মা বাবা এর সম্মান ও মর্যাদা ও কলিজা ঠাণ্ডা করা ওয়াজ l রমিজ উদ্দিন ফরিদপুরি 2019
Автор: @peaceexpressbd2521
Загружено: 2019-02-28
Просмотров: 481
Описание:
মা বাবা এর সম্মান ও মর্যাদা ও কলিজা ঠাণ্ডা করা ওয়াজ l রমিজ উদ্দিন ফরিদপুরি 2019
ইসলামে সন্তান প্রতিপালনকে যেমন বাবা-মায়ের ওপর সন্তানের হক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তেমন বাবা-মায়ের সেবা এবং তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে বাবা-মায়ের হক বা অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ৩৬ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, আল্লাহর ইবাদত কর, কোনো কিছুতে তার শরিক কর না এবং মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার কর। মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘তাদের কেউ অথবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন তাদের সঙ্গে সুআচরণ কর এবং কখনো ওহ শব্দটিও উচ্চারণ কর না। তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বল এবং বল, হে আল্লাহ! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন করে আমাকে তারা শৈশবে লালনপালন করেছেন।
বাবা-মা সন্তানের জন্য অসীম ত্যাগ স্বীকার করেন। সন্তানের সুখের জন্য তারা পরিশ্রম করেন, নিজের সুখকে বিসর্জন দেন। বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের যে ঋণ তা কিছুতেই পূরণ হওয়ার নয়। বিশেষ করে প্রতিটি জননী তার সন্তানের জন্য যে কষ্ট ভোগ করেন তার কোনো তুলনাই নেই।
পবিত্র কোরআন এবং রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বাবা-মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ববোধ সম্পর্কে বারবার সচেতন করে দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় প্রয়োজনে জিহাদে অংশ গ্রহণকে ইসলামে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বাবা-মায়ের সেবায় সন্তানের আত্মনিয়োগকে তার চেয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বুখারি শরিফের একটি হাদিস এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। ‘একবার এক ব্যক্তি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে জিহাদে অংশগ্রহণের অনুমতি প্রার্থনা করল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার বাবা-মা কি জীবিত আছেন? লোকটি জবাব দিল হ্যাঁ। রসুলুল্লাহ বললেন, তুমি তাদের সেবাযত্নে নিজেকে আত্মনিয়োগ কর। বাবা-মায়ের প্রতি অনুগত থাকাকে ইসলাম এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে যে, তারা যদি মুশরিকও হয় তারপরও আল্লাহ ও রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুমের পরিপন্থী না হলে তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না। মহান আল্লাহ এবং রসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের হুকুমের খেলাপ হলে এই একটি মাত্র ক্ষেত্রে সন্তান তার বাবা-মায়ের হুকুমকে লঙ্ঘন করতে পারবে।
কল্যাণকামী সমাজ গড়তে হলে বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা তাদের মধ্যে যে কৃতজ্ঞতাবোধের উন্মেষ ঘটায় তা তাদের সর্বক্ষেত্রে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। আল্লাহ আমাদের বাবা-মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার এবং তাদের সেবা করার তৌফিক দান করুন।
ইসলামের দৃষ্টিতে পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া কোনোভাবেই বৈধ নয়। সন্তান যদি একনিষ্ঠতার সঙ্গে আল্লাহ তাআলার ইবাদাত করার পাশাপাশি পিতা-মাতার সেবাযত্ন, খেদমত এবং উত্তম আচরণ করে; তবে সে দুনিয়া ও পরকালে মহাসফলতা লাভ করবে। আর যদি পিতা-মাতার সঙ্গে অসদাচরণ করে অথবা সন্তানের কোনো কাজের কারণে পিতা-মাতা অসন্তুষ্ট হন, তবে তার জন্য জাহান্নাম সুনিশ্চিত। পিতা-মাতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদতের পর সন্তান-সন্ততির জন্য পিতা-মাতার আনুগত্য করার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। পিতা-মাতাকে সম্মান করা, তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার, কোমল আচরণ করাকে আবশ্যক করেছেন। এ জন্য তাঁর ইবাদাতের সঙ্গে সঙ্গে পিতামাতার প্রতি উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
mata
‘তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে (আল্লাহ) ছাড়া অন্য কারও ইবাদাত কর না এবং পিতা-মাতার সাথে ভালো ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কোনো একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বল না এবং ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা বল।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩)
এ কারণেই হাদিসে এসেছে, হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলে আরাবিকে জিজ্ঞাসা করলেন, সন্তানের ওপর পিতা-মাতার হক কী? উত্তরে বিশ্বনবি বললেন, তাঁরা উভয়েই তোমার জান্নাত অথবা জাহান্নাম। অর্থাৎ যারা পিতামাতার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে, তারা সফলকাম। আর যারা তাদের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে তাদের জন্য লাঞ্ছনা।
হাদিসে আরো এসেছে- যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পিতা-মাতার আনুগত্য করে তার জন্য জান্নাতের দুটি দরজা খোলা থাকবে; আর যে ব্যক্তি তাদের অবাধ্য হয় তার জন্য জাহান্নামের দুটি দরজা খোলা থাকবে। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি বিশ্বনবিকে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জাহান্নামের এ শাস্তির বাণী কি তখনো বলবৎ থাকবে? পিতা-মাতা যখন এ ব্যক্তির প্রতি জুলুম করে। উত্তরে রাসুলে আরাবি বলেন, এই শাস্তির বিধান হয়তো তখনো প্রযোজ্য হবে।
কোনোভাবেই পিতামাতকে কষ্ট দেয়া যাবে না। তাদের অবাধ্য হওয়া যাবে না। আর কুরআন ও হাদিসের বিধানও তাই। সুতরাং সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলার ইবাদাত (হুকুম-আহকাম) করা; তারপরই পিতা-মাতার খেদমত করা, তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই সকল মানুষের একান্ত কর্তব্য। সর্বোপরি এমন কোনো কাজ না করা, যাতে তাদের মনে সামান্যতম কষ্টও হয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগির পাশাপাশি পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, তাদের প্রতি সহনুভূতিশীল হওয়া এবং তাদের সার্বিক তত্ত্ববধান গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন
#মা_বাবা_এর_সম্মান_ও_মর্যাদা #রমিজ_উদ্দিন_ফরিদপুরি #best_waz_2019
Recorded By : Peace Express bd
Label: Islamic Peace Express bd
আসসালামুয়ালাইকুম
Peace Express bd এর পক্ষ থেকে আপনাদের স্বাগত । ইসলাম প্রচারে আপনার সহযোগিতা একান্ত কাম্য । ইসলামের প্রতিটি বানী ছড়িয়ে দিতে এই চ্যানেলটি Subscribe করুন ।
দয়া করে আমাদের ভিডিও আপলোড দিবেন না, দিলে আইন মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: