশীলন সমিতি, যুগান্তর দল প্রভৃতি।গুপ্ত সমিতি গুলি গড়ে ওঠার কারণ হলো নিম্নরুপ--
ক) অনুশীলন সমিতি:-
অনুশীলন সমিতি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুশীলন তত্ত্বের আদর্শে গঠিত বাংলার একটি সশস্ত্র ব্রিটিশ-বিরোধী সংগঠন। মূলতঃ ঢাকা ও কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে এই দলটি বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে সংগঠিত হয়। অনুশীলন দলের উদ্দেশ্য ছিল সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ।
খ) ঢাকা অনুশীলন সমিতি:-
ঢাকা অনুশীলন সমিতি ছিল অনুশীলন সমিতির একটি শাখা। এটি তদনীন্তন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে ১৯০৫ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। পুলিনবিহারী দাশের নেতৃত্বে আশি জন সদস্য নিয়ে এই দল প্রতিষ্ঠিত হয়।
গ) যুগান্তর সমিতি:-
যুগান্তর দল গুপ্ত বিপ্লববাদী সংস্থা। চরম পন্থার মাধ্যমে ইংরেজদের থেকে দেশের স্বাধীনতা অর্জন করাই ছিল এই সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য। অনুশীলন সমিতির সাথে মতভেদের কারণে 'যুগান্তর' এর জন্ম। এর নেতৃত্বে ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত প্রমুখ।
অন্যান্য সমিতি:- বাংলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অন্যান্য বিপ্লবী সংস্থার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষের আত্মোন্নতি সমিতি, ব্রতী সমিতি, সুহৃদ সমিতি ইত্যাদি।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: