২০২৪, জুলাই। বাংলাদেশ ছাত্র অভ্যুথ্বান। ফিরে দেখা।
Автор: বাংলা বাজার BANGLA BAZAR
Загружено: 2025-06-03
Просмотров: 13546
Описание: ১৬ জুলাই ২০২৪ তারিখে দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এই সময় আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে আহত হন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাবার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর তাঁর মৃত্যুর ছবি, সেই দুই হাত প্রসারিত করা শেষ মূহুর্তের ছবি সবার মনে আছে। সেই জুলাই আসছে। কাজেই আমাদেরও ফিরে দেখার সময় এগিয়ে আসছে। একতা বছর তো কম নয়, কী চেয়েছিল বাংলাদেশ? কী পেয়েছে বাংলাদেশ? ভারতের আধিপত্যবাদ, অগণতান্ত্রিক নির্বাচন, ফাসিস্ত প্রশাসন এসবই তো নানান অসুখের নাম, অন্তত বাংলাদেশের পড়াশুনো জানা মানুষ, পন্ডিত, ছাত্র, সাংবাদিক প্রবন্ধকার জানেন, এগুলো অসুখ। কিন্তু তার সিমটম কী? এসবের ফলে আম জনতার কী হয়েছিল? এমনকি হিটলারের শুরুয়াতি জামানায় সুখী সমৃদ্ধ জার্মানবাসীরা ভেবেছিল নাকি ফাসিজম নিয়ে? অগণতান্ত্রিক দমবন্ধ করা স্বৈরশাসন নিয়ে? ভাবেনি। ভাবেনি কারণ আম জনতা অমন সব কঠিন রাজনৈতিক প্রবন্ধের মানে বোঝে না বোঝার কথাও নয়। যখন সেই স্বৈরশাসন তার অভিব্যক্তির গটা টিপে ধরে, তার খেয়ে পরে বাঁচবার স্বাধীনিতা কেড়ে নেয়, তার দুটো সবল হাতের জন্য কাজ জোটে না ঐ স্বৈরতন্ত্রের তৈরি করা বৈষম্যের জন্য, যখন সেই দম বন্ধ করা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আম আদমি তার ভবিষ্যৎকে দেখতে পায় না, ভবিষ্যৎ এক ঘসা কাঁচের ওপাশে হারিয়ে যায়। তখন সে প্রতিবাদ করে, কারণ খুঁজতে চায় আর খুঁজে বার করে ঐ যে এই উপমহাদেশে এক ভারতীয় আধিপত্যবাদকে, দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শেকড় গজিয়ে ওঠা, মৌরুসিপাট্টা নিয়ে বসা এক প্রকান্ড স্বৈরতন্ত্রকে, তার বিরুদ্ধেই মানুষের প্রতিবাদ কখনও মিছিল আন্দোলন আলোচনাতেই শেষ হয়, কখনও তা অভ্যুথ্বান হয়ে ওঠে, সেদিন জুলাই এ সেটাই হয়েছিল। গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত নির্বাচন, এক অবাধ, স্বাধীন, মুক্ত নির্বাচন। না হয় নি। কিন্তু কবে হবে? তা কি জানতে পেরেছে মানুষ? সেনা প্রধান বলছেন ডিসেম্বারের মধ্যেই চাই, সরকারের তরফে অস্পষ্টভাবে আগামী জুন মাসের মধ্যে করা হবে বলে জানানো হচ্ছে, বি এনপি চাইছে ডিসেম্বারের মধ্যে নির্বাচন। মানুষ তো চেয়েইছিল এক অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচন। আসেনি। কারণ কী? কারণ তারজন্য সংস্কার প্রয়োজন। একমত, সংস্কার দরকার। তো সেই সংস্কার কোন পথে হবে? কতটা হয়েছে, সেই সংস্কারের রোডম্যাপ কোথায়? কারোর জানা নেই। হ্যাঁ এখানেই আছে সমস্যা। মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সে প্রশ্ন আরও বড় আকার নেবে, নেবেই। কারণ এম অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচনের স্বাদ মানুষ পায়নি সেই কবে থেকেই, নয় নয় করে ১০/১২ বছর হয়ে গেছে। না, জুলাই অভ্যুথ্বানের মূল দাবি অবাধ স্বাধীন গণতান্ত্রিক নিরপেক্ষ নির্বাচন আজও হয় নি, কবে হবে তাও জানেন না সাধারণ মানুষ। এবারে আসুন খুউব ছোট্ট করে গত এক বছরের অর্থনৈতিক মাপকাঠিগুলোর দিকে তাকানো যাক। ২০২৪ এ গ্রস ডমেস্টিক প্রডাক্ট, মোট জাতীয় সম্পদের বৃদ্ধি ছিল ওয়ার্লড ব্যাঙ্ক এর হিসেবে ৪.২%, সরকারের হিসেবে সামান্য বেশি, ৪.২২%। কিন্তু ২০২৫ এ সেটা BBS Provisional Data (as of May 27, 2025): অনুযায়ী 3.97%. এবং সেটা সেই COVID-19 pandemic এর পরে আর্থিক বছর ২০২০ র চেয়েও অনেকটা কম। International Monetary Fund (IMF): Forecasts 3.76% growth for FY25। মানে আরও একটু কম। World Bank: Projected GDP growth to moderate further to 3.3% in FY25। মানে আরও কম। এটা কিন্তু একটা চিন্তার বিষয়। শেখ হাসিনার আমলে মাথা পিছু আয় প্রথমে বেশ খানিকটা বাড়লেও ২০২৪ তা এসে দাঁড়ায় ২৭৩৮ ডলারে, এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮২০ ডলারে, মানে প্রায় ৮২ ডলার বৃদ্ধি। কিন্তু সমস্যা হল এই বৃদ্ধি দেখাও যাবে না, মানুষ বুঝতেও পারছেন না কারণ এর মধ্যে ইনফ্লেশন, মূদ্রাস্ফিতী বেড়েছে ১০%। কাজেই মোট সম্পদ বৃদ্ধি কমে যাবার পরেও মাথা পিছু আতের বৃদ্ধি আদতে টাকার দাম পড়ে যাবার ফলে দেখা যাচ্ছে, যা আদতে খুব সুখবর নয়। মাথা পিছু ভোগের হার, মানে পার ক্যাপিটা কনসামশন এর হারের পাকাপোক্ত হিসেব কিছু নেই, কিন্তু এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতে সেটাও খানিকটা হলেও কমেছে কারণ মূদ্রাস্ফিতী। বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৫% কমেছে, মানে আগে যা ছিল ২০% এখন তা ১৬% কিছু কম। কিন্তু তা কমার কারণ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য মার খাবার ফলে, বাণিজ্য বন্দরে নিষেধাজ্ঞার ফলে আর বেশ কিছু গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ থাকার ফলে না কাঁচামাল আমদানি হয়েছে, না রপ্তানি হয়েছে। এই বাণিজ্য পরিস্থিতি যে খুব দারুণ কিছু উন্নত হয়ে গেছে তেমন অবশ্যই নয়। আর সাধারণ বাজারে এগুলোর প্রভাব পড়বে আরও কিছু সময় পরে। বাংলাদেশের মূল রেমিট্যান্সের সোর্শ হল গারমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, প্রায় ৮৪% আর সেনাবাহিনীর ইউ এন ও ইত্যাদি থেকে আসা প্রায় ১২%। ইউ এন ও পিস কিপিং ফোর্স ইত্যাদি থেকে যা আসার তা আসছে, কিন্তু হু হু করে কমছে গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে আসা রেমিট্যান্স। ফলে কমছে ডলার রিজার্ভ। আর সেটা কমলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক অবস্থা হতে বাধ্য, সার কেনা থেকে জীবনদায়ী ওষুধ কেনার জন্য প্রয়োজনীয় ডলার কিন্তু নেই। কাজেই এদিকে নজর দেওয়াটা জরুরি। অর্থাৎ অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু খুব সুখবর এনে দিচ্ছে না এবং আরও কিছুদিন পরে সেই অবস্থা যে আরও খারাপ দিকে যাবে তাও বলা বাহুল্য। কৃষিতে উৎপাদন কমছে, কিন্তু গারমেন্টস ছাড়া নতুন কিছু শিল্প ক্ষেত্র বাড়ার একটা সম্ভাবনা আছে যা নাকি চীনের সহায়তায় খুলে যাবার আশা আছে। আর সেইখানে সমস্যা হল রাখাইন করিডোর। আমেরিকার ট্রাম্প সাহেবকে খুসি করতে রাখাইন করিডোরে হ্যাঁ বললে চীনের প্রতিক্রিয়া কিন্তু খুব ভালো কিছু হবে না, কারণ ঐ অঞ্চলে মায়নামারের জুন্টা সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো এবং সেই সম্পর্ক আজকের নয়। সব মিলিয়ে অভ্যুথ্বানের পরে নতুন সরকার এমন কিছু করে দেখাতে এখনও পর্যন্ত পারেন নি যা নাকি বাংলাদেশের আম জনতার কাছে বড় সুখবর নিয়ে আসবে বা এসেছে।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: