#পৃথিবীর
Автор: নবীজির পথে
Загружено: 2020-10-02
Просмотров: 119
Описание:
#পৃথিবীর বুকে এক ইতিহাস হয়ে আছে নূহ আঃ এর নৌকার ঘটনা#নবীজির পথে# 2020 |
======================================================================
নূহ আঃ ফরিয়াদ করে বললেন- হে প্রভূ, পৃথিবীতে কাফেরদের মধ্য থেকে একটি গৃহবাসীকেও ছেড়ে দিও না। তুমি তাদেরকে ছেড়ে দিলে ওরা তোমার বান্দাদেরকে গুমরাহ করবে এবং জন্ম দিতে থাকবে কেবল গুণাহগার ও কাফের। হে আমার পালনকর্তা, তুমি ক্ষমা কর আমাকে, আমার মাতা-পিতাকে এবং যারা মু'মিন হয়ে আমার গৃহে প্রবেশ করে তাদেরকে এবং মু'মিন পূরুষ ও মু'মিন নারীদেরকে। আর যালিমদের শুধু ধ্বংশই বৃদ্ধি কর।"
আল্লাহ পাক নূহ আঃ এর দোয়া কবুল করলেন কাফেরদের ধ্বংশ হয়ে উঠলো অনিবার্য। এই ধ্বংশ সাধনের জন্য আল্লাহ পাক মহাপ্লাবনের কথা জানিয়ে দিয়ে নূহকে একটি নৌকা বানাতে নির্দেশ দিলেন। যেন মু'মিনগণ তুফানের সময় কিশতিতে আরোহন করে বেচে যায়।
নূহ আঃ কে নৌকা তৈরীর নির্দেশঃ
কিশতি কি ? সটা কিভাবে কি দিয় তৈরী করবে কিছুই তো নূহ আঃ জানেন না। তাই মহান আল্লাহ নূহকে বললেন-
واصنع الفلك باعيننا ووحينا ولا تخاطبني في الذين ظلموا انهم مغرقون. هود: 11.
(ওহ আমার পয়গম্বর,) তুমি আমার তত্বাবধানে ও আমার ওহী অনুযায়ী নৌকা নির্মাণ কর এবং যারা সীমা লঙ্ঘন করেছে তাদের ব্যপারে তুমি আমাকে কিছু বলিও না। নিশ্চয়ই তারা ডুবে মরবে। "
অতঃপর নূহ আঃ নৌকা বানাতে লাগলেন। তাঁর কওম তখনও তাঁকে বিদ্রূপ করা থেকে বিরত হল না। বরং তারা আল্লাহর নবী বিয়াদবী করে উপহাস করতে লাগল। কুরানের ভাষায়ঃ
ويصنع الفلك وكلما مرعليه ملأ من قومه سخروا منه قال ان تسخروا منا فانا نسخر منكم كما تسخرون. هود: 38.
সে নৌকা নির্মাণ করতে লাগলো এবং যখনই তাঁর কওমের প্রধানেরা তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রম করতো, তাঁকে উপহাস করতো। নূহ বলতো, তোমরা যদি আমাদেরকে উপহাস কর তবে আমরাও তোমাদেরকে সেইরুপ উপহাস করবো, যেরূপ তোমরা উপহাস করছো।
উল্লেখ্য যে, কোন কোন ঐতিহাসিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, নৌকাখানি-
৩০০ গজ লম্বা
৫০ গজ প্রস্থ
৩০ গজ উচু ও ত্রিতল বিশিষ্ট্য
উহার দুই পার্শ্বে অনেকগুলি জানালা ছিল।
নীচ তলায় জীব জন্তু, দ্বিতীয় তলায় পূরুষগণ এবং উপরের তলায় নারীরা আরোহন করেছিল।
নবীকে বিদ্রূপ করার ফলঃ
কিশতিতে পায়খানা করার উৎসব
ঈমান না আনার কারণে 'কাফেরদেরকে মহা এক প্লাবনে ডুবিয়ে মারা হবে' নবীর এই ভবিষ্যৎ বাণী তারা অবিশ্বাস করেছিল। শুস্ক সেই মরুভূমিতে কিভাবে নৌকা চালানো যায় এই কথা বুঝতে না পেরে তারা নবীকে পাগল বলে আখ্যায়িত করল। নূহ আঃ আল্লাহর নির্দেশে নৌকা নির্মাণ সমাপ্ত করে বন্যার অপেক্ষায় থাকলেন। নৌকার প্রতি কাফেরদের ঘৃণা কৌতুক দিন দিন বাড়তে লাগলো। আসভ্য এই কাফেররা এমন এক পর্যায়ে পৌছে গেল যে নৌকা নিয়ে তামাশা শুরু করে দিল। তামাশাচ্ছলে নৌকায় গিয়ে তারা পায়খানা করে আসতো। এই তামাশা তাদের একটি উৎসবে পরিণত হলো। দলে দলে লোক এসে এই অশ্লিল আনন্দ করে চলে যেতো। মুসমানগণ সংখ্যায় ছিল মাত্র চল্লিশ জোড়া এবং কাফের ছিল অসংখ্য। তাই কাফেরদের এই বেয়াদবী প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তাদের ছিল না। মুসলমানগণ সুধু দোয়া করতে পারতো।
কাফেরদের উপর কুষ্ঠ রোগ ছড়িয়ে পড়াঃ
কিছু দিন যেতে না যেতেই কাফেরদের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ দেখা দিল। দেহের ঘা আর সারে না। যতই চিকিৎ সা করা হয় ততই ঘা বেড়ে যায়। কোন ওষুধেই কাজ হয় না। কষ্ট ও যাতনাই দেশ হাহাকার করে উঠলো।
একদিন একটি লোক নৌকায় গেল পায়খানা করতে। নৌকার পায়খানা তখন ছিল কানায় কানায় ভরা। পা ফসকিয়ে সে পায়খানার ভিতর পড়ে গেল। পায়খানার ভিতর হাবুডুবু খেয়ে কোন রকমে সে নৌকার উপরে উঠে আসল। তারপর বাড়ী গিয়ে ঘা ধুয়ে দেখে তার কুষ্ঠ রোগ ভাল হয়ে গেছে। যে রোগের কোন চিকিৎসা নাই, যে- রোগ সারা শরীর খেয়ে ফলতো সে-রোগ এখন দূর হয়ে গেছে। শরীর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
কাড়াকাড়ী করে মল সংগ্রহ করে ঘায়ে মাখা ও নৌকা পরিস্কারঃ
সকাল বেলায় প্রতিবেশিরা তাকে সুস্থ দেখে জিজ্ঞাসা করলো কোন ওষুধে সুস্থ হয়েছে। সে বলে দিল ঐ নৌকার মলের 'বরকতে' সে এখন সুস্থ। আর যায় কোথায়, কাফেরের দল সব বালতি নিয়ে ছুটলো। বালতি বুঝাই করে করে নিজেদের মল নিজেরাই বাড়ী নিয়ে যেতে লাগল। আর বরকত মনে করে ঘা ধুতে লাগলো। আর সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যেতে লাগলো। কাফের মহলে মল সগ্রহ করার কাড়াকাড়ি লেগে গেল। শেষে যখন নৌকা মল শূণ্য হয়ে পড়লো তখনও অনেক রোগী বাকী থাকল। অগত্যা তারা নৌকা ধুয়ে ধুয়ে পানি নিতে লাগলো। সেই পানিতেও রোগ দূর হতে থাকলো। ফলে নৌকা কয়েকবার ধুয়া হয়ে গেল এবং নৌকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে পড়লো।
=======================================================
/ নবীজির পথে/
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: