রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস - এন এম হাবিব উল্লাহ || পর্ব ৪/৫ ||History of the Rohingya ||Bangla Audiobook

Описание: রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস - এন এম হাবিব উল্লাহ || পর্ব ৪/৫ || History of the Rohingya || Bangla Audiobook
রোহিঙ্গা জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
পরবর্তী পর্বের লিংক    • রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস - এন এম হাবিব উল্লাহ...  
.................................................................................

00:00:00 - সূচনা
00:00:15 - অধ্যায় চার স্বাধীন আরাকানের পতনকাল

.................................................................................

বইয়ের নাম - রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস
লেখক - এন এম হাবিব উল্লাহ
.................................................................................

আমাদের পাশের দেশ বার্মা, আরাকান রাজ্য। সুপ্রাচীন কাল হতে এখানে রোহিঙ্গাদের বসবাস। বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনেকটা একই সূত্রে বাঁধা আছে তাদের ইতিহাসের সাথে। কিন্তু, রোহিঙ্গাদের ইতিহাস সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

এন এম হাবিব উল্লাহ রচিত রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস গ্রন্থে রোহিঙ্গা ইতিহাস নিয়ে সাতটি বিচিত্র তথ্য, রোহিঙ্গা জাতির প্রায় ভুলে যাওয়া ইতিহাসের কিছু তুথ্য তুলে ধরা হলো:

রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি আরাকান ছিল স্বাধীন রাজ্য। ১৭৮৪ সালে বার্মার রাজা বোডপায়া এটি দখল করে বার্মার অধীন করদ রাজ্যে পরিণত করেন।

আরাকান রাজ্যের রাজা বৌদ্ধ হলেও তিনি মুসলমান উপাধি গ্রহণ করতেন। তার মুদ্রাতে ফার্সি ভাষায় লেখা থাকতো কালেমা।

আরাকান রাজ দরবারে কাজ করতেন অনেক বাঙালি মুসলমান। বাংলার সাথে আরাকানের ছিল গভীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক।

ধারণা করা হয় রোহিঙ্গা নামটি এসেছে আরাকানের রাজধানীর নাম ম্রোহং থেকে: ম্রোহং রোয়াং রোয়াইঙ্গিয়া রোহিঙ্গা। তবে মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে ডাকা হতো রোসাং নামে।

১৪০৬ সালে আরাকানের ম্রাউক-উ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা নরমিখলা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বাংলার তৎকালীন রাজধানী গৌড়ে পলায়ন করেন। গৌড়ের শাসক জালালুদ্দিন শাহ্ নরমিখলার সাহায্যে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠিয়ে বর্মী রাজাকে উৎখাতে সহায়তা করেন। নরমিখলা মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ্ নাম নিয়ে আরাকানের সিংহাসনে বসেন। ম্রাউক-উ রাজবংশ ১০০ বছর আরাকান শাসন করেছে।

মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যচর্চ্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল রোসাং রাজ দরবার। মহাকবি আলাওল রোসাং দরবারের রাজ কবি ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন মহাকাব্য পদ্মাবতী। এছাড়া সতী ময়না ও লোর-চন্দ্রানী, সয়ফুল মুল্ক, জঙ্গনামা প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থ রচিত হয়েছিল রোসাং রাজদরবারের আনুকূল্যে।

ভাই আওরঙ্গজেবের সাথে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে পরাজিত হয়ে মোগল যুবরাজ শাহ্ সুজা ১৬৬০ সালে সড়ক পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে আরাকানে পলায়ন করেন। তৎকালীন রোসাং রাজা চন্দ্র সুধর্মা বিশ্বাসঘাতকতা করে শাহ্ সুজা এবং তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। এর পর আরাকানে যে দীর্ঘমেয়াদী অরাজকতা সৃষ্টি হয় তার অবসান ঘটে বার্মার হাতে আরাকানের স্বাধীনতা হরণের মধ্য দিয়ে।

.................................................................................

The Rohingya people are an ethnic group from Myanmar, once called Burma. Most live in Rakhine State on Myanmar’s western coast.

Myanmar is a majority-Buddhist state, but the Rohingya people are primarily Muslim, though a small number are Hindu. The ethnic minority is considered “the most persecuted minority in the world” by the United Nations.

The story of that persecution has its roots in Britain’s colonization of Burma, and modern-day Myanmar’s refusal to recognize the existence of a people who have existed for thousands of years.

When Myanmar became a military state in 1962, the Rohingya became victims of state-sponsored persecution. During “Operation King Dragon,” Burmese military forces targeted the Rohingya people, and were accused of human rights abuses including rape, destruction of houses and villages, and mass arrests. Rohingya people began fleeing to nearby Bangladesh in huge numbers. Another targeted campaign, “Operation Clean and Beautiful Nation,” pushed another 200,000 people out of the country.

Today, the Rohingya are considered illegal immigrants by Myanmar, and are not recognized under the law. Rohingya people cannot access social services or education, and their movement outside of Rakhine State is closely restricted. Myanmar has also imposed strict regulations on birth control and marriage, only allowing Rohingya in some townships in Rakhine State to have two children and restricting the marriages of some Rohingya.

Before the 2017 crisis, an estimated 1 million Rohingya people lived in Burma. As of August 2018, over 723,000 Rohingya refugees had fled to Bangladesh. Many settled in the Kutupalong refugee settlement, now the world’s largest. The massive camp has stretched humanitarian aid and is particularly vulnerable to monsoon rains. UNHCR, the UN refugee agency, estimates that 200,000 Rohingya refugees are at risk during monsoon season, which can create landslides and floods in the camp.

Amnesty International has said Myanmar is trapping those Rohingya who are left in Myanmar in a “dehumanizing apartheid regime,” and the UN has accused Myanmar of ethnic cleansing.
.................................................................................
For any Information please email to : [email protected]
.................................................................................