বিধাতার বিধান খন্ডন: মার্কেন্ডেয় মুনি। মার্কণ্ডেয় মুনির অমরত্ব লাভ
Автор: Manab Jiboner DHARMA
Загружено: 2023-07-14
Просмотров: 828
Описание:
বিধাতার বিধান খন্ডন: মার্কেন্ডেয় মুনি মার্কণ্ডেয় মুনির অমরত্ব লাভ
#হিন্দুশাস্ত্রকথা #মহাভারতকৃষ্ণকথা #পুরান #amritkalashchart
মুকাণ্ডু বা মুকা নামে সত্যধর্মপরায়ণ এক ঋষি ছিলেন। তিনি অত্যন্ত জ্ঞানী ও তপস্বী ছিলেন। তার একটি দুঃখ ছিল তিনি পুত্রহীন। তিনি ঠিক করেন তপস্যা করবেন এবং ব্রহ্মার কাছ থেকে পুত্র প্রাপ্তির জন্য বর চেয়ে নেবেন।
একুশ হাজার বছর ধরে তিনি কঠোর তপস্যা করলেন, ব্রহ্মা তুষ্ট হয়ে তাকে বর দিতে এলেন। বললেন, “হে মুকাণ্ডু, তুমি পুত্র কামনায় তপস্যা করছ। তোমার অসংখ্য পুত্র হবে, কিন্তু তারা অধার্মিক হবে। আর যদি একটি পুত্র চাও তাহলে সে হবে ধার্মিক, তবে তার পরমায়ু হবে সাত বৎসর। এই দুটি বরের মধ্যে যে, কোন একটি নিতে পারো।”
মুকাণ্ডু ভেবে দেখলেন অধার্মিক অসংখ্য পুত্র বংশ ধ্বংসের কারণ হবে। তার চেয়ে পুত্রহীন থাকা ভাল। কিন্তু এক পুত্র যদি ধার্মিক হয় তাহলে বংশের গৌরব বাড়বে। সেই পুত্রের পিতারও গৌরব বাড়বে। হে ব্রহ্মা, আমি একটি পুত্র চাই।
ব্রহ্মা তখন তাকে বর দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলেন। বর লাভ করে মুনি খুব খুশি হলেন। কিছুকাল পরে তার একটি অপূর্ব সুন্দর পুত্র হল। তিনি একদিকে আনন্দিত কিন্তু অন্যদিকে পুত্রের কম পরমায়ু নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি ভাবতে লাগলেন কি করে পুত্রের আয়ু বাড়ানো যায়। ভাবলেন পুনরায় তপস্যা করে ব্রহ্মার বরে পুত্রের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।
এই ভাবনা নিয়ে তিনি তপস্যা শুরু করলেন। কখন উপর দিকে পা তুলে, কখনও চারিদিকে আগুন জ্বালিয়ে, কখনো গাছের ডালে ঝুলে, কখনও জলের মধ্যে ডুবে। না খেয়ে তপস্যা করলেন। তাঁর তপস্যার তেজে দেবতা স্থির থাকতে পারলেন না। ব্রহ্মাকে তারা সকল কথা মানিয়ে মুকান্ডু ঋষির কাছে এলেন।
ব্রহ্মা বললেন, পুত্রের দীর্ঘ আয়ু ভিন্ন আমার আর কিছুর প্রয়োজন নেই। পুত্রে দীর্ঘ আয়ু ছাড়া অন্য যে-কোনো বর প্রার্থনা কর।
ঋষি বললেন, আমার বর প্রয়োজন নেই। আমি চাই আমার পুত্রের দীর্ঘ পরমায়ু।
ঋষির কথা শুনে ব্রহ্মা রেগে গেলেন। বললেন, তোমাকে আগেই বলেছিলাম ভেবে-চিন্তে বর চাইতে, এখন পাল্টাতে গেলে আগের বর মিথ্যা হয়ে যাবে।
বর না দিয়েই ব্রহ্মা চলে গেলেন। তখন মুকাণ্ড বিষ্ণুর আরাধনা করলেন।
শুরু হল বিষ্ণুর আরাধনা। তুষ্ট হলেন নারায়ণ। চতুর্ভুজ মূর্তিতে বর দিতে এলেন। অপরূপ মূর্তি দেখে ঋষি হাতজোড় করে প্রণাম জানালেন।
বিষ্ণু বললেন, হে ঋষি, তুমি কিজন্য তপস্যা করছ।
ঋষি বললেন, বিধাতার আশীর্বাদে আমি পুত্র লাভ করেছি কিন্তু তার পরমায়ু সাত বছর, আমি চাই আপনি আমার পুত্রকে দীর্ঘজীবী করুণ।
জনার্দন বিপাকে পড়লেন। তিনি কি করবেন বুঝতে পারলেন না। তিনি বললেন, আমি ঐ বর দিতে অক্ষম। বিধাতার বিধান অন্যথা করার আমার ক্ষমতা নেই।
বিষ্ণু চলে গেলেন। বিষণ্ণ মন নিয়ে ঋষি আশ্রমে ফিরে এলেন। পিতার এমন অবস্থা দেখে, পাঁচ বছরের সন্তান তার মাকে জিজ্ঞাসা করে, বাবা সবসময় কাঁদে কেন? কি হয়েছে বাবার?
মা পুত্রকে বললেন, সে কথা বলতে আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। বহুকাল আমরা পুত্রহীন ছিলাম। তারপরে বিধাতার বরে তোমাকে পাই। তোমার পরমায়ু মাত্র সাত বছর। এই জন্য আমরা তোমাকে হারাবার কথা ভেবে বিষণ্ণ থাকি। তোমার আয়ু বাড়ানোর জন্য তোমার বাবা চেষ্টা করছেন, কিন্তু তিনি ব্যর্থ হলেন।
মায়ের কথা শুনে পুত্র বললেন, মাগো, মৃত্যু থেকে মুক্তি পেতে জগতে কেউ কি পেরেছে? যখন জীবের জন্ম হয়, তখন তার মৃত্যুর দিনও ঠিক করা হয়ে যায়, কর্মানুসারে অল্পায়ু দীর্ঘায়ু হয়। কর্মের দ্বারা মানুষ স্বর্গে যায়, আবার নরকেও যায়। আমি তপস্যা করার জন্য বনে যাই, আমাকে অনুমতি দাও।
পাঁচ বছর বয়সে পুত্রের মুখে এই কথা শুনে মা অবাক হয়ে যান এই বালক এখন শিশু সে তপস্যার কি মানে জানে? বোধ করি কোন দৈব ভর করেছে, যদি তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে তো ভালো, না হলে যা হবার তাই হবে।
মা অনুমতি দিলেন। তাকে বিদায় দিতে গিয়ে মা কেঁদে উঠলেন। বালক চলল তপস্যায়। মহর্ষি পুলহের আশ্রম পুণ্যক্ষেত্র হরিক্ষেত্রে ঋষিপুত্র তার কাছে গেলেন এবং তাঁকে প্রণাম জানালেন।
এই শিশুটিকে দেখে মহর্ষি পুলহ জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? তোমার নাম কি? তুমি কেন এসেছ? বালক উত্তরে বলল, আমার নাম মার্কণ্ডেয়, ঋষি মুকার পুত্র। বিধাতার বরে পিতা আমাকে পেয়েছেন, আমার পরমায়ু মাত্র সাত বছর হওয়ায় আমার পিতা-মাতা খুবই দুঃখিত। এখন পিতা মাতার দুঃখ দূর করার জন্য আমাকে উপায় বলে দিন, যাতে আমি চিরজীবী হতে পারি।
মহর্ষি পুলহ বললেন, জগতের গুরু মহেশ্বর। ভক্তি ভরে তার তপস্যা কর, তিনি যদি প্রসন্ন হন তাহলে তুমি চিরজীবী হবে, দক্ষিণ সাগর তীরে কুণ্ডু নামে একজন মুনি আছেন, তার কাছে যাও। এবং তার উপদেশ নাও। ভক্তি ভরে লিঙ্গপূজা কর। একমাত্র তবেই মহেশ্বরের কৃপায় মৃত্যুকে জয় করতে তুমি সমর্থ হবে।
মার্কণ্ডেয় এবার কন্ডু মুনির কাছে গিয়ে প্রণাম জানালেন। মুনির প্রশ্নের উত্তরে মার্কণ্ডেয় সব কথা বললেন।
All The Images And Pictures In The Video Shows Belonges Respected Owners And Not Me DISCLAIMER:- Copyright disclaimer under section 107 of the Copyright Act 1976, allowanec is made for "fair use" for purposes such as criticism, comment, news, reporting, teching, schoolarship, education, and research. Fair use is a use permitted by copyright statute that might otherwise be infringing. Non-profit, educational or personal use tips the balance in favour of fair use.
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: