রামপাল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে তেল মর্দন করেছে যেসব হলুদ সাংবাদিকরা
Автор: BD info NEWS
Загружено: 2016-08-27
Просмотров: 32987
Описание:
প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন: প্রশ্নোত্তর পর্বে যা বলেছেন সাংবাদিকরা
মোজাম্মেল বাবু:- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এরা কেউ এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার না। আমার বন্ধু হাছান মাহমুদ ছাড়া আমিই বোধহয় একমাত্র কোয়ালিফাইড এনভায়রনমেন্টালিস্ট। তাই প্রশ্নটা প্রথমে আমি করছি। বুয়েটের যারা দাবি করেন, তারা কেউ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, যাদের আমরা মিডিয়ায় বিশেষ বিশেষ পরিবেশবিদ বলি। আপনার কয়েকটি শব্দের সঙ্গে নতুন করে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন। পরিবেশবাদী এক জিনিস, পরিবেশ-বাণিজ্য আরেক জিনিস। পরিবেশ নিয়ে যারা আন্দোলন করেন, সেটা একটা বাণিজ্য। পরিবেশ রাজনীতি আরেকটা জিনিস। তারা পরিবেশ নিয়ে রাজনীতি করে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যারা ডলারে বেঁচে থাকে, তারা পরিবেশজীবী। পরিবেশ রাজনীতিবিদ এবং পরিবেশবিদদের নিয়ে চিন্তা করবেন না। তেলভিত্তিক কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র দিয়ে আপনি যখন সাময়িক সমস্যার সমাধান করছিলেন, তখন তারা বলবে কেন কয়লা পুড়ছেন না। কয়লা পুড়লে সাশ্রয় হবে। আপনি কয়লা তুলতে যাবেন, বলবে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। বলবে, এমন জায়গায় করেন, যেখানে মানুষ কম। আপনি মানুষ কমের জায়গায় সিলেক্ট করলেন, তখন বলবে সুন্দরবনের এই কাছে, সেই কাছে। আপনি বিশ্বাস করেন আর নাই করেন, আইসিস তৈরি করেছে ইহুদিরা। সে রকম এই সব পরিবেশবাদি আন্দোলনের পেছনে কাজ করে পেট্রোল ডলার। এই সব পেট্রোল বাণিজ্য অব্যাহত রাখার জন্যই কয়লার বিরোধিতা। আমাদের এগুলো শোনার কোনও সময় নেই। আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, ২০৩০-৪০ সাল পর্যন্ত ফুয়েল ডাইভারশনের মাধ্যমে ৫০ ভাগ সাশ্রয়ী কয়লা, ১০ শতাংশ সোলার এবং ২০ শতাংশ, ২৫ শতাংশ গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে যুগপোযোগী পরিকল্পনা আপনি করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। আপনার দ্বারাই সম্ভব জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমি নসরুল হামিদের (বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ) কাছে সাংবাদিক হিসেবে, আপনার (প্রধানমন্ত্রী) লেখা একটা চিরকূট দেখে বিস্মিত হয়েছি। আপনি লিখেছেন, সোলার বিদ্যুৎ করা হবে, তবে এমন জমিতে করা যাবে না, যেখানে ফসল হয়। যদি করাও হয়, তবে এটুকু গ্যাপ-গ্যাপ দিয়ে করা হয়, যেন কিছু আলো আর কোনও না কোনও ফলন হয়। তো এই রকম একজন নেতৃত্বকে যখন পরিবেশের কথা বলা হয়, সেটা সত্যিই মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি।
মোল্লা আমজাদ হোসেন:- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সঙ্গে কাজ করি। গত দুই দশক আমি জ্বালানি নিয়ে কাজ করছি। আপনাকে ধন্যবাদ, রামপাল ইস্যু বিশেষ করে কয়লা নিয়ে যেই আলোচনা হচ্ছে এজন্য। আমাদের এখানে পরিবেশবাদী ও বাম ঘেরানার রাজনীতিবিদরা একাকার হয়ে গেছেন। যেকোনও কিছুতেই তারা বিরোধিতা করেন। বাবু ভাই যথাযথই পয়েন্ট আউট করেছেন। যে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার সময়ও তারা একই রকমের বিরোধিতা করেছিলেন। তারা বলছেন রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে, অন্য কোথাও হোক। তবে বাঁশখালীতে যখন কয়লাবিদ্যুৎ করা হচ্ছে আবার তখনও তারা বিরোধিতা করছেন। আমি নিশ্চিত তাদের উদ্দেশ্য অর্ধসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানিখাতের উন্নতি, অগ্রগতি এটা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আজকে যে সস্তায় জ্বালানি পাওয়া যাচ্ছে, তার সূত্রপাত ঘটে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। নইলে আজকে আমাদের গ্যাস আমদানি করে বা বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে বিদ্যুৎখাত চালাতে হতো। এমনিতেই এই একটি গোষ্ঠীর মিথ্যাচারের কারণে আমরা নিজস্ব উচ্চমানের কয়লা ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছি। এখন পর্যন্ত করতে পারিনি। উপরন্তু আমরা যখন আমদানি করা কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র করার উদ্যোগ নিয়েছি, তখন এই কমিউনিটি এটার বিরোধিতা করছে। যার কারণে এতদিন ধরে আমাদের মনে হচ্ছিল সরকারের মধ্যেও বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ সরকারের মধ্যে এমন দুই একজন মন্ত্রী আছেন, যাদের দলের লোকজনকেও আমরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখি। তখনই এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সুনির্দিষ্ট কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গোলাম সারওয়ার:- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি সমকালে কাজ করি। মোজাম্মেল বাবুর অনেক তীর্যক মন্তব্য উপভোগ করলাম। যেমন আপনি করেছেন। এতেই বোঝা যায়, আসলে প্রশ্ন করার অবকাশ খুব কম আছে। কিন্তু আপনি সুবিস্তারে এই রামপাল প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, যে প্রশ্নগুলো আমাদের মনে ছিল এবং আছে, তার প্রত্যেকটির জবাব আপনি দিয়েছেন। সুতরাং, আপনি অনেক সময় বলেন, প্রশ্ন করেন, প্রশ্ন করেন। কিন্তু প্রশ্ন করার তেমন কিছুই নেই। আমরা আপনার সঙ্গে কিছু যোগ করতে পারি। সে ক্ষেত্রে এটি বলি যে, আপনি আজ যে কথাগুলো বললেন, আমার কেন জানি মনে হয়, আরও আগে যদি এগুলো বলা হতো, তাহলে এই পর্যায়ে তারা যেতে পারত না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি বলছি, সারা দেশে ব্যাপকভাবে প্রচার করা। কালকে সংবাদপত্রে ছাপা হবে, আজকে টেলিভিশনে যাচ্ছে, কিন্তু সারাদেশে এটা চলা দরকার। যারা এর বিরুদ্ধে কাজ করছে, তারা কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। আর আমি একটা কথা বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে, আপনার দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি দেশের ক্ষতি করছেন, দেশকে বিক্রি করছেন। কিন্তু যিনি দেশের জন্য জীবন দিতে পারেন, তাকে নিয়ে এই কথা। আমি মনে করি এর জোরালো প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন।
মনজুরুল আহসান বুলবুল:- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমি যোগাযোগ-বিজ্ঞানের ছাত্র। যোগাযোগ-বিজ্ঞানে বলা হয়, অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় সঠিক তথ্য দিয়ে। রামপাল নিয়ে যেসব তথ্য বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তার বিপরীতে আপনি যে তথ্য দিলেন, আমরা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বাস করি তা সঠিক তথ্য। এই লড়াইটি চালু রাখতে হবে; শুধু আজকের প্রেস কনফারেন্স নয়, সব জায়গাতেই।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: