করজে হাসানার ফজিলত।। করজ দাতার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাঁচটি
Автор: মধ্যমপন্থি উম্মাহ
Загружено: 2022-10-16
Просмотров: 18
Описание:
করজে হাসানার ফজিলত।। করজ দাতার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাঁচটি
#ঋণদাতার দায়িত্ব
এক. বিশেষ প্রয়োজনে কেউ ঋণ চাইলে সামর্থ্য থাকলে এবং মুনাসিব মনে হলে তাকে ঋণ দেওয়া।
ঋণ দেওয়া মূলত মুখাপেক্ষীকে সাহায্য করা। এজন্য কুরআন-হাদীসে মুখাপেক্ষীকে সাহায্যের যে সওয়াব ও ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, তা এখানেও প্রযোজ্য। একারণে ঋণ দেওয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে বিশদ আলোচনার প্রয়োজন নেই। শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করছি।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করে না। তার সাহায্য ত্যাগ করে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে থাকে, আল্লাহ তার প্রয়োজন পূরণে থাকেন। আর যে কোনো মুসলিমের একটি বিপদ দূর করবে, আল্লাহ তার কিয়ামতের দিনের বিপদসমূহ থেকে একটি বিপদ দূর করবেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮০
এই হাদীসে ঋণ দেওয়ার গুরুত্ব ও ফযীলত একাধিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়। এখানে মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক দাবি এই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সে তার ভাইয়ের সাহায্য ত্যাগ করে না। বিপদে পড়ে ঋণপ্রার্থনা করা ব্যক্তিকে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ও মুনাসিব মনে হওয়া সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেওয়া তার সাহায্য ত্যাগ করা বৈকি? এদিক থেকে বিবেচনা করলে ঋণ দেওয়ার গুরুত্ব খুবই স্পষ্ট।
হাদীসটির পরের অংশে মুসলিম ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ এবং বিপদ দূর করার ফযীলত বর্ণিত হয়েছে। আর ঋণ তো সেটিরই একটি উপায়।
দুই. ঋণগ্রহীতা সময়মত পরিশোধের প্রবল ধারণার ভিত্তিতেই ঋণ নিবে। এবং এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টাও করবে। কিন্তু কখনো এমন হতে পারে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে তা পরিশোধ করতে অক্ষম; বরং কখনো কখনো সম্পূর্ণ অক্ষমতারও আশঙ্কা থাকে, এক্ষেত্রে সুযোগ ও সামর্থ্য থাকলে (বাস্তবতা বিবেচনা করে) সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত তাকে সুযোগ দেওয়া বা মাফ করে দেওয়া অনেক বড় সওয়াবের কাজ। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) এবং কোনো (দেনাদার) যদি অসচ্ছল হয়, তবে সচ্ছলতা লাভ পর্যন্ত তাকে অবকাশ দেওয়া উচিত। আর যদি সদাকাই করে দাও, তবে তোমাদের জন্য সেটা অধিকতর শ্রেষ্ঠ, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। -সূরা বাকারা (২) : ২৮০
সুদখোরের অভ্যাস হল, ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধে অক্ষম হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের শর্তে মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় এবং চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের ব্যবসা চালায়। মহান আল্লাহ তাআলা এখানে এই নির্দেশ দিয়েছেন যে, কেউ যদি বাস্তবিকই অক্ষম হয় তবে তাকে অতিষ্ঠ করা জায়েয নয়; বরং সচ্ছলতা লাভ পর্যন্ত সময় দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারেও উৎসাহিত করা হয়েছে যে, যদি মাফ করে দাও তবে তা তোমাদের জন্য উত্তম।
এখানে মাফ করাকে ‘সদাকা’ বলা হয়েছে। এতে সম্ভবত এ দিকে ইঙ্গিত করা উদ্দেশ্য যে, এই ক্ষমা সদাকা হিসেবে গণ্য হবে এবং অনেক সওয়াবের কারণ হবে।
হাদীসে এসেছে, তোমাদের পূর্ববর্তী এক লোকের হিসাব নেওয়া হলে তার কোনো নেক আমল পাওয়া যায়নি। তবে সে মানুষের সাথে লেনদেন করত এবং বিত্তবান ছিল। কর্মচারীদের প্রতি তার এ নির্দেশ ছিল যে, অক্ষমদের যেন তারা মাফ করে দেয়। আল্লাহ বললেন, মাফ করার সক্ষমতা তো ওর চেয়ে আমার বেশি। এরপর তিনি ফিরিশতাদেরকে আদেশ দেন তাকে মাফ করে দেওয়ার। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬১
অন্য এক হাদীসে এসেছে, যে অক্ষমকে সুযোগ দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে কিয়ামতের দিন তাঁর আরশের ছায়াতলে জায়গা দিবেন- যখন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে। -সুনানে তিরমিযী, হাদীস ১৩০৬
আবদুল্লাহ ইবনে আবী কাতাদা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু কাতাদা রা. তার এক ঋণগ্রহীতাকে খুঁজলে সে আত্মগোপন করল। পরে তাকে পাওয়া গেল। তখন সে বলল, আমি অসচ্ছল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর কসম? সে বলল, আল্লাহর কসম (আমি অসচ্ছল)! আবু কাতাদা রা. বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যার পছন্দ যে আল্লাহ তাকে কিয়ামতের বিপদসমূহ থেকে মুক্তি দিন সে যেন অসচ্ছলকে সুযোগ দেয় অথবা মাফ করে দেয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৬৩
তিন. সময়ের পরে তো বটেই, (ক্ষেত্রবিশেষে) আগেও পরিশোধ তলব করা যাবে। তবে সর্বাবস্থায় নম্রতা ও ভদ্রতার পরিচয় দেওয়া কর্তব্য। কঠোরতা, গালি-গালাজ, ঝগড়া-বিবাদ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত। উত্তম চরিত্র মুমিনের বৈশিষ্ট্য, যার সর্বোত্তম ক্ষেত্র লেনদেন। হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহমত নাযিল করুন যে সহৃদয় যখন বেচে, যখন কিনে এবং যখন নিজের হক তলব করে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২০৭৬
অন্য এক হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি হক তলব করে সে যেন পবিত্রতার সঙ্গে তলব করে...। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৫০৮০
এখানে পবিত্রতা বলতে চারিত্রিক পবিত্রতা উদ্দেশ্য। সুতরাং চরিত্রকে কলুষিত করে এমন যেকোনো কথা ও কাজ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি।
চার. ভোগ্য ঋণ হোক বা ব্যবসায়ী ঋণ, ঋণের বিনিময়ে মূলধনের অতিরিক্ত কোনোরূপ শর্তারোপ না করা কর্তব্য। এটা রিবা, যা সম্পূর্ণ হারাম। কেউ এরূপ করে ফেললে যথা নিয়মে তাওবা করে শুধু মূলধনই গ্রহণ করবে।
পাঁচ. খোটা বা অন্য কোনোভাবে ঋণগ্রহীতাকে কষ্ট না দেওয়া।
@ক্ষুদ্র ঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: