ধইঞ্চা চাষ পদ্ধতি, লিগুম জাতীয় খাদ্য কি? ছাগল ভেড়ার জন্য লিগুম কতটা জরুরী ছাগলের খামার ময়মনসিংহ
Автор: PPA Farm
Загружено: 2021-09-19
Просмотров: 17572
Описание:
#ধইঞ্চা: ছাগল-ভেড়ার #লিগুমজাতীয় খাদ্য
ছাগল-ভেড়ার জন্য লিগুমজাতীয় খাদ্যের যোগান ছোট বড় সকল খামারীর অতীব জরুরী। ইতোমধ্যে অনেকে লিগুমজাতীয় ঘাস এবং গাছের চাষ শুরু করেছে। ঘাসের মধ্যে কেউ কেউ খেসাড়ি, মাসকালাই এবং গাছ হিসাবে ইপিল ইপিল কে বেচে নিচ্ছে। কিন্তু স্বল্প সময়ে দুটোর উৎপাদন অনেক বেশি হয় না। তাছাড়া এগুলোর জন্য আলাদা জমির ও প্রয়োজন হয়। যাহোক অন্তত এগুলো করতে পারলেও ভাল ছাগল ভেড়ার খাদ্যের জন্য।
আমরা জমির বৈশিষ্ট্য ও সুবিধার উপর ভিত্তিকরে লিগুমজাতীয় কিছু করা বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করে আসছে। যাতে করে জমির ও সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়, আবার লিগুম ও পাওয়া যায়। সব দিক বিচার করে দেখা যায়-স্বল্প সময়ে ধইঞ্চা চাষ সম্ভব ও খমারের জন্য উপযুক্ত। জমিতে একবার ধান (খড়ের জন্য), দুই বার ভূট্টা (সাইলেজের জন্য), শেষবারের ভূট্টার পরেই ধইঞ্চা (লিগুমের জন্য)। তাই ধইঞ্চা চাষের উপকারিতা, ধইঞ্চার চাষ পদ্ধতি, ধইঞ্চার উৎপাদন ও ধইঞ্চার পুষ্টিগুনাগুন আলোচনা করা যাক।
#ধইঞ্চা চাষের উপকারিতা:
-মাটি উর্বর হয় ও ভৌত গুণাবলীর উন্নতি সাধন করে।
-গভীরমূলী হওয়ায় মাটির গভীর থেকে পুষ্টি পরিশোষন করে মাটির উপরিভাগে এনে দেয়।
-মাটিতে গাছের পুষ্টি উপাদানসমূহকে সংরক্ষণ করে এবং মাটির আদ্রতা ও জোঁ অবস্থা বজায় রাখে।
-বেলে মাটির পানি ধারন ক্ষমতা বাড়ায়, এঁটেল মাটিকে নরম করে ও ভূমি ক্ষয় রোধ করে।
-জৈব পদার্থ যোগের মাধ্যমে উপকারী অনুজীবের বংশবিস্তার বৃদ্ধি করে।
#ধইঞ্চার চাষ পদ্ধতি:
-ভালভাবে জমির চাষাবাদের প্রয়োজন হয় না, আড়াআড়িভাবে দুটি চাষ ও একটি মই দিলেই যথেষ্ট।
-এপ্রিলের মাঝামাঝি (বৈশাখের প্রথম) অথবা মে মাসের প্রথম (বৈশাখের মাঝামাঝি) হেক্টর প্রতি ৩০-৩৫ কেজি বীজ ছিটিয়ে বপন করতে হবে।
-ধইঞ্চা চাষের জন্য তেমন কোন সারের প্রয়োজন হয় না। তবে হেক্টর প্রতি ২০ কেজি টিএসপি এবং ১০ কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োগ করলে ভাল।
-তেমন কোন পরিচযার প্রয়োজন হয় না। পোকা মাকড় রোগ-বালাই এর আক্রমন হয় না বললেই চলে।
-লক্ষ্য রাখতে হবে ধইঞ্চা বুনার সময় বা বুনার পর পরই যেন জমিতে পানি না জমে।
#ধইঞ্চার উৎপাদন:
৫৫ থেকে ৬০ দিন বয়সের ধইঞ্চা প্রতি হেক্টর অর্থাৎ ২৪৭ শতক জমিতে ২৫-৩০ টন সবুজ ধইঞ্চা জন্মে। অর্থাৎ প্রতি শতকে ১০০ থেকে ১২০ কেজি সবুজ ধইঞ্চা পাওয়া যায়।
#ধইঞ্চার পুষ্টিগুনাগুন:
সবুজ ধইঞ্চার ড্রাই মেটার (২৬%) ক্রড প্রোটিন (২৪.৪%)। অর্থাৎ এক কেজিতে প্রায় ২৬০ গ্রাম ড্রাইমেটার পাওয়া যায় যাতে প্রায় ৬৩ গ্রাম ক্রড প্রোটিন থাকে। অপরদিকে শুকনো অবস্থায় ধইঞ্চার ড্রাই মেটার (৯০.৬%) ক্রড প্রোটিন (১৯.৯%)। অর্থাৎ এক কেজিতে প্রায় ৯৬০ গ্রাম ড্রাইমেটার পাওয়া যায় যাতে প্রায় ১৯১ গ্রাম ক্রড প্রোটিন থাকে। উভয় অবস্থায় ধইঞ্চার পুষ্টিগুণাগুন ছাগল-ভেড়ার জন্য অনেক ভাল। তবে পুরাপুরি ধইঞ্চা না দিয়ে মোট খাবারের ৩০% ধইঞ্চা রাখলে ভাল হয়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: