নবাব সিরাজউদ্দৌলা বংশধর প্রসঙ্গে মানস বাবুর আলোচনা

Описание: হিন্দু ইহুদী খ্রিষ্টান ও অন্যান্য বিধর্মীরা কখনই আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত না আপনি তাঁদের ধর্মের অনুসরণ করেন ( সূরা আল বাকারাহ আয়াত ১২০ )।
হিন্দুস্তানের ইতিহাস বিষয়ক পুস্তক গুলোতে ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী বানোয়াট তথ্য গুলো রয়েছে ভুরি ভুরি, সেই তথ্য গুলোর বিরোধিতা করে সেগুলো মিথ্যা দাবি করে প্রমাণ সহকারে খণ্ডন করেন আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা তাঁর লিখা- “চেপেরাখা ইতিহাস” ও “ইতিহাসের ইতিহাস” গ্রন্থে। পাশাপাশি বঙ্কিম চন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী আরও অন্যান্য বিধর্মী বেক্তি সম্বন্ধে সমালোচনা করেন এবং তাদের চাপা পরা কু-কর্মের ইতিহাস সামনে তুলে এনে প্রমাণ সহকারে উপস্থাপন করেন মানব জাতির সামনে। যার দরুন সত্তের গর্জনে আতংকিত হিন্দুস্তানের হিন্দুত্তের সরকার ১৯৮১ সালে তাঁর কণ্ঠ দমন করে তাঁর মহা মূল্যবান গ্রন্থগুলো বাজেয়াপ্ত করে!!!!
ঐতিহাসিক তপন মোহন চট্টপাধাঁয় তার “পলাশী যুদ্ধ” গ্রন্থে এ ব্যাপারে খোলাখুলি লিখেছেন- নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রটা আসলে হিন্দুদের ষড়যন্ত্র। প্রধানত হিন্দুদের চক্রান্ত হোলেও বড় মাপের মুসলমান অন্তত একজনও তো চাই।“ আসলে মূল ষড়যন্ত্রে ছিল হিন্দুরা এবং এই ষড়যন্ত্রে ইংরেজরা তাদের সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করেছে। শুধু ইসলামের অনুসারি দেশপ্রেমী সৎ নীতি আদর্শবান নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্র করেনি, তারা অতীতে ও বর্তমানে বহুবার জনপ্রিয় মুসলিম শাসক ও জনপ্রিয় মুসলিম নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল ও লিপ্ত আছে এখনো!!!
ইসলাম প্রিয় বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলার চরিত্র, তাঁর রাজনীতি, তাঁর আদর্শ, তাঁর চেতনা ও তাঁর প্রিয় পরিবারের আপনজন প্রিয়জনদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার জন্য সু-দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে অর্থায়ন করে যাচ্ছে ইসালাম বিদ্বেষী প্রকৃত মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুস্তান। তাদের কালো টাকার জোরে নিত্য নতুন ভাবে নির্মিত হচ্ছে মুসলিম দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর প্রিয় পরিবারকে নিয়ে অশুভ সব তৎপরতার মুখো রোচক কল্প কথা- তাদের দ্বারা নির্মিত ভিডিও নটক যাত্রা পালা চলচ্চিত্র ও গ্রন্থতে।
আমাদের সকলের প্রিয় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, শেষ জামানায় বিধর্মী নিচু বংশের লোকেরা এবং তাদের অনুসারীরা ক্ষমতাসীন হবে এবং তারা প্রকৃত বংশীয় লোকদের উপর জোর জুলুম করবে, ইতিহাস ঐতিহ্য বিকৃত করবে। বংশীয় লোকরা হবে সৎ ও নিরীহ। রাসূলের কথা প্রতিনিয়তই সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে।
কিছু দুষ্ট ঐতিহাসিকদের অনুকরণে এবং রাজা মহারাজা ও কট্টর হিন্দুদের অসন্তুষ্টি লাভের ভয়ে অক্ষয় কুমার, মানস বাবু, সমর্পিতা দত্ত, সালাউদ্দিন সুমন গং নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও তাঁর প্রিয় পরিবার কেন্দ্রিক বহু মিথ্যাচারে ভরা সাজানো ও বানানো গল্প তৈরি করেছেন।

পতনের পর পরই নবাব প্রাসাদের কতক উচ্ছিষ্টভোজী সিরাজবিরোধী ইংরেজ অনুরাগী ও পরবর্তীকালে ইংরেজ আশ্রিতদের দিয়ে ইতিহাস লেখায় সিয়ারুল মুতাখখারিন, রিয়াজুস সালাতিন, মোজাফফরনামা ও তারিখে বাঙ্গালাহ। এখানে সিরাজের আচ্ছা মতো চরিত্র হনন করা হয়। চক্রান্তের এই ধারাবাহিকতা শেঠ চন্দ্র বল্লভ জাফর-দের নতুন প্রজন্ম মানস বাবু, সমর্পিতা দত্ত, সালাউদ্দিন সুমন গং সু-কৌশলে আজো অব্যাহত রেখেছে!
ইতিহাস ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রুম্মান আকবর বলেন, বন্ধুরা বাংলার ষড়যন্ত্র মূলক পাতানো নাটকে দু’ প্রজন্মের সিরাজ-উদ-দাওলাহ-ই প্রতারণার আশ্রয় নেননি। বাংলার দুষ্ট লোকেরা সুকৌশলে নতুন প্রজন্মের সিরাজ-উদ-দাওলাহ নওয়াবজাদা আব্বাস-উদ-দাওলাহ্-র বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে! ইতিহাসকে নির্মমতার সাথে গণধর্ষণ করছে বাংলার নব্য ষড়যন্ত্রকারি মানস বাবু ও সালাউদ্দিন সুমন গং! এই দুই Youtuber প্রকৃতপক্ষে নওয়াব সিরাজ-উদ-দাওলাহ্‌ ও তাঁর সন্তান ৯ম রক্তধারা প্রজন্ম নওয়াবজাদা আব্বাস-উদ-দাওলাহ্‌কে নিয়েই অনবরত ষড়যন্ত্র করেই চলছে।
নওয়াবজাদা আলী আব্বাস-উদ-দাওলাহ্ বাংলাদেশের দেশপ্রেমী জনতা বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়া করতিক ভালোবাসা স্বরূপ পাকা পোক্ত স্বীকৃতি পেয়েছেন। নওয়াবজাদা আলী আব্বাস-উদ-দাওলাহ্ নওয়াব সিরাজ-উদ-দাওলাহ্'র প্রকৃত ওয়ারিশ। নবাব বংশের বহু মিথ্যা দাবীদারও আছেন। সুমন এসব নিয়ে ভিডিও বানায় অথচ ইতিহাসের ক্ষেত্রে তার জ্ঞান ক-অক্ষর শূকর মাংশ! অর্থাৎ সুমন ও মানস দুই বন্ধুতে মিলে ইতিহাসকে গণধর্ষণের খেলায় নেমেছে! বাংলার দুষ্ট লোকেরা সুকৌশলে উনার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে! আমার দৃঢ় বিশ্বাস- এর পেছনে বিশাল কোন চিত্রনাট্য আছে।
যাইহোক নওয়াবজাদার ব্যাপারে আমার সংক্ষিপ্ত মন্তব্য হচ্ছে-
উনি ঠিক উনার পূর্ব পুরুষের মতোই স্পষ্ট ও সরল। আবারও কর্ণেল ম্যালেসনের ভাষায় বলতে হয় "বিয়োগান্ত নাটকে উনিই ১মাত্র প্রধান কুশীলব যিনি কখনই প্রতারণার আশ্রয় নেননি"।
বন্ধুরা জেনে রাখবেন, পাপ কোন দিন চাপা থাকে না। পলাশীর ছলনা যুদ্ধে যেসব বিশ্বাসঘাতকরা সামান্য টাকার লোভে, পদের লোভে নিজ দেশ ইংরেজদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাদের মৃত্যু হয়েছিল অত্যন্ত নির্মমভাবে। তাই বলি বন্ধুরা, দেশকে ভালবাসুন, আপনজনকে ভালবাসুন, আর দেশের স্বার্থে প্রিয় আপনজনের স্বার্থে শত্রুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না, মনে রাখবেন নিশ্চয়ই।
লেখক :- ( কবি আবদুল নবী )।
আর ভিডিও –টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টের জন্য উপহার স্বরূপ দিয়েছে fb ফলোয়ার সোহান।