🕌 শুক্রবার (জুমু'আর দিনের গুরুত্ব ও ফজিলত) | Teachable World
Автор: Teachable World
Загружено: 2025-10-30
Просмотров: 181
Описание:
বর্ণনা: ইসলাম ধর্মে শুক্রবার বা জুমু'আর দিন হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন এবং মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি সম্মিলিত ইবাদত ও সমাবেশের দিন হিসেবে আল্লাহ তাআলা নির্ধারণ করেছেন। জুমার দিনের মর্যাদা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি, কারণ এই দিনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছে এবং এই দিনে এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দার দু'আ কবুল করা হয়।
ব্যাখ্যা: জুমার দিনকে আরবিতে 'ইয়াওমুল জুমুআহ' বলা হয়, যার অর্থ সমাবেশের দিন বা একত্রিত হওয়ার দিন। এই দিনে সকল প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ও স্বাধীন পুরুষের জন্য জামাতের সাথে জুমু'আর সালাত আদায় করা ফরয (আবশ্যিক)। সালাতের পূর্বে খুতবা প্রদান করা হয়, যা মুমিনদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ ও দিকনির্দেশনা। জুমু'আর দিনের ইবাদতের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া সুন্নাত, যেমন গোসল করা, উত্তম পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা এবং দ্রুত মসজিদে যাওয়া। এই দিনের বিশেষ আমলগুলো বান্দাকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে এবং পাপ মোচনে সাহায্য করে।
সারাংশ: জুমু'আর দিন হলো সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন, যা মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ। এই দিনে ফরয জুমু'আর সালাত জামাতের সাথে আদায় করা হয়। এ দিনেই হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা, জান্নাতে প্রবেশ করানো ও বের করে দেওয়া হয়েছিল এবং কিয়ামত সংঘটিত হবে। জুমু'আর দিনে দু'আ কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে। জুমু'আর দিনে বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ এবং সূরা কাহাফ তিলাওয়াতের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
আল-কুরআন থেকে বার্তা: আল্লাহ তাআলা সূরা জুমা-এর মাধ্যমে এই দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।
"হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচা-কেনা ছেড়ে দাও। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।" - (সূরা আল-জুমু'আ, আয়াত: ৯)
শিক্ষণীয় বিষয়:
✓ জুমার আযান শোনার সাথে সাথে দুনিয়াবী সকল ব্যস্ততা (যেমন: ব্যবসা-বাণিজ্য) ত্যাগ করে আল্লাহর ইবাদতের দিকে দ্রুত ধাবিত হতে হবে।
✓ আল্লাহর স্মরণ এবং জুমার সালাতকে বৈষয়িক কাজের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে।
হাদীস থেকে দিকনির্দেশনা:
সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, তন্মধ্যে জুমার দিন হলো সর্বোত্তম। এই দিনেই আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে, আর জুমার দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।" -(সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮৫৪)
দু'আ কবুলের বিশেষ মুহূর্ত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "জুমার দিন একটি সময় আছে, যখন কোনো মুসলিম বান্দা সালাত রত অবস্থায় আল্লাহর কাছে কোনো ভালো কিছুর জন্য দু'আ করলে, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করেন।" রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়েছেন যে সময়টি খুব সংক্ষিপ্ত।
(সহীহ বুখারী, হাদীস: ৬৪০০; সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮৫২)
(বিদ্বানগণ এই সময়টিকে আসর এবং মাগরিবের মধ্যবর্তী শেষ সময়ে তালাশ করতে বলেছেন।)
পাপের ক্ষমা:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করবে, পরিচ্ছন্ন হবে, সুগন্ধি ব্যবহার করবে (যদি থাকে), এরপর মসজিদে যাবে, সেখানে দুই ব্যক্তির মাঝে ফাঁক করে বসবে না, তার নির্ধারিত সালাত আদায় করবে, আর ইমাম যখন খুতবা দেবেন তখন চুপ থাকবে— তার এই জুমা থেকে পরবর্তী জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।" - (সহীহ বুখারী, হাদীস: ৮৮৩)
জুমার সালাত ত্যাগ করার পরিণতি:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "যে ব্যক্তি অবহেলা করে ধারাবাহিকভাবে তিন জুমা ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন।" - (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ৮৬৫)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: