মধ্যবর্তিনী/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ছোট গল্প।। Moddhobortini/ Rabindranath Thakur..
Автор: ইলাবতী
Загружено: 2025-10-05
Просмотров: 140
Описание:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অসামান্য ছোটগল্পগুলোর মধ্যে 'মধ্যবর্তিনী' একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, যা মূলত একটি পারিবারিক ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার আখ্যান। এটি জ্যৈষ্ঠ ১৩০০ বঙ্গাব্দে (১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দ) 'সাধনা' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পের প্রধান চরিত্র তিনটি: নিবারণ, তার প্রথম স্ত্রী হরসুন্দরী এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শৈলবালা।
গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে নিবারণ ও হরসুন্দরীর আপাতদৃষ্টিতে সুখের দাম্পত্য জীবন, যার মধ্যে একটি গভীর শূন্যতা বিরাজ করছিল—সন্তানের অভাব। এই শূন্যতা পূরণের আকাঙ্ক্ষায় হরসুন্দরী এক চরম আত্মত্যাগের পথে হাঁটেন। তিনি নিজেই স্বামীকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য পীড়াপীড়ি করেন, যাতে সংসারে একটি শিশু আসতে পারে। তাঁর এই সিদ্ধান্ত তৎকালীন সমাজের চিরায়ত ত্যাগ-তিতিক্ষাময়ী নারীর এক বেদনাদায়ক প্রতিচ্ছবি।
নিবারণ অনিচ্ছাসত্ত্বেও কিশোরী শৈলবালাকে বিবাহ করে ঘরে আনেন। কিন্তু এর ফল হয় বিপরীত। শৈলবালা এসে এই দম্পতির মধ্যে 'মধ্যবর্তিনী' হয়ে দাঁড়ায়। হরসুন্দরী, যিনি স্বামীকে নতুন স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তিনি ক্রমশ উপেক্ষিত হতে থাকেন। তিনি রানীর আসন ছেড়ে সেবিকার ভূমিকায় নামেন। অন্যদিকে, নিবারণ শৈলবালার মোহে আবিষ্ট হলেও সেই অকৃত্রিম ভালোবাসার স্বাদ পান না যা তিনি একসময় হরসুন্দরীর কাছে পেয়েছিলেন। শৈলবালা অতিরিক্ত আদর পেয়ে ভালোবাসার মূল্য বোঝে না, বরং তার উচ্চাশা ও আচরণে সংসারে এক বিচ্ছেদ ও জটিলতা সৃষ্টি হয়।
এই গল্পটি দেখায় যে স্বামীর সুখের জন্য নারীর আত্মবিসর্জন সবসময় শুভ ফল বয়ে আনে না। বরং এটি সম্পর্কের স্বাভাবিক গতিকে নষ্ট করে দিতে পারে। সন্তান ধারণে অক্ষমতার কারণে হরসুন্দরীর মনে যে গভীর যন্ত্রণা ও অপরাধবোধ তৈরি হয়েছিল, তা থেকেই এই করুণ পরিণতির জন্ম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্ত সমাজের জীবন, দাম্পত্য সম্পর্কের সূক্ষ্ম টানাপোড়েন এবং নারীর মনস্তত্ত্বের জটিলতাকে এই গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। 'মধ্যবর্তিনী' নামটি তাই নামকরণের সার্থকতা বহন করে, যেখানে শৈলবালা নিবারণ ও হরসুন্দরীর মাঝে কেবল শারীরিক দূরত্বই নয়, মানসিক দূরত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
গল্পের শেষে শৈলবালার অসুস্থতা ও মৃত্যু যেন এক করুণ ট্রাজেডির জন্ম দেয়। নিবারণ আবার প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরতে পারলেও, তাদের মধ্যে যে অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি হয়েছে, তা আর দূর হয় না। এই গল্পে রবীন্দ্রনাথ প্রেমের ভিন্ন ভিন্ন স্তর, নারীর ত্যাগ ও বঞ্চনা, এবং সম্পর্কের জটিল মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো গভীর জীবনবোধের সঙ্গে তুলে ধরেছেন।
#bengaliliterature #education #রবীন্দ্রনাথঠাকুর #ছোটগল্প
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: