হাইব্রিড ছোট মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি৷ বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া

Описание: হাইব্রিড ছোট মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি৷ বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া #shorts #মিষ্টিকুমড়া

#gardening​ #agrotips​ #pumpkins
টবে মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি
মিষ্টি কুমড়া চাষের সময়
মিষ্টি কুমড়া চাষে সার প্রয়োগ
হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়ার জাত
বারোমাসি মিষ্টি কুমড়া
সুইটি মিষ্টি কুমড়া চাষ
চাল কুমড়া চাষ পদ্ধতি
উচ্চ ফলনশীল মিষ্টি কুমড়ার জাত

হাইব্রিড ছোট মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য, প্রথমে সুনিষ্কাশিত উঁচু বেড তৈরি করতে হবে। এরপর, মাদায় জৈব সার প্রয়োগ করে, প্রতি মাদায় ২-৩টি বীজ বপন করতে হবে। চারা গজানোর পর একটি সুস্থ চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। নিয়মিত সেচ ও সার প্রয়োগ করে গাছের proper পরিচর্যা করতে হবে।
হাইব্রিড ছোট মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো:
১. জমি ও মাটি তৈরি:
মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য সুনিষ্কাশিত উঁচু বেড তৈরি করা জরুরি।
জমিতে জৈব সার (যেমন- গোবর সার) প্রয়োগ করতে হবে।
মাটির pH ৬.০-৬.৮ এর মধ্যে থাকা উচিত।
২. বীজ বপন:
জমিতে মাদা তৈরি করে, প্রতি মাদায় ২-৩টি বীজ ২-৩ সেমি গভীরে বপন করতে হবে।
বীজ বপনের আগে ১৫-২০ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে অংকুরোদগম ভালো হয়।
সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং প্রতি সারিতে ২ মিটার পর পর বীজ বপন করা যেতে পারে।
৩. চারা রোপণ:
বীজ থেকে চারা গজানোর পর, ১৫-১৬ দিন বয়সের চারা মূল জমিতে রোপণের জন্য উপযুক্ত।
জমিতে ৮-১০ ইঞ্চি আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করে নিলে ভালো হয়।
৪. পরিচর্যা:
চারা গজানোর পর, প্রতি মাদায় একটি সুস্থ চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে।
গাছের গোড়ায় নিয়মিত সেচ দিতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি জমে না থাকে।
জমিতে প্রয়োজনীয় সার যেমন- ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, বোরন, ও জিংক অক্সাইড প্রয়োগ করতে হবে।
রোগ ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করতে হবে।
৫. সার ব্যবস্থাপনা:
জমিতে মাদা তৈরির সময় গোবর, টিএসপি, জিপসাম, জিংক অক্সাইড, বোরন এবং কিছু পরিমাণ এমওপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
ইউরিয়া সার কিস্তি করে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
৬. ফল সংগ্রহ:
বীজ বপনের ১১০-১২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।
ফলের আকার ও ওজন পরিপক্কতার উপর নির্ভর করে।
বিশেষ টিপস:
শীতকালে কুমড়া চাষের জন্য অক্টোবর-ডিসেম্বর মাস এবং গ্রীষ্মকালে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
ফল ধরার পর প্রতিটি গাছে ২-৩টির বেশি ফল রাখা উচিত নয়।
জমিতে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।