উচ্চরক্তচাপ কি | যে সব খাবার উচ্ছরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে | হাই ব্লাড প্রেসারে করনীয় | blood pressure
Автор: Dr. Abdur Razzaque
Загружено: 2021-03-14
Просмотров: 1020
Описание:
সঠিক ডায়েট শুধু রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণেই রাখে না, বরং রক্তচাপের মাধ্যমে তৈরি সমস্যাগুলো প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
সঠিক নিয়ম মেনে সময়মতো পরিমিত খাবার খেলে এবং জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করে সহজেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
ছোট কিছু পরিবর্তনেই উচ্চ রক্তচাপের নেতিবাচক প্রভাব থেকে অনেকটাই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন তাজা ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমলকী, আপেল, কমলা, মাল্টা, ডালিম, কলা, নাশপাতি, পেঁপে ইত্যাদি খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকতে হবে সবুজ শাকসবজি যেমন পালংশাক, কলমিশাক, মুলাশাক, পাটশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, মুলা, লাউ, মটরশুঁটি, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, কুমড়া ইত্যাদি।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ ফ্যাটজাতীয় খাবার ব্লাডপ্রেশার কমাতে সাহায্য করে, যেমন : জলপাইয়ের তেল, ফুলকপি, বাদাম, মাছ ইত্যাদি।
খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম–জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সাধারণত ডাবের পানি, কলা, টমেটোসহ কিছু সবজিতে পটাশিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বাদাম, শালগম, তিসি, ডার্ক চকলেট ও কালিজিরা ভালো কাজ করে।
আঙুর: পটাশিয়াম প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক উপাদান, যা কিডনি থেকে সোডিয়াম নিঃসরণ করে ও রক্তনালী শিথিল করে দেয়। পটাশিয়াম ও ফসফরাসে পরিপূর্ণ আঙুর হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে।
কলা : আগেই বলা হয়েছে, হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে। একটি কলায় ৪৫০ মিলিগ্লাম পটাশিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন কলা খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ রয়েছে অ্যাডেনোসিন। এটি পেশি শিথিল করে। যা হাইপারটেনশনের রোগীদের চিকিৎসায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে পেঁয়াজ। কাঁচা পেঁয়াজ রস বানিয়েও খেতে পারেন। রসের স্বাদ ভালো না লাগলে তাতে সামান্য মধু মেশাতে পারেন।
রসুন :ধমনী ও শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে রসুন। এটি রক্তের প্রবাহ বাড়ানো ও ব্লাড প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানি : ডাবের জলে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস্। এই উপাদানগুলি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
তরমুজ: তরমুজে আছে আরজিনাইন। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে।
ধনেপাতা : প্রচুর পরিমাণে বায়োঅ্যাকটিভ রয়েছে ধনে পাতাতে। যেমন - অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি ও হতাশা কমানোর উপাদান। তাই ধনেপাতা খেলে কমে যেতে পারে ডায়াবিটিজ়, কোলেস্টেরলের সমস্যাও।
লেবু : ভিটামিন সি'তে ভরপুর পাতিলেবু হৃদযন্ত্রের সূক্ষ্ম নলগুলির শক্তি বাড়ায়। এতে হাইপারটেনশনও নিয়ন্ত্রণে থাকে
ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক ওজন বজায় রাখার লক্ষ্যে উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে খাদ্যের ক্যালরি যথাযথভাবে মেনে চলতে হয়। এ ক্ষেত্রে ফ্যাট বা চর্বিজাতীয় খাদ্য অবশ্যই কম গ্রহণ করতে হবে। চিনি, অতিরিক্ত ভাত, আলু, মিষ্টি—এই জাতীয় শর্করাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে:
চর্বিজাতীয় খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে, যেমন : গরুর মাংস, খাসির মাংস, কলিজা, মগজ, বড় চিংড়ির মাথা, ডিমের কুসুম, বেকারির খাবার, বাটার, ঘি, ভাজা খাবার ইত্যাদি।
সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লবণ হলো সোডিয়ামের খুব ভালো উৎস। প্রতিদিন রান্নায় চার থেকে পাঁচ গ্রাম (১ চা চামচ = ৫ গ্রাম) পর্যন্ত লবণ ব্যবহার করা ভালো। খাবারের সময় আলাদা লবণ পরিহার করতে হয়। লবণাক্ত খাবার, যেমন : চিপস, পাপড়, চানাচুর, আচার ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
পটাশিয়ামযুক্ত খাবার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেক জরুরি। পটাশিয়াম রক্তের সোডিয়ামের মাত্রা যথাযথভাবে বাড়িয়ে রাখতে সহায়তা করে। ডাবের পানি, কলা, টমেটো, গাঢ় সবুজ শসা, সবজি, সালাদ পটাশিয়ামের ভালো উৎস, যা উচ্চ রক্তচাপ রোগীর খাদ্যতালিকায় থাকলে তা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রোটিনজাতীয় খাদ্য উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে একটু হিসাব করে খেতে হয়। মুরগির মাংস, মাছ, ডিমের সাদা অংশ, লো ফ্যাট দুধ, টক দই, ডাল ইত্যাদি প্রোটিনের ভালো উৎস।
এ রোগ নিয়ন্ত্রণে লবণের সঙ্গে পান-জর্দা-তামাক পরিহার করতে হয়।
তাই এ রোগ নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা। নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ বা ওষুধ গ্রহণই এর একমাত্র চিকিৎসা নয়, ওষুধ গ্রহণের পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো অনেক গুরুত্বের সঙ্গে বিচার করা হয়। যেমন :
অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করে গ্রহণযোগ্য ওজন বজায় রাখা।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা।
নিয়মিত ব্যায়াম করা।
রাতে সঠিকভাবে ঘুমানো।
অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তা এড়িয়ে চলা।
ধূমপান থেকে বিরত থাকা।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: