হযরত শাহচান্দ আউলিয়া রঃ এর মাজার|| তিনি বারো আউলিয়ার একজন|ফাইয়াজ ইবনে ওমর
Автор: ফাইয়াজ ইবনে ওমর
Загружено: 2022-01-23
Просмотров: 640
Описание:
আসসালামু আলাইকুম , আজ আমাদের গন্তব্য হযরত শাহচান্দ আউলিয়া রঃ এর মাজার, পটিয়া |
হযরত শাহ্চান্দ আউলিয়া (র:) এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
====================
তিনি বার আউলিয়ার মধ্যে একজন অন্যতম অাউলিয়া। তাঁর মাজার শরীফ পটিয়া উপজেলা সদরের নিকটবর্তী বাহুলী গ্রামে অবস্থিত। ঐতিহাসিকদের মতে আরব বা পারস্যের কোন এক অঞ্চলেই তাঁর জন্ম। ড: এনামুল হক তাঁকে হযরত মোহছেন আউলিয়া (র:) এর সম-সাময়িক অর্থাৎ চর্তুদশ শতাব্দীর এবং অনেকে ষোড়শ শতাব্দীর বলে ধারণা করেন। তাঁর সম্পর্কে এলাকায় জনশ্রুতি আছে যে, তিনি একদা জন্মস্থান থেকে বাগদাদ হয়ে দিল্লীতে এসেছিলেন। আর কেউ কেউ বলে তাঁর মূল নাম ছিল শাহ্ আহছান এবং দিল্লীতেই ছিল তাঁর পৈতৃক নিবাস। সেখানে অবস্থানকালে আদিনা বিবি নামের জনৈকা শাহজাদী তাঁর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে তিনি বাংলায় এসে প্রথমে ত্রিপুরা ও পরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এবং দক্ষিণদিকস্থ শংখ নদীর তীরবর্তী এলাকা ইত্যাদি স্থানে আশ্রয় নেন। এদিকে আদিনা বিবি তাঁর অপ্রত্যাশিত এ প্রস্থানে চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং প্রয়োজনীয় অর্থ ও ভক্ত-সঙ্গী নিয়ে তাঁর খোজে বের হন। এ কারণে উপরোক্ত স্থান সমূহে তিনি আস্তানা নিলেও কোথাও স্থায়ী হননি। তিনি সর্বশেষ বিরাটাকার এক মাছের পিঠে চড়ে চানঁখালী হয়ে শ্রীমতি খালের তীরবর্তি এ বাহুলী গ্রামে এসে পৌছেন এবং সেখানে জঙ্গলাকীর্ণ এক জায়গায় আস্তানা নেন। কিছুকাল পর আদিনা বিবিও নানা অঞ্চল ঘুরে তথায় এসে পৌছেন এবং আশায় বুক বেঁধে তাঁর সামান্য পশ্চিমে (শীলপুকুরিয়া) আস্তানা নেন। আর প্রতিদিন এ মহান সাধকের খেদমতে নানা প্রকারের নাস্তা, ফলমূল ও সুস্বাদু খাবার পাঠাতেন। এভাবে কয়েকবছর গত হওয়ার পর শাহজাদী তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। ফলে এ মহিলা রাগে এবং অভিমানে বলে ফেলেন, তাহলে এ যাবৎ যা আপনাকে খাইয়েছি তা ফেরৎ দিন? কিংবদন্তী সূত্রে জানা যায়, তখন সাথে সাথে তাঁর ইঙ্গিতে সম্মূখস্থ পুকুর থেকে ওসব খাবারাদি যেমনি পরিবেশন করা হয়েছিল তেমনিই (টাটকা রূপে) ভেসে উঠে। আদিনা বিবি এতে বিস্মিত হয়ে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থি হন।
এরপর এ মহান সাধক স্রষ্টার প্রেমে এবং আদিনা তাঁর প্রেমে মগ্ন হয়ে পূর্ববৎ দিন কাটাতে লাগলেন। এভাবে কিছুকাল পর আদিনা আবার বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি এবার সম্মত হয়ে তাকে একটি সময় দেন। এতে আদিনা আহলাদিত হয়ে নানা ধরনের আয়োজন শুরু করেন। এ দিকে এ সাধক একটু পরে পাশ্ববর্তি উলুবনে গিয়ে শুয়ে পড়েন এবং স্রষ্টার উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন, “হে আল্লাহ আমাকে বাঁচান” সাথে সাথে উই পোকা তাঁর চারপাশ থেকে মাটি তুলে তাঁকে ঢেকে ফেলে। এ সংবাদ পেয়ে আদিনা বিবি তৎক্ষণাত তথায় এসে তাঁর লোকজনকে মাটি খননের নির্দেশ দিলে তারা খনন কার্য শুরু করে। কিন্তু দু’চার হাত গভীরে যেতে না যেতে এক দৈব বাণীতে নিষেধ করা হয়। ফলে অনন্যেপায় হয়ে আদিনা ধনজন সব বিসর্জন দিয়ে তথায় বসে দিন রাত শুধু অশ্রুজ্বলে বুক ভাসাতে লাগলেন। কিছুদিন পর হঠাৎ দৈব বাণীতে তাঁকে জানানো হলো তুমি আর কেদঁনা, আল্লাহ তোমায় কবুল করেছেন। তুমি এখানেই থাকবে। এর কিছু কাল পর আদিনা বিবি পরলোকগমন করলে তাঁকে পুকুটির দক্ষিণ পশ্চিম কোণায় কবরস্থ করা হয়। পরে এ মহান সাধকের সাধনাস্থলে মসজিদ ও সামধিস্থলে মাজার নির্মিত হ|য়। প্রতি বছর ৮ই ফালগুন তাঁর বার্ষিক ওরশ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। আজও মনোস্কামনা হাসিলের উদ্দেশ্যে প্রতি বৃহস্পতিবার শত শত লোক তাঁর মাজারে ভীর জমায়। বাহুলী নিবাসী হযরত মাওলানা নুরুল হক শাহ্ (র:), এ মহান সাধকের নামে ১৯২৮সালে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন তা আজ শাহ্চান্দ আউলিয়া আলিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা রূপে রাষ্ট্রীয় খ্যাতি লাভ করে।।
_______-______-____-_____-____-___
“মাজার শুধু মাত্র জিয়ারতের স্থান, সিজদার নয়”
_______-______-____-_____-____-___
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: