রোহিঙ্গাদের পূর্বপুরুষ কারা?
Автор: #ফোক #Folk & original #Bangla #Songs & #nature
Загружено: 2025-06-06
Просмотров: 15
Описание:
রাখাইনে চট্টগ্রামী বংশোদ্ভূত বর্ণসংকর অধিবাসীরাই রোয়াইঙ্গা???
আরাকানের রোয়াইঙ্গা গোত্রের উৎপত্তি সম্পর্কে আমাদের অভিমত হল, প্রধানত আরাকানের বসতি স্থাপনকারী চট্টগ্রামী পিতার ঔরসে আরাকানী মঘ মাতার গর্ভজাত আরাকানী ও চট্টগ্রামী উপভাষা-ভাষী মুসলমান বর্ণসংকর জনগোষ্ঠীই হল আরাকানের রোয়াইঙ্গা গোত্র।
১৬৬০ খ্রীঃ মোঘল শাহজাদা সুজা আরাকানে পলায়ন ও হত্যার শিকার হওয়ার পর থেকে আরাকানের রোয়াইঙ্গা মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার হওয়ার সূত্রপাত হয়। তখন থেকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতিত ও বিতাড়িত হয়ে পার্শ্ববর্তী পিতৃপুরুষের দেশ চট্টগ্রামে আশ্রয় নেওয়ার ফলে এখানেও রোয়াইঙ্গা গোত্রের বিস্তার লাভ করে।
৩টি ঐতিহাসিক কারণে রোয়াইঙ্গাদের আদি পুরুষ আরাকানে গমন ও বসতি স্থাপন করেন বলে প্রামাণ্য দলিল রয়েছেঃ
১। গৌড়ের সুলতানের দরবারে ২৪ বছর আশ্রয়ে থাকার পর আরাকানের রাজা নরমিখলা ১৪৩০ খ্রী ২০ হাজার গৌড় সৈন্যের সাহায্যে আরাকান সিংহাসন পুনরুদ্ধার করেন। তাদের সাহায্যকারী হিসেবে বহু চট্টগ্রামীর আরাকানে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর নিজ নিরাপত্তার স্বার্থেই রাজা নরমিখলা গৌড় বাহিনীকে রাজধানীর পার্শ্বে ও বার্মা সীমান্তে বসতি স্থাপন করান।
২। ১৫৮০ থেকে ১৬৬৫ খ্রী পর্যন্ত ৮৫ বছর চট্টগ্রাম একাধিকবার আরাকানের শাসনাধীন ছিল। এই সময়টায় আরাকানী মঘ পর্তুগীজ জলদস্যুদের সাথে মিলে পূর্ব ও দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক লটতরাজ ও দাসব্যবসা চালায়। কিন্তু নিজেদের শাসনাধীন থাকায় চট্টগ্রামে তাদের উতপাত ছিলনা। এ সময় আরাকান রাজসভায় বড় ঠাকুর, মাগন ঠাকুর, আশরা খাঁ, সোলায়মান, নবরাজ মজলিশ, সৈয়দ মোহাম্মদ প্রমুখ মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ছিল চট্টগ্রামী। শাসন বিভাগ পরিচালনা করতেন মুসলমান কাজী। সেনা বিভাগেও ছিল মুসলমান। ১৫ পার্শ্ববর্তী দেশ একরাজ্য হিসাবে বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামবাসী আরাকানে চাকুরি ও ব্যবসা উপলক্ষ্যে বসবাস করত।
গ) ১৮২৬ খ্রী প্রথম ব্রহ্ম যুদ্ধে আরাকান ইংরেজদের অধীনে যায়। তখন থেকে তিরিশের দশক পর্যন্ত আরাকানের বিভিন্ন অনাবাদী জমি চাষের জন্য বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামী কৃষক ও শ্রমিকদের আরাকানের বসতি স্থাপনের জন্য উৎসাহিত করা হয়।
অন্যদিকে ১৪৩০ খ্রিঃ নরমিখলার সময়ে গৌড়ীয় সেনানিবাস হয়েছিল দক্ষিণ আরাকানে। পরে একে অবলম্বন করে এই জেলার ব্যাপক অঞ্চলে মুসলমান বস্তি গড়ে উঠে। পুরনো রাজধানী লউঙ্গয়েত বারবার পরাজিত হয়ে একপ্রকার অকেজো হয়ে পড়ে। গৌড়ীয় সেনাপতির পরামর্শে ম্রোহং এ রাজধানী স্থানান্তরিত হয়। মঘদের বিশ্বাস করা হল না। এই জন্য নতুন রাজধানীতে মঘ বস্তির চারদিকে গৌড়ীয় মুসলমান বস্তি স্থাপন করা হল। মায়াচং এর নিকট বস্তিতে স্থাপন করা হল প্রথম মসজিদ। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ নরমিখলা নিজেই তা নির্মাণ করে দেন। এটা সন্দিকাল মসজিদ নামে পরিচিত। এই মসজিদ ছিল রাজধানীর পূর্ব-দক্ষিণ ভাগে, যা কোয়ালং বা গোয়ালঙ্গী নামে পরিচিত, এবং এটা গৌড় শব্দের অপভ্রংশ। একইভাবে বুথিডং এর উত্তরে মগেদের বলা কালাপাঞ্জন ও গৌড়ীয় মুসলমানদের অন্যতম আদি বসতি।
বাংলার স্বাধীন সুলতানি আমলে গৌড়ের সেনাবাহিনী পাইকবাহিনী নামে পরিচিত ছিল এবং পাইকবাহিনীর অধিকাংশ সৈন্য ছিল বাঙ্গালী। নরমিখলার সিংহাসন পুনরুদ্ধারের সময় চট্টগ্রামে গৌড়ের সুলতান ছিলেন জালালউদ্দিন মোহাম্মদ শাহ যদুর (১৪১৮-১৪৩১)। এই সময় বহু চট্টগ্রামী আরাকানে গিয়েছিল। নরমিখলার মৃত্যুর পর ১৪৩৪ সালে মিনখেরী আলী খাঁ রাজা হয়ে গৌড়ের অধীনতা ছিন্ন করে , আরাকান স্বাধীন হয়ে যায়। তখন গৌড়ের সেনাবাহিনী ফিরে লেও শ্রমিক ও সেনাবাহিনীভূক্ত চট্টগ্রামীদের আরাকানে থেকে যাওয়া সম্ভব।
১৬৫৭ সালে সম্রাট শাহজাহান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর সিং হাসনের দাবি নিয়ে চার পুত্রের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ১৬৬০ সালে তান্ডার যুদ্ধে আওরঙ্গজেবের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে জাহাঙ্গিরনগরের উপস্থিত হন এবং প্রাণভয়ে পুত্র জয়নুদ্দিনকে আরাকানের রাজার কাছে উপঢউকন সহ পাঠান সাহায্যের জন্য । পরবর্তীতে অনেক ঘটনার পর তিনি আরাকানে পৌঁছান যেখানে তাঁর সঙ্গী ছিল দ্বিতীয় স্ত্রী পিয়ারা বানু, তিনপুত্র জয়নুদ্দিন, বুলন্দ আক্তার ও জয়নুল আবেদীন, তিনকন্যা গুলরাখ বানু, রওশন আরা ও আমেনা বেগম এবং বোন সবিহা বিবি।
অনেক ইতিহাসবিদদের মতে ১৬৫২ সালে আরাকান রাজা থদো মিন্তারের অকাল মৃত্যুর পর রাণীর অভিভাবকত্বে শিশু পুত্র চন্দ্র সুধর্মা রাজা হন। ১৬৬০—১৬৬১ সালে সুজার আরাকানে আশ্রয় গ্রহণের সময় সুধর্মা ৮/১০ বছরের বালক মাত্র। এইসময় আরাকান রাজের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সৈয়দ মুসা আর সর্বময় ক্ষমতা ছিল রাণীর হাতে। নারী শিশু ও মুসলমান মন্ত্রী দেখে হয়ত শাহ সুজা রোসাংগ সিং হাসন দখলে প্রলুব্ধ হয়েছিলেন এবং ব্যর্থ হয়ে সপরিবারে নিহত হন এবং তার এই মৃত্যুর পর এই ষড়যন্ত্রের সাথে ম্রোহং এ বসবাসকারী রোয়াইঙ্গা মুসলমানদের যোগসাজগ থাকার সন্দেহে তাদের ভাগ্যে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। আরাকান রাজরোষে বহু মুসলমান নিহত ও কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। মুসলমানদের উপর চলতে থাকে অকথ্য নির্যাতন। এমনকি শাহ সুজার সাথে বন্ধুত্ম থাকায় রোসাংগ প্রবাসী কবি আলাউলও অত্যাচারের শিকার হন। আগামী পর্বে রোয়াইঙ্গা গোত্রের চট্টগ্রামে বিস্তারের উপর আলোচনা চলবে।
তথ্যসূত্র:
১। প্রাচীন আরাকান রোয়াইংগা হিন্দু ও বড়ুয়া বৌদ্ধ অধিবাসী- আবদুল হক চৌধুরী
২। The British Burma Gazetteer- Rangoon, The Government Press, 1880
৩। A Short History of Burma- SW Cocks, 1910
৪। The Making of Burma- Dorothy Woodman, 1960
#ashorthistoryofburma
#Burma
#Arakan
#Rohingya
#Rakhine
#Chittagong
#Bangladesh
#PleaseShare
#pleasefollowme
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: