শবে কদরের তাৎপর্য, গুরুত্ব ও আমল সম্পর্কে (বক্তব্য ) A.S Future Brilliant School
Автор: A S Future Brilliant School
Загружено: 2022-04-21
Просмотров: 78
Описание:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
প্রিয় সুধী!
আমীন সাজেদা ফিউচার ব্রিলিয়ান্ট স্কুল কর্তৃক আয়োজিত আজকের বক্তৃতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত শিক্ষক মণ্ডলী ও আমার প্রাণ প্রিয় ছাত্র ছাত্রী বৃন্দ,সবাইকে জানাই আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
আজকে আমার বক্তৃতার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, মহিমান্বিত রজনী শবে কদরের তাৎপর্য,গুরুত্ব ও আমল সম্পর্কে।
প্রিয় উপস্থিতি!
লাইলাতুলকদর, আমাদের দেশসহ ভিবিন্ন দেশে শবে কদর নামেই সর্বাধিক পরিচিত।
শব একটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ রজনী,
আর কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে, সম্মান, মর্যাদা, বা ভাগ্য।
সুতরাং শবে কদর শব্দের অর্থ হচ্ছে সম্মানিত রজনী, বা ভাগ্য রজনী।
বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত হলো শবে কদরের রাত।
এ রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়,
এবং এরাতে পৃথিবীতে আগমন করেন অধিকসংখ্যক রহমতের ফেরেশতা।
সকাল পর্যন্ত শান্তি বিরাজ করে।
মহান আল্লাহর ভাষায় লাইলাতুলকদর বা শবে কদর হলো হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
তাই শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম।
সুপ্রিয় উপস্থিতি!
রমজান মাস হচ্ছে কোরআন নাযিলের মাস, আর শবে কদর হচ্ছে কোরআন নাযিলের রাত,
এ রাতেই সর্বপ্রথম পবিত্র মক্কা নগরীর হেরা গোহায় মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে,
জিবরাইল( আঃ)এর মাধ্যমে বিশ্বনবী (সাঃ) এর নিকট পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করা হয়।
লাইলাতুলকদর বা শবে কদরের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারীমে কদর নামে সম্পূর্ণ আলাদা একটি সূরাও অবতীর্ণ করেছেন।
শবে কদরের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- নিশ্চয়ই আমি কোরআনুল কারীমকে লাইলাতুলকদরে অবতীর্ণ করেছি।
আপনি কি জানেন লাইলাতুলকদর কী?
লাইলাতুলকদর হচ্ছে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।
উক্ত রজনীতে ফেরেশতাগণও জিবরাঈল (আঃ)
তাদের প্রতিপালকের নির্দেশে প্রত্যেক বিষয় নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন।
এটা শান্তিময় রজনী যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা কদর)
তাছাড়া লাইলাতুলকদরের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রিয় নবী (সাঃ) হাদিস শরীফে ইরশাদ করেন, যদি কেউ ঈমানের সাথে বিশুদ্ধ নিয়তে লাইলাতুলকদরে এবাদতে মগ্ন থেকে অতিবাহিত করে তবে তার পূর্ববর্তী সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।
হযরত আনাছ ইবনে মালেক (রাঃ)থেকে বর্ণিত অপর এক হাদিসে নবী করীম( সাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তি শবে কদর পেলো, কিন্তু এবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে কাটাতে পারলোনা, তার মতো দূর্ভাগা দুনিয়াতে আর কেউ নেই।
প্রিয় উপস্থিতি।
প্রত্যেক মসুলমানের উচিত এ রাতে জাগরণ করে সঠিক নিয়মে ইবাদত বন্দেগীতে মনযোগী হওয়া।
এই ফজিলত পূর্ণ রাতের ইবাদত যেনো হাতছাড়া না হয়ে যায়, সে জন্য অনেক বেশি যত্নবান হওয়া।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে শবেকদর সন্ধান করো।
প্রিয়নবী (সাঃ) শবে কদর প্রাপ্তির আশায় প্রতি বছর রমজানের শেষ দশকের পুরো সময়টা ইতিকাফরত থাকতেন।
আমাদেরও উচিত রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করে শবে কদরের সন্ধান করে বেশি বেশি ইবাদতে মনোনিবেশ করা।
মনে রাখবেন!
এ রাতে বিশেষ কোন আমল নির্দিষ্ট নেই।
বেশি বেশি নফল নামাজ, ওমরি কাজা নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা, জিকির-আজকার, তাছবিহ-তাহলিল, তওবা- ইস্তিগফার,ও দোয়া- দুরুদে ব্যস্ত থাকাই এ রাতের আমল।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা(রাঃ) একদিন নবী করীম (সাঃ) কে বল্লেন, ইয়া রাসুলাল্লালাহ!
আমি যদি কখনো শবে কদর পেয়ে যায় তাহলে ঐ রাতে আমি আল্লাহর কাছে কোন দোয়া করবো,
নবীজি (সাঃ) বললেন, তুমি যদি শবে কদর পেয়ে যাও তবে এই দোয়া করবে-
হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল,এবং ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
প্রিয় উপস্থিতি!
আসুন আমরা এই মহিমান্বিত রাতে জাগরণ করে ইবাদত বন্দেগীতে মনোনিবেশ করার প্রতিজ্ঞা করি এবং নিজের জন্য, পিতা-মাতার জন্য, আত্মীয়- স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সকল মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করি।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন। সকলেই বলুন আমিন।
সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতো আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
Follow our all social media
• Facebook: / a.sfuturebrilliantschool
• Instagram : / as_future_brilliant_school
• Twitter : / asfutureschool
• Tiktok : / asfuturebrilliant
• likee : https://likee.video/@a_s_Shool
#বক্তব্য #শবে_কদরের #islamic_boktobo
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: