কোন মুঘল সম্রাটকে 'জিন্দা পীর' বা 'জীবিত সাধু' বলা হয় |
Автор: Suggestion Guru ( Competitive Exam )
Загружено: 2024-10-04
Просмотров: 404
Описание:
মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬-১৮৫৭) ভারতীয় উপমহাদেশে এক বিশাল এবং সমৃদ্ধ সাম্রাজ্য ছিল, যা ইতিহাস, সংস্কৃতি, স্থাপত্য ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। মুঘলদের শাসনকাল ভারতের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। এখানে মুঘল সাম্রাজ্য সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:
১. *মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা*
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর। ১৫২৬ সালে পানিপথের প্রথম যুদ্ধে দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদিকে পরাজিত করে তিনি ভারতের মাটিতে মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন।
২. *আকবরের শাসনকাল (১৫৫৬-১৬০৫)*
আকবরকে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্রাট হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি সাম্রাজ্যকে সুসংগঠিত করেন এবং ধর্মীয় সহনশীলতা, সামরিক শক্তি এবং প্রশাসনিক দক্ষতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করেন। আকবরের সময়ে মুঘল সাম্রাজ্য তার সর্বোচ্চ বিকাশ লাভ করে। তিনি মানসবদারি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন এবং রাজপুতদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করেন।
৩. *দীন-ই-ইলাহি*
আকবর একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করেছিলেন, যা বিভিন্ন ধর্মের মূল ভাবধারাকে মিশ্রিত করে গঠিত হয়েছিল। একে বলা হয় দীন-ই-ইলাহি। যদিও এটি কোনো ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারেনি, তবে এটি আকবরের ধর্মীয় সহিষ্ণুতার উদাহরণ ছিল।
৪. *শাহজাহান এবং স্থাপত্য*
শাহজাহান (১৬২৮-১৬৫৮) মুঘল সাম্রাজ্যের স্থাপত্যের স্বর্ণযুগের সূচনা করেন। তার শাসনামলে তাজমহল, দিল্লির লাল কেল্লা, আগ্রা ফোর্টের মতো অসাধারণ স্থাপত্যের নিদর্শন তৈরি হয়। তাজমহল, তার প্রিয় স্ত্রী মুমতাজ মহলের স্মৃতিতে নির্মিত, মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।
৫. *আওরঙ্গজেবের শাসনকাল (১৬৫৮-১৭০৭)*
আওরঙ্গজেবের শাসনামলে মুঘল সাম্রাজ্য তার সর্বাধিক ভূখণ্ডে বিস্তৃত হয়, কিন্তু তার কঠোর ধর্মীয় নীতির কারণে সাম্রাজ্যের ঐক্য এবং স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি হিন্দু মন্দির ধ্বংস, জিজিয়া কর পুনঃস্থাপন এবং শাসনকাজে ইসলামী আইন প্রয়োগের কারণে সমালোচিত হন।
৬. *মুঘল সাম্রাজ্যের পতন*
আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল সাম্রাজ্য ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে। সাম্রাজ্য অস্থিরতার মধ্যে পড়ে এবং মারাঠা, শিখ, রাজপুত এবং আফগানদের মতো শক্তিরা বিদ্রোহ করে। ১৭৩৯ সালে নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করে এবং বিপুল সম্পদ লুণ্ঠন করে। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ব্রিটিশরা বাহাদুর শাহ জাফরকে নির্বাসিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ পর্বটিও সমাপ্ত করে।
৭. *মুঘল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য*
মুঘল সাম্রাজ্য ভারতীয় সংস্কৃতি, শিল্প, স্থাপত্য এবং সংগীতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ফার্সি ও হিন্দুস্তানি সংস্কৃতির মিশ্রণে গঠিত উর্দু ভাষার বিকাশ মুঘলদের অধীনে ঘটে। তারা শান-শওকতের প্রতীক হিসেবে বাগান, মসজিদ এবং মাজার তৈরি করেন, যা আজও ভারতীয় উপমহাদেশে স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিদ্যমান।
৮. *মুঘল প্রশাসন*
মুঘল সাম্রাজ্য দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে। আকবরের মানসবদারি প্রথা এবং সুবাহ প্রথা ছিল মুঘল শাসনব্যবস্থার ভিত্তি। রাজস্ব সংগ্রহের জন্য টোডরমল প্রবর্তিত ‘দহসালা’ প্রথা ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্কার।
---
*মুঘল সাম্রাজ্যের অবদান:*
1. *স্থাপত্য:* তাজমহল, লাল কেল্লা, আগ্রা ফোর্ট, ফতেহপুর সিক্রি।
2. *শিল্প ও সংস্কৃতি:* ফার্সি ভাষা, উর্দু সাহিত্য, মিনিয়েচার চিত্রকলা।
3. *প্রশাসন:* সুবাহ ব্যবস্থা, মানসবদারি প্রথা, রাজস্ব ব্যবস্থা।
4. *সমাজ ও ধর্ম:* ধর্মীয় সহনশীলতা, দীন-ই-ইলাহী, হিন্দু-মুসলিম মিত্রতা।
মুঘল সাম্রাজ্য ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে, যা ভারতীয় উপমহাদেশের সামগ্রিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
@TheWayOfSolution @SSCAdda247
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: