কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা, দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় ইসলামী সংগীত। কাদিয়ানীরা কাফের

Описание: কাদিয়ানীদের কাফের ঘোষণা দেয়ার জন্য জনপ্রিয় ইসলামী সংগীত।



#কাদিয়ানী আগা-গোড়া ব্যাপারে আমার চিন্তাঃ
আগেই বলে দেই আমি নিজেরে বুদ্ধিজীবী মনে করি না অবশ্যই! তবে ইহাদের ব্যাপারে কিছু বলিতেই হয় এবং আমাদের একটি #প্রচলিত_ভুল_আকিদা তুলে ধরতেই হয়😃
আসুন আল্লাহর নামে শুরু করা যাক।

প্রশ্নঃ ভাইয়া, কাদিয়ানীদের ঈমানি হালত কি❓

উত্তরঃ কাফের সম্প্রদায়ের কোন ঈমানি হালত থাকে না, থাকে শুধু গোমরাহি এবং অজ্ঞতা সাথে সাথে অনেক জাহেলিয়াত।

প্রশ্নঃ তাহারা কাফির কেন❓

উত্তরঃ ইসলামিজম এর একটি মৌলিক আকিদা "খৎমে নাবুয়াত”। ইহাকে তাহারা #ইন্ডাইরেক্টলি অস্বীকার করে। শরিয়ত(কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াস, ইজতিহাদ, ইসতিসান, ইসতিদলাল,ইসতিসলাহ, উরফ/আদা) প্রত্যেক বিভাগ থেকে তাহারা কাফির সাব্যস্ত! তাহাদের সমর্থন যারা করে তাহারাও কাফির! এবং ফিকহুল হানাফিয়াতে হাদিস শাস্ত্র, ইসতিসান এবং অন্যান্য বিভাগের আলোচনায় বুঝা যায় তাহাদের সমর্থন কারিদের স্ত্রি #অটোতালাক 😑 অতএব ঈমানদার বিবাহিতরা সাবধান❗

প্রশ্নঃ #ইন্ডাইরেক্টলি বলতে কি বুঝালেন?

উত্তরঃ সর্বশেষ পয়গম্বরের কলেমা ছিলো " কোন ইলাহ নেই, শুধুমাত্র আল্লাহ ছাড়া এবং মুহাম্মদ তার প্রেরিত বান্দা ও রাসুল" এইযে বাক্যটি ইহা আরবিতে তাদের মূল কার্যালয়ে বিশাল আকারে লিখিত আছে এবং তাদের বক্তব্য মতে তাহারাও খৎতমে নবুয়াত শিকার করে। তাহারা মনে করে নবীদের ধারায় সিল মোহর আছে,মুহাম্মদ(স) শেষ নবী( সুরা হুজুরাত এর ৪০ নং আয়াত তাহাদের হিসেবে ৪১ নং দিয়ে সাবস্ত করে) কিন্তু তার পরেই ইনারা একটু জাহিলিয়াতগিরি চালায় তাহা হইলো, রিসালাতের ধারা! এখনো চলমান রহিয়াছে, তাহারা ❝রাসুল❞এবং ❝নবী❞ এই দুই শব্দের দুই বিপরীত ব্যাখ্যা পুজি করে আগিয়েছে। মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানীকে তাহারা #ইমাম_মাহদি হিসেবে গ্রহণ করে এবং বিশ্বাস করে রিসালাতের ধারা তার পর্যন্ত এসেছে এবং বর্তমানে তার খলিফাদের মাধ্যমে ইহা বাস্তবায়িত❗😑

প্রশ্নঃ কিভাবে বুঝবো যে এই মির্যা সাহেব ভন্ড #ইমাম_মাহদি?

উত্তরঃ এতক্ষণে একটি যুক্তি যুক্ত প্রশ্ন উঠেছে!
একটু গুছিয়ে বলার চেষ্টা করি❗ খুব সেন্সিটিভ বিষয়ে কথা বলবোতো তাই😅 আবারো কইয়া দেই আমি কিন্তু বুদ্ধিজীবী না।
আগে আমাদের একটি প্রচলিত ভূল বুঝে নেয়া যাক।
#বিষয়টি হলো #ঈসা_(আ) কে নিয়ে আমাদের আকিদা।
কি সেই আকিদা? প্রচলিত সমাজে বেশিরভাগ নব্য আলেম এবং সাধারণ মুসলিমের বিশ্বাস শেষ জামানায় ঈশা (আ) আবার আসবেন এবং তিনি নবী হয়েই আসবেন।
এইখানে #কাদিয়ানী রা একটি প্রশ্ন তুলে তাহা হইলো
~ ❝উপরন্তু আমরাই কেবল খৎতমে নবুয়াত বিশ্বাস করি, যারা আমাদের কাফির বলে তাহারা নিজেরাই বিশ্বাস করে ঈশা নবী হয়ে ফিরে আসবেন অথচ তিনি মৃত নবী❞
নাউজুবিল্লাহ! অবশ্য এই প্রশ্ন তুলার দুঃসাহস আমরাই তাদের করে দিয়েছি।
এখানে আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে কাদিয়ানীদের ঈসা(আ) ব্যাপারে আকিদা খ্রিষ্টানিজম এর সাথে বেশ সাদৃশ্য! তাহাদের বিশ্বাস তিনি মারা গিয়াছেন!
যাই হোক, উপরক্ত প্রশ্নটি তাহারা তাদের যুক্তি দিয়ে উপস্থাপন করে।
প্রকৃত পক্ষে ঈশা(আ) ব্যাপারে সত্য কি? তিনি কি আবার দুনিয়ায় আসবেন? তিনি কি নবী হয়ে আসবেন?
উত্তর হচ্ছে- অবশ্যই তিনি আসবেন, কিন্তু তার সমসময়কালের বাণী ইজরাইলের শরিয়াত হুকুম আহকাম বর্তমানে প্রযোজ্য থাকবে না!
তিনি নবী ছিলেন কিন্তু যখন তিনি আসবেন তখন মুহাম্মাদ(স) এর শরিয়ত গ্রহণ করবেন এবং তাহার উম্মাত হিসেবে আসবেন❗
কিন্তু তাহার নবীর মর্যাদা অটুট থাকবে।

একটি উদাহরণ দিলে সহজে মাশায়েলটা বুঝা যাবে

যেমনঃ ভারতের কোন মন্ত্রি বাংলাদেশে আসলে তাকে বাংলাদেশের আইনবিধী মেনে চলতে হবে, তার মন্ত্রীত্ব এখানে খাটবে না সংবিধানে সংযোজন বিয়োজনে তাহার কোন ক্ষমতা থাকিবে না অনেকটা আউম জনতা! কিন্তু তিনি একজন মন্ত্রী।

ঠিক তেমনি ঈশা(আ) আসবেন অবশ্য, তবে নবী হিসেবে নয় উম্মাত হিসেবে, কিন্তু তিনি অবশ্যই নবী!
কেয়ামতের ময়দানে তিনি নবীদের কাতারেই থাকবেন।

যদি নবী হিসেবে আসেন তাহলে তাহা "খৎমে নাবুয়াত পরিপন্থী" এবং তিনি যদি নবী হিসেবেই আসেন তাহলে নবীদের উপরে ইলহাম-শরিয়াহ নাযিল হয় ইহাই নবীর মূল ব্যাখ্যা!
তাই আমাদের এই আকিদা সংশোধন করতে হবে, বিশেষ করে নবীন আলেম যাহারা আছেন তাহাদের। কারণ হইলো ❝আলেম যেমন আলাম তেমন!❞ ইহাই চূড়ান্ত বাস্তবতা।

এবং এটাই সঠিক আকিদা, যাহা দিয়ে কাফির সম্প্রদায় #কাদিয়ানী দের যুক্তি খন্ডিয় হয়।
এখন মির্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী যে ভন্ড তাহার প্রমাণ হইলো তাহাদের আকিদা, তাহারা ঈসা (আ) কে মৃত ভাবে, খৎতমে নবুয়াতকে মানে না, এবসম্পর্কিত সকল হাদিস পরিপন্থী!
এবং মাহদি আসিলে ঈশা (আ) এর অবশ্যই আবির্ভাব হবে। যেহেতু তিনার এই তিরধানে পুনরায় আবির্ভাব হয় নাই সুতরাং যত সকল ইমাম মাহদি আছে বর্তমানে তাহারা সকলেই ভন্ড!

দয়াময় সকলকে বুঝার শক্তি দিন। আমীন।