Shaplapur, Cox's bazar

Описание: গুরুপের সকল সদস্যদের সালাম জানাই. আজ আপনাদের সাথে একটা ভিডিও শেয়ার করবো, আশা করি আপনার মূল্যবান ২টি মিনিট সময় সাথে আপনার ফেইসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করলে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে.

ইদানিং মুসলিমরা অনেকেই বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে স্টাটাস দেয় "পিসফুল প্লেস" তাই আজ আমাদের মসজিদগুলোর এই অবস্থা, আমরা @ছুটির দিন Holidays ট্রাভেল গুরুপের মাদ্ধমে ঘুরতে গিয়েছিলাম বান্দরবন-অমিয়খুম-ভেলাখুম-দেবতা পাহাড়-নাফাখুম হয়ে লামার হাইওয়ে দিয়ে কক্সবাজার, আমাদের কাছে তাবু ছিল, আর ১৫ দিন আগে আমরা শাপলাপুর ক্যাম্পিং করে এসেছিলাম, টানা তিন দিন কষ্ট করে হেটে শেষে সবাইকে একটু ভিন্ন স্বাদের আনন্দ উপভোগ করানোর জন্য গিয়েছিলাম শাপলাপুর, কক্স'সবাজার. অনেক রাতে পৌঁছে ক্যাম্প করে, বার-বি-কিউ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়ি. সকালে ট্রলার/মাছ ধরা নৌকা থেকে মাছ বিক্রি করা দেখে, সমুদ্রে ঝাঁপ-ঝাঁপি করে দুপুরে নামাজ পড়তে গিয়েই শুনলাম এক করুন কাহিনী, এ কাহিনী শুধু আমাদের বাঙালির জন্য নয়, পুরা মুসলিম জাতির জন্য এক কলঙ্ক, এলাকায় তেমন মুসল্লি নাই, তাই মসজিদের দিকেও কারো কোনো খেয়াল নাই, মসজিদের কোনো উন্নয়ন নাই, ইমাম হুজুরের মাসিক বেতন ও জোগাড় হয় না কোনো কোনো মাসে.

আল্লাহ'র এতো নেয়ামত আমরা প্রতি মুহূর্তে পাচ্ছি, আর সেই মহান প্রতিপালকের দেওয়া প্রকৃতির মজা নিতে চলে যাচ্ছি প্রকৃতির সাথে আলিঙ্গন করতে কিন্তু সেই আল্লাহ ঘরের জন্য আমরা কি করছি???
শুনে আসলাম ২০১৬ সালের আগস্ট/সেপ্টেম্বর মাসে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া, আমি শাপলাপুরে কথা বলছি, ওই মসজিদের আসে পাশে প্রায় সব তিন শেড বা কাঁচা বাড়ি ঘর ঝরে ভেঙে যায়,গাছ গাছালি ভেঙে যায় অসংখ, মসজিদের সামনের একটা গাছ যেটা মসজিদের হেলে ছিল, ওই গাছটিও ভেঙে পড়েছিল কিন্তু মসজিদের অন্য দিকে. কেউ গেলে দেখে আসবেন, কারণ আমরা জানি আল্লাহ তার ঘর নিজেই রক্ষা করবেন.

আপনারা যদি কেউ নিরাপদে, ফ্রেন্ডস বা ফ্যামিলি নিয়ে ক্যাম্পিং করতে চান নিরিবিলি পরিবেশে, যদি মাছ ধরা ট্রলার/নৌকা দিয়ে ঘুরতে চান সমুদ্রে, যদি ট্রলার/নৌকা থেকে নামানো তাজা মাছ ভাজি বা ভুনা করে খেতে চান, #UNLIMITED FUN/MASTI করতে চান তাহলে যেতে পারেন শাপলাপুর, কক্স'সবাজার.

পরি শেষে সবাইকে একটা অনুরোধ করবো, ওই এলাকাতে রাতের পাহারায় থাকে হালিম ভাই, আর ও একজন দায়িত্ববান লোক আছেন যার নাম, খোরশেদ, মাটির মানুষ. যাদের প্রাণ ভোরে না মেহমানদারী করে, তাদের সংস্পর্শে থেকে আসুন একটাদিন আর, বৌদ্ধ মন্দির কে শান্তির জায়গা না বলে মসজিদেই কিছু সাহায্য দিতে চেষ্টা করেন. আমার সাথে এবার যারা গিয়েছিল সবাই আমরা ১০০/২০০/৫০০ যে যা পেরেছে দিয়েছে, আর ভাই প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে দিতে চেয়েছে, আল্লাহ ওনার আর আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দেন করার তৌফিক দান করুক সাথে আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিক.